ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম কোথায় পাওয়া যায়?

বাংলাদেশের নাগরিকদের অন্যতম প্রধান পরিচয়পত্র হলো জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা ভোটার আইডি কার্ড। এটি শুধু ভোট দেওয়ার জন্য নয়, বরং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, পাসপোর্ট তৈরি, সিম রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেক সময় ভোটার আইডি কার্ডে নামের বানান ভুল কিংবা নামের ভুল এন্ট্রি হয়ে যায়। এতে ভবিষ্যতে নানান ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশন (EC) ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম পূরণ করা। এখন চলুন বিস্তারিত জেনে নেই—

আরও পড়ুন-ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে?

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম কোথায় পাওয়া যায়?

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে –

১.অনলাইন আবেদন

ভোটার আইডি কার্ড

    • জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে (services.nidw.gov.bd) লগইন করুন।

    • Correction অপশনে গিয়ে নাম সংশোধনের আবেদন করুন।

    • অনলাইনে ফরম পূরণ করার পর আবেদন সাবমিট করতে হবে।

নাম পরিবর্তনের ফরম এখান থেকে ডাউনলোড করুন – এখানে ক্লিক করুন!

২.অফলাইন আবেদন (সরাসরি অফিস থেকে)

    • উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নাম সংশোধনের ফরম সংগ্রহ করা যাবে।

    • ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

নাম সংশোধনের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে

নাম সংশোধনের সময় কিছু ডকুমেন্ট অবশ্যই জমা দিতে হবে –

  • জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাংলা ও ইংরেজি কপি)।

  • এসএসসি/এইচএসসি বা সমমান সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)।

  • পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র কপি।

  • পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে)।

  • অফিস থেকে নেওয়া পূরণকৃত নাম সংশোধন ফরম।

ভোটার আইডি নাম সংশোধন ফরম পূরণের নিয়ম

ফরম পূরণের সময় নিচের বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখবেন –ভোটার আইডি কার্ড

  • পুরাতন ভুল নাম এবং নতুন সঠিক নাম লিখতে হবে।

  • ভোটার আইডি নম্বর (NID Number) অবশ্যই লিখতে হবে।

  • জন্মতারিখ, ঠিকানা, পিতার নাম-মাতার নাম সঠিকভাবে লিখতে হবে।

  • নাম সংশোধনের কারণ উল্লেখ করতে হবে (যেমন বানান ভুল, অফিস এন্ট্রি ভুল ইত্যাদি)।

কত দিনে সংশোধন সম্পন্ন হয়?

সঠিকভাবে ফরম পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে সাধারণত ১৫–৩০ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সময় আরও বেশি লাগতে পারে।

নাম সংশোধনের সময় যা খেয়াল রাখতে হবে

  • নামের বানান অবশ্যই শিক্ষা সনদ ও জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে মিল রাখতে হবে।

  • অনলাইনে আবেদন করলে ফি মোবাইল ব্যাংকিং/কার্ডের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

  • অফলাইনে আবেদন করলে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে ফি জমা দিতে হবে।

  • সংশোধনের আবেদন একবারই করা যায়, তাই সাবধানে ফরম পূরণ করুন।

❓ সাধারণ প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের জন্য কত টাকা লাগে?
👉 অনলাইনে ২৩০ টাকা এবং অফলাইনে ভিন্ন ভিন্ন ফি নির্ধারিত থাকে।

প্রশ্ন ২: নাম সংশোধনের জন্য কি জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক?
👉 হ্যাঁ, জন্ম নিবন্ধন সনদ মূল কাগজপত্রের একটি।

প্রশ্ন ৩: অনলাইনে আবেদন করলে কি সরাসরি নতুন আইডি কার্ড পাওয়া যাবে?
👉 না, অনলাইন আবেদন করলে অফিস যাচাই করে সংশোধন অনুমোদন দেওয়ার পর নতুন কার্ড পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন ৪: সংশোধিত আইডি কার্ড কতদিনে হাতে পাওয়া যায়?
👉 সাধারণত আবেদন অনুমোদনের পর ১ মাসের মধ্যে সংশোধিত NID পাওয়া যায়।

উপসংহার

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সামান্য বানান ভুলও ভবিষ্যতে বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই যদি আপনার ভোটার আইডিতে নামের ভুল থাকে, তাহলে দ্রুত ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম পূরণ করে আবেদন করুন। সঠিক কাগজপত্র জমা দিন এবং নির্দেশনা মেনে চলুন।

ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!

আরও পড়ুন-এখন আর থানায় জিডি নয়! হারানো NID অনলাইনে পাবেন সহজেই

👉টেক নিউজের সকল খবর সবার আগে পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন!

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি মোঃ সানাউল বারী। পেশায় আমি একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি, আমি গত ১৪ বছর ধরে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য - লেখায় যদি কোনও ভুল থাকে, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। ধন্যবাদ।