ইসলামের ইতিহাসে কিছু দিন রয়েছে যা বিশ্বাস, আত্মশুদ্ধি ও মানবিকতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন হলো মহররম মাসের দশম দিন, যাকে বলা হয় “আশুরা”। প্রতি বছর এই দিনটি মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসে আত্মমূল্যায়ন, ত্যাগ ও ধৈর্যের অনন্য বার্তা। “আশুরার দিনের ঘটনা ২০২৫” এই প্রেক্ষাপটে আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ বর্তমান বৈশ্বিক ও ব্যক্তিগত সংকটের মাঝে এটি এনে দেয় আত্মিক প্রশান্তি ও নৈতিকতার শিক্ষা।
২০২৫ সালে বাংলাদেশে আশুরা পালিত হয় ৬ জুলাই, রোববার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঘোষিত ১৪৪৭ হিজরি সনের পঞ্জিকা অনুযায়ী ১ মহররম শুরু হয় ২৭ জুন। সেই হিসেবে ১০ মহররম হয় ৬ জুলাই।
আশুরার দিনের ঘটনা সমূহ
১. হজরত মূসা (আ.)-এর মুক্তি ও ফেরাউনের পতন
আরও পড়ুন
আশুরার দিনেই হজরত মূসা (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের জুলুম থেকে উদ্ধার করেন। লোহিত সাগর চিরে রাস্তা তৈরি হয়, আর ফেরাউন তার বাহিনীসহ ডুবে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মদিনায় আসেন, তখন দেখেন ইহুদিরা এই দিন রোজা রাখে। তিনি বলেন:
“আমরা হজরত মূসার (আ.) চেয়ে অধিক হকদার।” — সহিহ মুসলিম: ১১৩০
২. হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকার স্থির হওয়া
দীর্ঘকাল প্লাবনের পর আল্লাহ তাআলা হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকাকে জুদি পাহাড়ে স্থির করেন এই দিনেই। এটি ছিল মানবজাতির জন্য নতুন যাত্রার সূচনা।
৩. হজরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল
একাধিক হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, এই দিন হজরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হয়। ফলে এই দিনটি আত্মশুদ্ধির প্রতীকও বটে।
৪. হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জন্ম
আশুরার দিন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জন্ম হয়েছিল বলেও কয়েকটি বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে। তাঁর জীবন সত্য ও তাওহিদের পথ দেখায়।
৫. কারবালার শহীদ ইমাম হুসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগ
৬১ হিজরির ১০ মহররম, আশুরার দিন — কারবালায় ইয়াজিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাসুল (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলী (রা.) শহীদ হন। তাঁর সাথে পরিবার ও সাথীরাও জুলুমের শিকার হন। এই ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয়:
- সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে হবে
- অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ফরজ
- জীবন দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষা করতে হবে
পবিত্র আশুরার ইতিহাস
পবিত্র আশুরা, হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের দশম দিন, ইসলামী ইতিহাসে বহুমাত্রিক তাৎপর্যের এক অনন্য দিন। এই দিনটি শুধুমাত্র একটি স্মরণীয় তারিখ নয়, বরং বহু ঐতিহাসিক ঘটনার ধারক ও বাহক, যা বিভিন্ন নবীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী। হাদিসে এসেছে, এই দিন হজরত মূসা (আ.) আল্লাহর আদেশে তাঁর জাতিকে ফেরাউনের জুলুম থেকে উদ্ধার করেন, আর ফেরাউন তার বাহিনীসহ নীল নদে ডুবে যায়। এই কারণে ইহুদিরাও ঐ দিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় গিয়ে এটি দেখে বলেছিলেন, “আমরা হজরত মূসার (আ.) প্রতি অধিক হকদার।” তিনি নিজে রোজা রাখেন এবং সাহাবীদেরও রোজা রাখতে উৎসাহ দেন।
তবে পবিত্র আশুরা শুধু হজরত মূসার (আ.) ঘটনা দিয়েই সীমাবদ্ধ নয়। ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে, এই দিনেই হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকা জুদি পাহাড়ে নোঙর করে, হজরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হয়, হজরত ইব্রাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন এবং হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। এসব ঘটনার কারণে আশুরা হয়ে উঠেছে এক পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন, যার মধ্যে রয়েছে তাওবা, রহমত, আত্মশুদ্ধি ও মুক্তির বার্তা।
তবে আশুরার ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো কারবালার প্রান্তরে ঘটে যাওয়া হজরত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাত। ৬১ হিজরিতে ইয়াজিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রাসুল (সা.)-এর এই প্রিয় দৌহিত্র সত্য ও ইনসাফের পক্ষে জীবন উৎসর্গ করেন। এই আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহকে আজও শিক্ষা দেয়—যে অন্যায়ের সাথে আপস নয়, বরং সত্যের জন্য ত্যাগই ইমানের চূড়ান্ত পরিচয়।
এভাবে আশুরার ইতিহাস কেবল অতীতের স্মৃতি নয়, বরং এটি একটি জ্যান্ত বার্তা — যা ন্যায়বিচার, সাহস, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির মাইলফলক হিসেবে প্রতিটি যুগের মানুষের হৃদয়ে অনুরণিত হয়ে থাকে।
আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
আশুরা, অর্থাৎ মহররম মাসের দশম দিন, ইসলামী জীবনব্যবস্থায় একটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ও মর্যাদাবান দিন। এই দিনটি কেবল ঐতিহাসিক ঘটনার জন্য নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, তাকওয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক বিশেষ উপলক্ষ হিসেবেও বিবেচিত। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“আশুরার রোজা বিগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা।”
— সহিহ মুসলিম: ১১৬২
আশুরার তাৎপর্য বহুবিধ। প্রথমত, এটি নবীদের জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দিন—যেমন হজরত মূসা (আ.)-এর মুক্তি, হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকার স্থির হওয়া, হজরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হওয়া প্রভৃতি। এসব ঘটনা ইসলামি বিশ্বাসে আল্লাহর কুদরত, রহমত ও বিচার Day-এর প্রতীক। দ্বিতীয়ত, আশুরা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় কারবালার মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির কথা, যেখানে ইমাম হুসাইন (রা.) সত্য ও ইনসাফের পক্ষে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁর এই আত্মত্যাগ মুসলমানদেরকে শিক্ষা দেয়—অন্যায়ের সাথে কখনো আপস করা যায় না।
আরও পড়ুন-সিজদা থেকে উঠে কোন দোয়া পড়তে হয়?
আশুরা হলো এক পবিত্র দিন, যেখানে একদিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের বার্তা, অন্যদিকে ইমানের জন্য আত্মত্যাগের মহত্ত্ব একইসাথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দিনে মুসলমানদের উচিত রোজা রাখা, দোয়া করা, আত্মসমালোচনা করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল বৃদ্ধি করা।
এই বিশেষ দিনের তাৎপর্য কেবল অতীতের কোনো স্মরণ নয়, বরং এটি বর্তমান জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নৈতিকতার, মানবিকতার ও ইমানের এক উচ্চতর মানদণ্ড। তাই আশুরা যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা না হয়ে দাঁড়ায়, বরং একেকটি আমল হয়ে উঠুক হৃদয়ের পরিবর্তনের নিয়ামক।
আশুরা সম্পর্কে হাদিস
আশুরা—হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের দশম দিন—ইসলামী শরিয়তে একটি বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিনকে গুরুত্ব দিয়ে যেভাবে পালন করেছেন, তা মুসলমানদের জন্য এক শক্তিশালী সুন্নত ও নির্দেশনা। হাদিসে আশুরার দিনে রোজা রাখার বিশাল ফজিলত ও এর পেছনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য উঠে এসেছে।
১. আশুরার রোজা ও গোনাহ মাফ:
আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“আশুরার রোজা বিগত এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেয়।”
— সহিহ মুসলিম: ১১৬২
এ হাদিস প্রমাণ করে যে আশুরার রোজা রাখা শুধু একটি নফল ইবাদত নয়, বরং তা গোনাহ মাফের মাধ্যমও। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর একটি বিশেষ অনুগ্রহ।
২. ইহুদিদের রোজা ও রাসুল (সা.)-এর প্রতিক্রিয়া:
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন:
“রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় এসে দেখলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা এ দিন রোজা রাখো কেন?’ তারা বলল, ‘এ দিন আল্লাহ মূসা (আ.) ও তাঁর জাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন, আর ফেরাউনকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। এজন্য আমরা শুকরিয়া স্বরূপ রোজা রাখি।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমরা মূসার প্রতি তোমাদের চেয়ে বেশি হকদার।’ অতঃপর তিনি নিজে রোজা রাখলেন এবং সাহাবীদেরও রোজা রাখতে নির্দেশ দিলেন।”
— সহিহ বুখারি: ২০০৪, সহিহ মুসলিম: ১১৩০
৩. আশুরায় ভিন্নতা আনার নির্দেশ:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“তোমরা যদি পরের বছর বেঁচে থাকো, তাহলে আশুরার সাথে একদিন আগেও রোজা রাখো।”
অর্থাৎ ৯ ও ১০ মহররম একত্রে রোজা রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে, যেন ইহুদিদের অনুসরণ না হয়।
— সহিহ মুসলিম: ১১৩৪
এই হাদিসসমূহের মাধ্যমে স্পষ্ট বোঝা যায়, আশুরার তাৎপর্য শুধুই ঐতিহাসিক নয়, বরং তা ইবাদতের এক গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষও। রাসুল (সা.) আশুরার রোজাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং উম্মাহকে তা পালন করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
আশুরার রোজার ফজিলত
আশুরার রোজা ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নফল রোজাগুলোর একটি। এটি হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখে পালন করা হয় এবং এই রোজার ফজিলত নিয়ে একাধিক সহিহ হাদিস রয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আশুরার রোজাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন এবং সাহাবীদের তা রাখার জন্য উৎসাহিত করতেন।
আবু কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন—
“আমি আশাবাদী, আল্লাহ আশুরার রোজা দ্বারা বিগত এক বছরের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।”
— সহিহ মুসলিম: ১১৬২
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, আশুরার রোজা শুধু একটি নফল ইবাদত নয় বরং এটি অতীত জীবনের গুনাহ মাফের সুযোগ এনে দেয়। এমন ফজিলতপূর্ণ রোজা বছরে মাত্র একদিন আসে—এটি কোনোভাবেই হেলায় হারানো উচিত নয়।
এছাড়া, রাসুল (সা.) মদিনায় এসে যখন দেখলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখে, তিনি বললেন:
“আমরা হজরত মূসার (আ.) প্রতি তাদের চেয়ে বেশি হকদার।”
অতঃপর তিনি নিজে রোজা রাখেন এবং উম্মাহকেও তা রাখতে বলেন।
— সহিহ বুখারি: ২০০৪
তবে আশুরার রোজা একা একা ১০ তারিখে না রেখে, তার সঙ্গে ৯ বা ১১ মহররম যুক্ত করে দুই দিন রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন নবীজি (সা.)। এর মাধ্যমে ইহুদিদের রীতির অনুকরণ এড়ানো যায় এবং তা সুন্নত পূর্ণতার দিকে নিয়ে যায়।
এই রোজা আমাদের আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ আমল। সারাবছরের পাপ মোচনের একটি সুযোগ, যা আত্মার প্রশান্তি ও তাকওয়ার শক্তি বাড়ায়। দুনিয়ার ব্যস্ত জীবনে এই একটি দিনের রোজা হতে পারে আমাদের জন্য পরকালের মুক্তির চাবিকাঠি।
আশুরা ২০২৫: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
তারিখ ও আয়োজন
২০২৫ সালে ১০ মহররম, আশুরা পালিত হয় ৬ জুলাই, রোববার। সারাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, রোজা পালন ও কারবালা স্মরণে আয়োজন করে।
ডিজিটাল সচেতনতা
অনেক মসজিদ ও সংগঠন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কারবালার ইতিহাস, আশুরার তাৎপর্য নিয়ে ভিডিও সেমিনার, ওয়েবিনার ও ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠান করে।
মিডিয়ায় প্রচার
- টেলিভিশন চ্যানেলগুলো হুসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগ নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে
- সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ #Ashura2025 এবং #ImamHussain2025 ট্রেন্ড করে
আশুরা থেকে কী শিক্ষা নেওয়া যায়?
১. সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান
ইমাম হুসাইন (রা.) তাঁর জীবন দিয়ে শিক্ষা দিয়েছেন, অন্যায় শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মুসলমানের ধর্মীয় দায়িত্ব।
২. ধৈর্য ও আত্মত্যাগ
কারবালার প্রান্তরে নারী-শিশুদের কষ্ট, ইমামের ধৈর্য—সবচেয়ে বড় আত্মত্যাগের নিদর্শন। মুসলমানদের উচিত তা স্মরণ করে নিজেদের জীবনে ধৈর্য ধারণ করা।
৩. বিদআত ও শোকানুষ্ঠান পরিহার
আশুরার দিনে মাতম, নিজ শরীরে আঘাত বা চরম শোক প্রকাশ রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা নয়। বরং তিনি রোজা, দোয়া, সাদকা এবং আত্মবিশ্লেষণের শিক্ষা দিয়েছেন।
৪. আত্মশুদ্ধি ও তওবার সুযোগ
আশুরা হলো তওবার জন্য বিশেষ দিন। নিজের পাপ ও গোনাহ থেকে ফিরে আসার জন্য এ দিন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার উত্তম সময়।
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: আশুরার রোজা কেন রাখা হয়?
উত্তর: হজরত মূসা (আ.)-এর বাঁচার স্মৃতিতে রাসুল (সা.) আশুরার রোজা রাখতেন। এ রোজা পূর্ববর্তী এক বছরের গোনাহ মাফের উপায়।
প্রশ্ন ২: ২০২৫ সালে আশুরার তারিখ কী ছিল?
উত্তর: বাংলাদেশে ২০২৫ সালের আশুরা ছিল ৬ জুলাই, রোববার।
প্রশ্ন ৩: আশুরার দিনে কী কী আমল করা উচিত?
উত্তর: রোজা রাখা, দোয়া, নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, সাদকা করা।
প্রশ্ন ৪: আশুরা কি শুধুই শোকের দিন?
উত্তর: না। এটি আত্মশুদ্ধি, রোজা, ত্যাগ, আল্লাহর রহমত স্মরণ ও নৈতিকতার শিক্ষা নেওয়ার দিন। শোকানুষ্ঠান ইসলামের অংশ নয়।
উপসংহার
আশুরার দিনের ঘটনাগুলো আমাদের ইমান, নৈতিকতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে শেখায়। ২০২৫ সালের আশুরা যেন শুধু স্মরণ নয়, বরং হুসাইন (রা.)-এর আদর্শে নিজেকে গড়ার নতুন সূচনা হয়। সত্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাই হবে এই দিনের প্রকৃত সম্মান।
আরও পড়ুন-আরাফার রোযার নিয়ত ও ফজিলত
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔