আমাদের Telegram চ্যানেলে যুক্ত হোন

আপনার ফোনে গোপন নজরদারি করছে যেসব অ্যাপ! সতর্ক না হলে ঝুঁকিতে ব্যক্তিগত তথ্য

বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্যাংকিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ব্যক্তিগত ছবি, ম্যাসেজ—সবই আমরা ফোনে সংরক্ষণ করি। ফলে যেকোনো অনিরাপদ বা সন্দেহজনক অ্যাপ আপনার অজান্তেই আপনার ডেটা সংগ্রহ করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গেছে—কিছু অ্যাপ গোপনে ব্যবহারকারীর মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, লোকেশন, কনট্যাক্ট, এমনকি কীবোর্ড ইনপুট পর্যন্ত ট্র্যাক করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন-আগের কেনা অবৈধ মোবাইলও কি বন্ধ হবে? 

কোন ধরনের অ্যাপগুলো বেশি নজরদারি ঝুঁকি তৈরি করে?

নির্দিষ্ট অ্যাপের নাম না বললেও গবেষণায় দেখা যায়, নিচের অ্যাপ ক্যাটাগরিগুলো সাধারণত বেশি ঝুঁকি তৈরি করে—

1️⃣ টর্চলাইট, স্ক্যানার, ক্লিনার ধরনের অ্যাপ

এই অ্যাপগুলোর সাধারণ কাজ খুবই সহজ, অথচ অনেক সময় তারা প্রয়োজনের বাইরে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা কনট্যাক্ট পারমিশন চায়।

2️⃣ ফ্রি ভিপিএন ও ফ্রি সিকিউরিটি অ্যাপ

অনেক ফ্রি ভিপিএন ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং ডেটা লগ করে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে বলে অভিযোগ আছে।

3️⃣ অজানা ডেভেলপারের গেম বা এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাপ

অনামী বা সন্দেহজনক ডেভেলপারের অ্যাপগুলোতে লুকানো ট্র্যাকিং সফটওয়্যার থাকতে পারে।

4️⃣ তৃতীয় পক্ষের কল রেকর্ডার / স্ক্রিন রেকর্ডার অ্যাপ

কিছু অ্যাপ রেকর্ডিং ফিচারের অজুহাতে সবসময় মাইক্রোফোন চালু রাখে।

5️⃣ নকল অ্যাপ (Fake App)

গুগল প্লে বা অ্যাপ স্টোরে জনপ্রিয় অ্যাপের নামে নকল অ্যাপ আপলোড করা হয়, যা ডেটা চুরি করে।

কীভাবে বুঝবেন আপনার ফোনে গোপনে নজরদারি চলছে?

ফোন অস্বাভাবিকভাবে গরম হয়

ব্যাকগ্রাউন্ডে অজানা অ্যাপ চললে ফোন দ্রুত হিট হয়।

ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়

সন্দেহজনক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা সংগ্রহ করতে থাকে।

অজানা অ্যাপ নিজে থেকে ইন্সটল হয়ে থাকা

আপনি ইনস্টল না করলেও কিছু অ্যাপ দেখা দিলে তা অবশ্যই নজরদারির ইঙ্গিত।

ডেটা ব্যবহার হঠাৎ বেড়ে যাওয়া

অস্বাভাবিক ডেটা খরচ মানে ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু চলছে।

মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা আইকন বারবার দেখা যাওয়া

আপনি ব্যবহার না করলেও যদি ক্যামেরা বা মাইক্রোফোনের ইন্ডিকেটর দেখা যায়—তা উদ্বেগজনক।

কীভাবে এসব গোপন নজরদারি থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন?

🔐 ১. শুধুমাত্র অফিসিয়াল স্টোর থেকে অ্যাপ ইনস্টল করুন

Google Play / Apple App Store-এর বাইরে অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত নয়।

🔐 ২. অ্যাপ পারমিশন নিয়মিত চেক করুন

পারমিশনে দেখুন—

  • ক্যামেরা

  • মাইক্রোফোন

  • লোকেশন

  • কনট্যাক্ট
    কারা ব্যবহার করছে।

🔐 ৩. ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা অফ করুন

সন্দেহজনক অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ করে দিন।

🔐 ৪. ফোনে অফিশিয়াল আপডেট রাখুন

সিকিউরিটি আপডেট ফোনকে আরও নিরাপদ করে।

🔐 ৫. অ্যান্টিভাইরাস বা সিকিউরিটি স্ক্যান চালান

বিশ্বস্ত সিকিউরিটি অ্যাপ ব্যবহার করলে ঝুঁকি শনাক্ত করা সহজ হয়।

🔐 ৬. অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না

এ ধরনের লিঙ্ক থেকে নকল অ্যাপ ইনস্টল বা ম্যালওয়্যার ঢুকে যেতে পারে।

শেষ কথা

প্রযুক্তি আমাদের জীবন সহজ করেছে ঠিকই, কিন্তু নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়িয়েছে। তাই ফোনে কোন অ্যাপ ব্যবহার করছেন, কোন অ্যাপ কী পারমিশন নিচ্ছে—এসব বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। মনে রাখুন, আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা আপনার নিজের হাতেই।

নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন করুন। 🛡📱

আরও পড়ুন-বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল সেট ! আপনারটা বৈধ কিনা চেক করুন

ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি মোঃ সানাউল বারী। পেশায় আমি একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি, আমি গত ১৪ বছর ধরে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য - লেখায় যদি কোনও ভুল থাকে, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। ধন্যবাদ।