অনলাইনে হিজরা ভাতা আবেদন করার নিয়ম(আপডেট)

বাংলাদেশ সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে হিজরা জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ভাতা কর্মসূচি চালু করেছে। বর্তমানে এই ভাতা পুরোপুরি অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ এখন আর ইউনিয়ন অফিসে দৌড়ঝাঁপ নয় — মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে সহজেই আবেদন করা সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, অনলাইনে হিজরা ভাতা আবেদন করার নিয়ম, শর্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

আরও পড়ুন-অনলাইনে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতা আবেদন করার নিয়ম

হিজরা ভাতা অনলাইন আবেদন লিংক

🔗 সরকারি ওয়েবসাইট: https://dss.bhata.gov.bd/online-Application

এই লিংকে প্রবেশ করলে “সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি” ওয়েবসাইটের “Online Application” ফর্ম দেখা যাবে।

হিজরা ভাতা আবেদন করার ধাপে ধাপে নিয়ম

✅ ধাপ–১: ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

আপনার ব্রাউজারে যান 👉 dss.bhata.gov.bd
তারপর মেনু থেকে “Online Application” অপশনটি সিলেক্ট করুন।

✅ ধাপ–২: ভাতার ধরন নির্বাচন করুন

প্রথমেই “ভাতার কর্মসূচি” অংশে গিয়ে “অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর হিজরা ভাতা” অপশনটি বেছে নিন।

✅ ধাপ–৩: আপনার জেলার নাম নির্বাচন

“কর্মসূচির ক্যাটাগরি” ঘর থেকে নিজের জেলা বা উপজেলা সিলেক্ট করুন।

✅ ধাপ–৪: আবেদনকারীর তথ্য পূরণ করুন

এরপর আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম/মাতার নাম, লিঙ্গ, জন্মতারিখ ইত্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করুন।

  • পূর্ণ নাম (বাংলা ও ইংরেজি)

  • জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID)

  • জন্মতারিখ

  • লিঙ্গ (এখানে “হিজরা” সিলেক্ট করতে হবে)

  • মোবাইল নম্বর

✅ ধাপ–৫: ক্যাপচা যাচাই ও সাবমিট

শেষে নিচে দেওয়া গণিত সমাধান (ক্যাপচা) পূরণ করে “জাতীয় পরিচিতি যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
সব তথ্য সঠিক থাকলে আবেদন সফলভাবে সাবমিট হবে।

হিজরা ভাতা আবেদন করার সময় যে তথ্য/দলিল লাগবে

অনলাইনে হিজরা ভাতা আবেদন করতে নিচের কাগজপত্র ও তথ্যগুলো প্রস্তুত রাখুন:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর
  • জন্ম সনদ (যদি NID না থাকে)
  • নিজস্ব মোবাইল নম্বর
  • এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য (গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা)

হিজরা ভাতা প্রদানের নিয়ম

  • এই ভাতাটি সরাসরি ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং (যেমন নগদ, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

  • আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করে অনুমোদন দেওয়া হয়।

হিজরা ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি নিচের শর্ত পূরণ করবেন, তারা এই ভাতার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন:

  • আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • তাকে হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্য হতে হবে।
  • বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  • আবেদনকারীর কোন সরকারি চাকরি বা নিয়মিত আয় থাকা যাবে না।
  • একই ব্যক্তি একাধিক ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন না।

হিজরা ভাতা আবেদন করার সময়সীমা

সাধারণত সমাজসেবা অধিদপ্তর বছরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন গ্রহণ করে। তাই সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তির জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন 👉 dss.bhata.gov.bd

প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: হিজরা ভাতার আবেদন অনলাইনে কীভাবে যাচাই করবো?
👉 সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে “আবেদনের অবস্থা” অপশন থেকে NID দিয়ে যাচাই করতে পারবেন।

প্রশ্ন ২: আবেদন করার পর কতদিনে ভাতা পাওয়া যায়?
👉 সাধারণত যাচাই-বাছাই শেষে ১–৩ মাসের মধ্যে ভাতা প্রদান শুরু হয়।

প্রশ্ন ৩: যদি আমার NID না থাকে, তাহলে কীভাবে আবেদন করবো?
👉 সে ক্ষেত্রে “জন্ম নিবন্ধন নম্বর” দিয়ে আবেদন করা যাবে।

প্রশ্ন ৪: হিজরা ভাতার পরিমাণ কত টাকা?
👉 বর্তমানে মাসিক ভাতা ৭৫০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় (সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে)।

উপসংহার

সরকারের এই উদ্যোগ হিজরা জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হলে এখনই dss.bhata.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করুন। ঘরে বসেই সহজে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব।

আরও পড়ুন-বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি মোঃ সানাউল বারী। পেশায় আমি একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি, আমি গত ১৪ বছর ধরে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য - লেখায় যদি কোনও ভুল থাকে, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। ধন্যবাদ।