বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যখন হু হু করে বাড়ছে, সেই সময় কম দামে প্রয়োজনীয় দ্রব্য মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এতদিন টিসিবির কম দামের পণ্য শুধুমাত্র ফ্যামিলি কার্ডধারীদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি ঘোষণায় টিসিবি জানিয়েছে—
ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াও সাধারণ মানুষ নির্দিষ্ট এলাকায় টিসিবির পণ্য কিনতে পারবে।
এই খবরটি প্রকাশ করেছে NEWS24 সহ একাধিক গণমাধ্যম, যা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন আশা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন- টিসিবি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড আবেদন করার নিয়ম ২০২৬(অনলাইন)
কেন এই নতুন সিদ্ধান্ত?
অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার চাইছে—
-
সাধারণ মানুষ যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পায়।
-
বাজারের ওপর চাপ কমে।
-
মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়।
টিসিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে নির্দিষ্ট স্পটগুলোতে সাধারণ মানুষও লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য ক্রয় করতে পারবে, ফ্যামিলি কার্ড না থাকলেও।
কোন কোন এলাকায় ফ্যামিলি কার্ড ছাড়া টিসিবির পণ্য পাওয়া যাবে?
টিসিবি বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও থানা পর্যায়ে স্পট নির্ধারণ করেছে। সাধারণত নিম্নোক্ত স্থানগুলোতে পাওয়া যাবে—
১. সিটি কর্পোরেশন এলাকার নির্ধারিত পয়েন্ট
বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার বা খোলা প্রাঙ্গণে টিসিবির ট্রাক বসানো হবে।
২. পৌরসভা এলাকার প্রধান চত্বর বা বাজার এলাকা
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের তালিকায় থাকা কেন্দ্রগুলোতে নির্দিষ্ট দিনে পণ্য বিতরণ হবে।
৩. ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ও হাট-বাজার
গ্রামাঞ্চলে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, বড় হাট-বাজার বা বিদ্যালয়ের মাঠকে পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
৪. দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা
নগরীর বস্তি, শ্রমিক কলোনি বা নিম্নআয়ের এলাকাগুলোতে মোবাইল ট্রাক যাবে।
বিঃদ্রঃ—প্রতিটি এলাকার নির্দিষ্ট তালিকা সাধারণত জেলা প্রশাসন ও টিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ / ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসেও তালিকা পাওয়া যায়।
কোন কোন পণ্য পাওয়া যাবে?
নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাবে—
- সয়াবিন তেল।
- চিনি।
- ডাল।
- ছোলা / মসুর ডাল।
- পেঁয়াজ (প্রয়োজনে)।
- চাল (কিছু এলাকায়)।
এছাড়া রমজান বা বিশেষ সময়ে বাড়তি পণ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
টিসিবির পণ্য কিনতে যা যা লাগে
ফ্যামিলি কার্ড ছাড়া সাধারণ জনগণকে—
-
জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড সঙ্গে রাখতে হতে পারে।
-
স্থানীয় ঠিকানার প্রমাণ লাগতে পারে।
-
নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি পণ্য নেওয়া যাবে না (জরিমানা হতে পারে)।
এই উদ্যোগের সুবিধা
✔ ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য ক্রয়ের সুযোগ।
✔ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের বড় সাপোর্ট।
✔ বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ।
✔ জনমানসে স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা।
✔ বাজারমূল্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব।
সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া
ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে—
-
অনেকেই সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
-
অনেকে চাইছেন স্পটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হোক।
-
কিছু এলাকা থেকে অব্যবস্থাপনার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।
তবে সার্বিকভাবে এটি সাধারণ মানুষের জন্য বড় স্বস্তির খবর।
শেষ কথা
টিসিবির এই নতুন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় সহায়তা। ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াও কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া—
বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য এক ধরনের নিরাপত্তা।
টিসিবি প্রতিটি এলাকায় প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পারলে—
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি হবে এক সফল পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন- টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔


