বাংলালিংক WiFi দিয়ে বদলে দিন আপনার ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। কাজ, শিক্ষা, বিনোদন কিংবা ব্যবসা—সব ক্ষেত্রেই এখন দ্রুত এবং স্থিতিশীল ইন্টারনেট অপরিহার্য। এই চাহিদাকে সামনে রেখে বাংলালিংক চালু করেছে নতুন প্রজন্মের ওয়াইফাই রাউটার সেবা, যা Fixed Wireless Access (FWA) প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের ৪জি ইন্টারনেট সরবরাহ করে।

অনেক ব্যবহারকারী ইতিমধ্যেই এই সেবা ব্যবহার করে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ২০ দিন ব্যবহার করার পরও গতি এবং সংযোগ ভালোই পাচ্ছেন। আসুন তাহলে অফিসিয়াল তথ্যসহ বাংলালিংক ওয়াইফাই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

আরও পড়ুন-তারবিহীন Robi WiFi ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট: ডিভাইসের দাম ও মাসিক প্ল্যান

বাংলালিংক ওয়াইফাইয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য

  • ওয়্যারলেস রাউটার প্রযুক্তি: আলাদা কোনো ল্যান তার বা কেবলের প্রয়োজন নেই। শুধু রাউটার চালু করলেই বাড়ি বা অফিসে ইন্টারনেট পাওয়া যায়।

  • গতি (Speed): নির্বাচিত প্যাকেজ অনুযায়ী ২৫ Mbps, ৩০ Mbps এবং ৪০ Mbps পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি ব্যবহার করা যায়।

  • সংযোগ (Device Support): একসাথে সর্বোচ্চ ৩২টি ডিভাইস যুক্ত করা সম্ভব।

  • ব্যাটারি ব্যাকআপ: বিদ্যুৎ না থাকলেও প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট চালানো যায়।

  • সুবিধাজনক সেটআপ: খুব অল্প সময়ে সহজেই সেটআপ করা যায়, কোনো ঝামেলা নেই।

বাংলালিংক ওয়াইফাই প্যাকেজ ও দাম

বাংলালিংক বর্তমানে কয়েকটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ চালু করেছে—

প্যাকেজ গতি (Speed) মাসিক চার্জ
বেসিক ২৫ Mbps ৯৯৭ টাকা
স্ট্যান্ডার্ড ৩০ Mbps ১,১৯৯ টাকা
প্রিমিয়াম ৪০ Mbps ১,৭৭৭ টাকা

অতিরিক্ত সুবিধা: নির্দিষ্ট কিছু প্যাকেজে বিনামূল্যে OTT সাবস্ক্রিপশন (যেমন Hoichoi, Chorki, Bongo, iScreen) দেওয়া হচ্ছে।

ভয়েস ওভার ওয়াইফাই (VoWiFi) সুবিধা

বাংলালিংক সম্প্রতি চালু করেছে VoWiFi ফিচার, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল হলেও ওয়াইফাই ব্যবহার করে সহজেই কল করতে পারবেন।

  • অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই কল করা যাবে।

  • ঢাকা ও চট্টগ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে।

  • ভবিষ্যতে সারাদেশে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

গ্রাহক অভিজ্ঞতা

  • অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট এলাকায় বাংলালিংক ওয়াইফাই ২০ দিনেরও বেশি ব্যবহার করার পরও স্থিতিশীল গতি পাওয়া যাচ্ছে।

  • গেমিং, স্ট্রিমিং, অনলাইন ক্লাস কিংবা অফিসের কাজ—সবই নিরবচ্ছিন্নভাবে করা যাচ্ছে।

  • তবে, ইন্টারনেটের মান অনেকাংশে নির্ভর করে গ্রাহকের লোকেশন এবং এলাকায় নেটওয়ার্ক কভারেজের ওপর।

সুবিধাসমূহ

✔️ তার ছাড়া সহজ সেটআপ
✔️ অনলিমিটেড ডেটা ব্যবহারের সুযোগ
✔️ একসাথে একাধিক ডিভাইসে সংযোগ
✔️ OTT প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রিপশন
✔️ VoWiFi সুবিধা

সীমাবদ্ধতা

⚠️ সব এলাকায় এখনও সেবা চালু হয়নি
⚠️ ইন্ডোর সিগন্যাল দুর্বল হলে পারফরম্যান্স কমতে পারে
⚠️ বিদ্যুৎ ব্যাকআপ সীমিত সময়ের জন্য কার্যকর
⚠️ বেশি ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে গতি ভাগ হয়ে যেতে পারে

উপসংহার

বাংলালিংক ওয়াইফাই বর্তমানে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট এলাকায় একটি নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সমাধান হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। যারা ঝামেলাহীন ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার অপশন হতে পারে। তবে কেনার আগে অবশ্যই আপনার এলাকায় কভারেজ ও সিগন্যাল মান পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন- বাংলালিংক ওয়াইফাই সংযোগ নেওয়ার নিয়ম

ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!
👉টেক নিউজের সকল খবর সবার আগে পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন!

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি মোঃ সানাউল বারী। পেশায় আমি একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি, আমি গত ১৪ বছর ধরে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য - লেখায় যদি কোনও ভুল থাকে, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। ধন্যবাদ।