আরাফার রোজার নিয়তঃবছরের যেকোনো সময়ই যেকোনো নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। তবে কিছু কিছু সময়ে কিছু আমলের মারতাবা অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক বৃদ্ধি হয়। তেমনি এক আমল আরাফার রোজা।আজ আপনাদের আরাফার রোজার নিয়ত, আরাফার রোজার ফজিলত নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।
আরাফার রোজার ফজিলত
জিলহজ মাসের প্রথম দশক ও প্রথম পক্ষ পুরোটাই ফজিলত পূর্ণ।
কোরআনুল কারীমে আল্লাহতায়ালা বলেন: ঊষার শপথ! আরো শপথ (জিলহজ মাসের প্রথম) দশ রজনীর! এবং শপথ জোড় (ঈদের দিন) ও বেজোড় (আরাফার দিন) এর। (সূরা-৮৯ ফজর, আয়াত: ১-৩, ই.ফা.)।
জিলহজের ১ থেকে ৯ তারিখ প্রতিদিনের রোজা ১ বছরের রোজার সওয়াব এবং প্রতিরাতের ইবাদত ১ বছরের ইবাদতের সমান সওয়াব। (তিরমিযী, খণ্ড:১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)।
জিলহজের ৮ থেকে ১৩ তারিখ হজের কার্যক্রম, ৯ থেকে ১৩ তারিখ আইয়ামে তাশরীক, ৯ তারিখ হজ, ১০ তারিখ ঈদ, ১০ থেকে ১২ তারিখ কোরবানি এবং ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ আইয়ামে বীদ এর রোজা, যা প্রতি মাসেই রয়েছে। এক সাথে এত অধিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ইবাদত অন্য কোনো মাসে দেখা যায় না।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি আশা করি আরাফাতের দিনের রোজার বদলায় আল্লাহতাআলা বিগত ১ বছরের ও পরবর্তী ১ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (সহীহ মুসলিম ও তিরমিযী, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)।
আরাফার দিন হল ইয়াওমুল আরাফা বা ৯ জিলহজ, যেদিন হাজীরা হজের প্রধান ফরজ অকুফে আরাফা বা আরাফা প্রান্তরে অবস্থান করে থাকেন।
সারা পৃথিবীতে চান্দ্র তারিখের হিসাব চারভাবে হয়ে থাকে। এক. স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখে, দুই. মক্কা-মদিনা বা সৌদি আরবের সাথে, তিন. পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে প্রথম চাঁদ দেখার সংবাদের ভিত্তিতে, চার. জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাবের মাধ্যমে।
এ কারণে সারা পৃথিবীতে একটি চান্দ্র মাসের দুটি বা তিনটি তারিখ দেখতে পাওয়া যায়। ফলে এক দেশের সাথে অন্য দেশের চান্দ্র তারিখ একদিন বা দুই দিন ব্যবধান হয়ে থাকে।
মুজতাহিদ ফকীহগণের সিদ্ধান্তে এর যে কোনো একটি মতে আমল করলে উক্ত সওয়াব পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ!
বাংলাদেশে কার্যত চান্দ্র তারিখের ২টি ধারা চালু আছে। প্রথমটি হলো- স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখে তারিখ নির্ধারণ করা; দ্বিতীয়টি হলো- সৌদি আরবের তারিখের অনুসরণ করা।
প্রথম মতের ফকীহগণের বক্তব্য হলো: ইয়াওমুল আরাফা বা আরাফার দিন হলো জিলহজ মাসের ৯ তারিখ। সুতরাং পৃথিবীর যেখানে যখন জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হবে সেখানকার অধিবাসীদের জন্য সেদিনই আরাফার দিন অর্থাৎ ইয়াওমুল আরাফা।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখই হলো আরাফার দিন বা ইয়াওমুল আরাফা। যেমন- জিলহজ মাসের ৮ তারিখকে ইয়াওমুত তারবিয়াহ এবং ১০ তারিখকে ইয়াওমুন নাহার বা কোরবানির দিন বলা হয়। অনুরূপভাবে ৯ তারিখ হলো ইয়াওমুল আরাফা বা আরাফার দিন।
দ্বিতীয় মতের আলেমগণের ব্যাখ্যা হলো: আরাফার রোজার ফজিলত সংক্রান্ত হাদিসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি, বরং নির্দিষ্ট একটি বিশেষ দিনের উল্লেখ করেছেন; আর সেদিনটি হলো আরাফার দিন অর্থাৎ হজের দিন, যে দিন হাজীগণ আরাফা ময়দানে অবস্থান করেন।
সুতরাং ৮ বা ৯ তারিখ নয় বরং হজের দিনই রোজা রাখতে হবে। হজ যেহেতু পৃথিবীতে শুধুমাত্র এক জায়গায় মক্কা শরীফেই অনুষ্ঠিত হয়, তাই সারা পৃথিবীতে সেই হজের দিনই আরাফার রোজা প্রতিপালিত হবে।
কারণ এই রোজাটি তারিখের সাথে সম্পর্কিত নয়, স্থান ও কর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আর তা হলো মক্কা ও হজ।
এক থেকে নয় তারিখ রোজা পালন করলে এর মধ্যেই আরাফার রোজা পালন হয়ে যাবে, এটাই সর্বোত্তম। নয়টি রোজা না রাখলেও আট ও নয় তারিখ দুটি রোজা করলেও আরাফার রোজা আদায় হয়ে যাবে- এটা নিরাপদ।
যদি কেউ একটিমাত্র আরাফার রোজা রাখতে চান, তিনি উপর্যুক্ত বিশ্বব্যাপী অনুসৃত চারটি মতের বা বাংলাদেশে প্রচলিত দুটি মতের যে কোনো একটি অনুযায়ী ইখলাস ও তাকওয়ার সাথে আমল করলে পূর্ণ সওয়াব প্রাপ্ত হবেন।
হাদিস শরীফে রয়েছে- ‘কাজের ফলাফল নিয়াতের ওপর নির্ভরশীল’। (বুখারি ও মুসলিম)।
যারা যেই মতকে অধিক প্রামাণ্য ও যুক্তিসঙ্গত মনে করবেন ও তা অনুসরণ করে আন্তরিক অনুরাগের সাথে আমল করবেন, তারাই এই সওয়াবের অধিকারী হবেন। তবে মুজতাহিদ ফকীহগণ গবেষণার ক্ষেত্রে দলিল প্রমাণ ও যুক্তি-তর্কে অন্য মতের বিরোধিতা বা খণ্ডন করতে পারবেন।
আরাফার রোজা কবে ২০২৪
জিলহজের প্রথম দশ দিন অতি বরকতপূর্ণ। আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে মুমিনদের জন্য বিশেষ উপহার।
এই দশ দিনের আমল ও ইবাদত আল্লাহর কাছে বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি প্রিয়। কোরআন ও হাদিসের অসংখ্য বর্ণনায় জিলহজের দশ দিনের আমল-ইবাদতের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
এই দশ দিনের পুরো সময়টাই তো আমলের। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম সব ধরনের আমলই এ সময়ে করতেন। রোজা রাখাও এ সময়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।
হাদিসে ইয়াওমে আরাফা বা ‘আরাফার দিনের রোজা’ রাখার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘আরাফার’ দিনে সিয়াম পালনের ফজিলতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন- আমি মনে করি, আরাফার দিনে সিয়াম পালনে আল্লাহতায়ালা বিগত বছরের গুনাহ ও আগামী বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (সহীহ মুসলিম: হাদিস ১১৬২)
হযরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিলহজের নবম দিন সিয়াম পালন করতেন এবং সিয়াম পালন করতেন আশুরার দিনে৷ (সুনানে আবু দাউদ, নাসায়ী, মুসনাদে আহমাদ)
বিখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা মুবারকপুরী রহ. বলেছেন- হাফসা (রা.)-এর এ বর্ণনায় নবীজি জিলহজের নবম দিন রোজা রাখতেন; এটা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে এবং এই দিনটিই ‘ইয়াওমে আরাফা’ বা আরাফার দিন। (মিন্নাতুল মুনইম শরহু সহীহ মুসলিম ২/২১১)
উপরোক্ত উভয় হাদিসের বর্ণনায় বিষয়টি স্পষ্ট যে, ‘ইয়াওমে আরাফা’ বা আরাফার দিন হল সব জনপদের নিজ নিজ হিজরি তারিখ হিসেবে ৯ জিলহজ, ৮ জিলহজ নয়! কারণ এই রোজা আরাফা বা আরাফায় অবস্থান সংক্রান্ত আমল নয়।
বরং ৯ তারিখের বিশেষ আমল। কাজেই আমাদের দেশের হিসেবে ৮ জিলহজ সৌদি আরবে হাজীদের আরাফায় অবস্থান হলেও আমরা রোজা রাখব ৯ তারিখেই।
২০২২ সালে আরাফার রোজার হবে জুলাই মাসের ৯ তারিখ।রোজ শনিবার। তবে চাঁদ উঠার উপর নির্ভর করে আগে বা পরে হতে পারে।
আরাফার রোজার নিয়ত
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। প্রথম ৯ দিনে রোজা পালন এবং রাতে ইবাদত-বন্দেগি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়, প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো (তিরমিজি শরিফ)।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হল আরাফার দিন। এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিনে হাজিরা মিনা থেকে আরাফার ময়দানে সমবেত হন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এটিই হজের প্রধান রুকন। এ দিনে নফল রোজা রাখা বিশেষ সুন্নত আমল। তবে আরাফায় উপস্থিত হাজীদের জন্য এই রোজা প্রযোজ্য নয়। রাসূল (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী যে আল্লাহতায়ালা তার (রোজাদারের) বিগত এক বছরের ও সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। (মুসলিম ও তিরমিজি শরিফ)।
অন্য একটি হাদিসে আছে, জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের প্রতিটি দিন ১ হাজার দিনের তুল্য আর আরাফার দিনটি ১০ হাজার দিনের সমান মর্যাদাপূর্ণ। রাসূল (সা.) আরও বলেন, আরাফার দিনটি সব দিবসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এ দিনের কসম খেয়েছেন।
আরাফার ময়দানে অবস্থানরত হাজীদের ওপর অজস্র ধারায় রহমত বর্ষিত হয়। রাসূল (সা.) বলেছেন, বদরের যুদ্ধের দিন বাদে শয়তান সবচেয়ে বেশি অপদস্থ, ধিকৃত ও ক্রোধান্বিত হয় আরাফার দিনে। কেননা এ দিন শয়তান আল্লাহ পাকের অত্যধিক রহমত এবং বান্দার অগণিত পাপরাশি মাফ হতে দেখতে পায়। (মুয়াত্তা ও মিশকাত)।
আরাফার দিনটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত রহমতের। তাই এ দিনে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করা অপরিহার্য। আরাফার দিনের আমলগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. জিকির ও তাসবিহ পাঠ করা; ২. দোয়া করা। রাসূল (সা.) বলেছেন, সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছে আরাফার দিনের দোয়া; ৩. রোজা রাখা।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ফরজ নামাজের পর একবার তাকবির বলা ওয়াজিব। জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ যে কোনো দিন, কোনো ব্যক্তির মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। পুরুষ ও নারী সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য।
রাসূল (সা.)-এর কাছে সাহাবারা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! এ কোরবানি কী?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ তারা আবার বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! তাতে আমাদের জন্য কি সওয়াব রয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি সওয়াব রয়েছে।’ রাসূল (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে’।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
মুসলমানের উচিত জিলহজের প্রথম দশক ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা এবং ইয়াওমে আরাফা তথা হজের দিন ইবাদত-বন্দেগির সঙ্গে রোজা পালন করা।
আরাফার রোজা হয় জিলহজ মাসের ৯ তারিখে, যে দিন হাজীরা আরাফার ময়দানে উপস্থিত থাকেন।
আরাফার রোজা কয়টি
আরাফা দিবসের রোজার ফজিলত নিয়ে যা বলেছেন, সেটা আসলে যথার্থ নয়। এই দিনের ফজিলত নিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি আশা করি, আল্লাহ তায়ালা এই সিয়ামের আগের বছর ও আগামী বছর—এই দুই বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। সুতরাং, এই একদিনের সিয়াম যদি কেউ পালন করেন, তাহলে তাঁর দুই বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।
এক হাদিসে আছে, দুই বছরের সগিরা গুনাহ মাফ করে দেন। জিলহজ মাসের সবচেয়ে বড় ইবাদত হলো সিয়াম। আর আরাফার রোজা হবে যেদিন হাজিরা আরাফার ময়দানে হাজির হবেন। ক্যালেন্ডার দেখে এই রোজা নয়। কারণ, অনেক দেশে সময়ের মিল এক নয়। যারা জানেন না কখন হাজিরা ময়দানে উঠবেন, তাঁরা তারিখের হিসেবে করতে পারেন।
আর একদিনের সিয়াম পালন করলেই আপনি এই ফজিলত পাবেন। যাঁরা বলছেন, একদিন রোজা রাখলে হবে না, এটি সঠিক কথা নয়। সুতরাং, একদিনের সিয়াম পালন করলেই হবে। যদি কেউ বেশি রাখেন, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।
আরাফার দিনে ”আরাফার রোজা” রাখার তিনটি কারণ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তা বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহকে ক্ষমা করিয়ে দেবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
উক্ত হাদিসে ‘আরাফার দিন’ বলতে ৯ জিলহজের কথা বলা হয়েছে। ৯ জিলহজ ‘আরাফার দিন’ বলার তিন কারণ বিজ্ঞ আলেমরা উল্লেখ করেছেন।
১। ইবরাহিম (আ.) ৮ জিলহজ রাতে স্বপ্ন দেখেন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তানকে জবাই করছেন। কিন্তু স্বপ্নটির মর্ম সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারেননি, তাই চিন্তিত ছিলেন। তারপর ৯ জিলহজ পুনরায় ওই স্বপ্ন দেখার পর তার ব্যাখ্যা সুস্পষ্টরূপে বুঝতে ও চিনতে সক্ষম হন। ঘটনাটির স্মরণে ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলা হয়। কেননা ‘আরাফা’ শব্দের অর্থ হলো জানা, চেনা ইত্যাদি। (তাফসিরে বাগাবি ৭/৪৮)
২। জিবরাইল (আ.) ৯ জিলহজে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হজের আমলগুলো বিস্তারিত জানিয়েছেন। আর ‘আরাফা’ শব্দের এক অর্থ হলো জানা। তাই ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলে। (আল-বিনায়া ৪/২১১)
৩।এই দিনে হজযাত্রীরা হজের আমল হিসেবে ‘আরাফা’ প্রান্তরে অবস্থান করেন। তাই ৯ জিলহজকে ‘আরাফার দিন’ বলা হয়। (আল-ইনসাফ ৩/২৪৪)
এ আলোচনায় স্পষ্ট হলো যে আরাফার দিনের নামকরণের একমাত্র কারণ ‘আরাফা’ প্রান্তরে অবস্থান নয়, বরং অন্য কারণও রয়েছে। তাই এই দিনকে সব দেশের ক্ষেত্রে আরাফায় অবস্থানের সঙ্গে নির্ধারিত করা ঠিক নয়, বরং ৯ জিলহজ হলো ‘আরাফার দিন’। এখন যে দেশে যেদিন জিলহজের ৯ তারিখ, ওই দেশের ‘আরাফার দিন’ সেটিই। হজযাত্রীদের আরাফার ময়দানে অবস্থানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।
আরাফার রোজা নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
১।আরাফা’ শব্দের অর্থ কি?
উওরঃ আরাফা’ শব্দের অর্থ হলো জানা।
২। আরাফার রোজা কোন মাসে ?
উত্তরঃ জিলহজ্জ মাসে।
৩। কত তারিখে আরাফার রোজা?
উত্তরঃ জিলহজ্জ মাসে ৯ তারিখ।
৪। আরাফার রোজা নফল না সুন্নত?
উত্তরঃ আরাফার রোজা নফল।
৫।আরাফার রোজা কয়টি?
উত্তরঃ আরাফার রোজা ১ টি।
৬।হজ্জপালনকারীর জন্য আরাফার দিন রোজা রাখা কি?
উত্তরঃ হজ্জপালনকারীর জন্য আরাফার দিন রোজা রাখা মাকরূহ।
৭।আরাফার রোজা পালনে কয় বছরের গুনাহ মাফ হবে?
উত্তরঃ ২ বছরের গুনাহ মাফ হবে।
৮।২০২২ সালে আরাফার রোজা ইংরেজি কোন মাসে ও কত তারিখে?
উত্তরঃ জুলাই মাসের ৯ তারিখ।
৯। জিলহজ্জ মাসে সব চাইতে বরকতময় দিন কোনটি?
উত্তরঃ আরাফার দিন সব চাইতে বরকতময়।
১০।আরাফাতের দিনের শ্রেষ্ঠা দোয়া কি?
উত্তরঃ দোয়া হলো-
لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদির’।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
ঈদের নামাজের নিয়ম ও মাসলা সম্পর্কে জানুন দুই অক্ষরের ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা ক দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ ল দিয়ে মেয়েদের সুন্দর অর্থসহ ইসলামিক নাম
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।