ইসলাম ধর্মে কিছু বিশেষ রাত আছে যেগুলোকে “ফজিলতের রাত্রি” বলা হয়, আর তারমধ্যে অন্যতম হলো শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। প্রতি বছর শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে এই মহিমান্বিত রজনী পালন করা হয়। মুসলিম উম্মাহর জন্য এই রাতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন, রহমতের দরজা খুলে দেন এবং বান্দার প্রতি দয়া বর্ষণ করেন। শবে বরাত শুধু ইবাদত-বন্দেগির রাতই নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধির, ক্ষমা প্রার্থনার এবং নতুন জীবনের আশায় নিজেকে সোপর্দ করার একটি অপূর্ব সুযোগ।
এই রাতের ফজিলত উপলব্ধি করে অনেক মুসলমান পরদিন নফল রোজা রাখেন – যাকে বলা হয় শবে বরাতের রোজা। এই রোজা রাখা যেমন নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাহর অংশ, তেমনি এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি পবিত্র মাধ্যম। কিন্তু এই রোজা রাখার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো সঠিক নিয়ত করা। কারণ ইসলামিক ইবাদতে নিয়ত হলো আত্মিক সিদ্ধান্ত, যা ছাড়া কোনো ইবাদতই পূর্ণতা পায় না।
তবে এখনো অনেকেই জানেন না শবে বরাতের রোজার সঠিক নিয়ত কীভাবে করতে হয়, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ কীভাবে মনে মনে নিয়ত করবেন – এসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকার কারণে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন।
আরও পড়ুন-শাবান মাসের ১৫ তারিখের ঘটনা ও ফজিলত
🔰 শবে বরাত কবে ২০২৫?
২০২৫ সালে শবে বরাত রাত (১৫ই শাবান) হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত, অর্থাৎ ১৪ শাবান দিন শেষে শুরু হবে। এর পরদিন অর্থাৎ ১৫ই শাবান (২৬ ফেব্রুয়ারি) শবে বরাতের রোযা রাখা মুস্তাহাব।
🌙 শবে বরাতের রোযা কেন রাখা হয়?
শবে বরাতের পরদিন রোযা রাখা সুন্নতে মুস্তাহাব। হাদীস শরীফে এসেছে:
আয়েশা (রা.) বলেন: আমি রাসুল (সা.)-কে এক রাত বিছানায় না পেয়ে খুঁজে পেলাম জান্নাতুল বাকিতে। তিনি বললেন: “আজ হচ্ছে মধ্য শাবান রাত, আল্লাহ এই রাতে তাঁর সৃষ্টি দিকে মনোনিবেশ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সকলকে ক্ষমা করেন।” (সুনান ইবনু মাজাহ: ১৩৮৯)
📿 শবে বরাতের রোযার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اَصُوْمَ غَداً عَنْ شَهْرِ شَعْبَانَ سُنَّةً لِلّٰهِ تَعَالٰى
উচ্চারণ:
“নওয়াইতু আন আছূমা গাদান আন শাহরি শাবান সুন্নাতাল্লিল্লাহি তাআলা”
বাংলা অর্থ:
আমি আগামীকাল শাবান মাসের রোযা রাখার জন্য নিয়ত করলাম, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে।
📘 শবে বরাতের রোযার ফজিলত
-
গুনাহ মোচনের সুযোগ: শবে বরাতের রাতে ক্ষমা প্রার্থনার পর পরদিন রোযা রাখা আল্লাহর নিকট আরো বেশি কবরযোগ্য।
-
নফল ইবাদতের মাধ্যমে নিকটবর্তী হওয়া: অতিরিক্ত নফল রোযা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম পথ।
-
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত: অনেক সহীহ হাদীসে এই রাত ও পরদিন রোযার গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।
🕋 শবে বরাতের রোযা কিভাবে পালন করবেন?
-
সকালেই নিয়ত করে রোযা রাখুন।
-
ফজরের নামাজ আদায় করুন।
-
দিনব্যাপী কুরআন তেলাওয়াত ও যিকির করুন।
-
দুপুরে, আসরের পর ও মাগরিবের পর নফল নামাজ পড়তে পারেন।
-
ইফতারে দোয়া পড়ে খেজুর ও পানি দিয়ে রোযা ভাঙুন।
📛 যে ভুলগুলো এড়িয়ে চলবেন
-
শবে বরাতের রোযাকে ফরজ বা ওয়াজিব মনে করবেন না। এটি সুন্নাতে মুস্তাহাব।
-
ইবাদতের নামে কোনো বিদআত বা নতুন প্রথা অনুসরণ করবেন না।
-
শুধু রাত জেগে ইবাদত করলেও, পরদিন রোযা না রাখলে পূর্ণতা আসে না।
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শাবান মাসের মধ্য রজনী হলো শবে বরাত।
তবে আরবি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখের ৩ দিন তিনটি রোজা রাখতেন। তিনি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সেই হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, ১৫ শাবান রাতে তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ।
এ হাদিস দিয়ে শবেবরাতের একটি নফল রোজা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিসে হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ তিনদিন তিনটি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
মধ্য শাবানের নফল রোজা
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত কর ও দিনে রোজা পালন কর। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। এ ছাড়া প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের নফল রোজা তো রয়েছেই, যা আদি পিতা হজরত আদম (আ.) পালন করেছিলেন এবং আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদও (সা.) পালন করতেন, যা মূলত সুন্নত।
সুতরাং তিনটি রোজা রাখলেও শবে বরাতের রোজা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তা ছাড়া, মাসের প্রথম তারিখ, মধ্য তারিখ ও শেষ তারিখ নফল রোজা গুরুত্বপূর্ণ; শবে কদরের রোজা এর আওতায়ও পড়ে। সওমে দাউদি বা হজরত দাউদ (আ.)-এর পদ্ধতিতে এক দিন পর এক দিন রোজা পালন করলেও সর্বোপরি প্রতিটি বিজোড় তারিখ রোজা হয়; এবং শবে কদরের রোজার শামিল হয়ে যায়।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
সর্বোপরি রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের পর রজব ও শাবান মাসে বেশি নফল ইবাদত তথা নফল নামাজ ও নফল রোজা পালন করতেন; শাবান মাসে কখনো ১০টি নফল রোজা, কখনো ২০টি নফল রোজা, কখনো আরও বেশি রাখতেন। রজব ও শাবান মাসের নফল রোজা রমজান মাসের রোজার প্রস্তুতি।
একটি রোজার মাসআলা
হাদিস শরিফে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা শরিফে হিজরতের পরে দেখতে পেলেন মদিনার ইহুদিরাও আশুরার একটি রোজা পালন করেন। তখন তিনি সাহাবিদের বললেন, আগামী বছর থেকে আমরা আশুরার আগে বা পরে আরও একটি রোজা রাখব, ইনশা আল্লাহ! যাতে তাদের সঙ্গে মিল না হয়।
তাই আশুরার রোজা অর্থাৎ মহররম মাসের দশম তারিখের রোজার সঙ্গে তার আগে বা পরে আরও একটি রোজা রাখা মোস্তাহাব। শবে বরাতসহ বছরের অন্য নফল রোজাগুলো একটি রাখতে বাধা নেই; বরং এক দিন পর এক দিন রোজা রাখা হজরত দাউদ (আ.)-এর সুন্নত বা তরিকা; যা নফল রোজার ক্ষেত্রে উত্তম বলে বিবেচিত এবং সওমে দাউদি নামে পরিচিত। অনুরূপভাবে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজাও আলাদা আলাদা বা একত্রেও রাখা যায়।
শবে বরাত ও হালুয়া-রুটি
শবে বরাতের সঙ্গে হালুয়া-রুটির একটি সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়। হালুয়া আরবি শব্দ। অর্থ হলো মিষ্টি বা মিষ্টান্ন। রাসুলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি পছন্দ করতেন এ কথা সুবিদিত; তিনি গোশতও পছন্দ করতেন তাও অবিদিত নয়। যা-ই হোক শবে বরাত হলো ইবাদতের রাত। দান-খয়রাত করা ও মানুষকে খাওয়ানো এক প্রকার ইবাদত। তবে এই দিন ও রাতকে হালুয়া-রুটিতে পরিণত করে ইবাদত থেকে গাফেল হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তেমনি হালুয়া-রুটির ওপর ফতোয়া প্রদান করাও উচিত নয়।
যাদের গুনাহ ক্ষমা হবে না
হাদিস শরিফে আছে, শবে বরাতে আল্লাহ তাআলা সবাইকে মাফ করবেন, তবে শিরককারী (অংশীবাদী) ও আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারীকে ক্ষমা করবেন না। অন্য বর্ণনায় এসেছে, শবে বরাতে আল্লাহ তাআলা সবাইকে মাফ করবেন। তবে শিরককারী (অংশীবাদী) ও হিংসাকারীকে ক্ষমা করবেন না। অহংকার পরিত্যাগ করুন; অহংকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। (বায়হাকি, শুআবুল ইমান)।
গুনাহ মাফ পাওয়ার সহজ পথ
বান্দার হক বা সৃষ্টির পাওনা পরিশোধ করে দিন; আত্মীয়স্বজনের হক আদায় করুন; মহান প্রভু আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন। পিতা-মাতার হক আদায় করুন; আল্লাহ আপনার প্রতি করুণা করবেন। সৃষ্টির প্রতি দয়াশীল হোন; আল্লাহ আপনার প্রতি দয়ালু হবেন। আপনি সবাইকে ক্ষমা করে দিন; নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন। খাঁটি তওবা করুন; তওবাকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন। বেশি বেশি ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করুন; আল্লাহ ইস্তিগফারকারীকে পছন্দ করেন। (বুখারি ও মুসলিম)।
শবে বরাতের নামায
শবে বরাতের রাতে এশার নামাযের পর থেকে সুবেহ্ সাদিক অর্থাৎ ফজর পর্যন্ত নফল নামায ও বিভিন্ন এবাদত পবিত্র কুরআন পাঠ, যিকির-আযকার, তসবিহ-তাহলীল করা যায়। এই রাতে কমপক্ষে ২ রাকাত করে ১২ রাকাত নফল নামায ও ৪ রাকাত ছালাতুত্ তাছবীহ্ নামায পড়া অতি উত্তম।
শবে বরাতের নামাযের নিয়ত বাংলায়
“নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা‘আ-লা- রাক‘আতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার”।
বাংলায় নিয়ত
“ আমি ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্ এর উদ্দেশ্যে শবে বরাতের দু‘রাক‘আত নফল নামায আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার”।
শবে বরাতের নামায দু‘রাকাত করে যত বেশী পড়া যায় তত বেশী ছওয়াব। নামাযের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক ছওয়াবের কাজ।
শবে বরাতের রোজা কবে
প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম পালন সুন্নাত নির্দেশিত গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত । এছাড়া রাসূলুল্লাহ শাবান মাসে বেশি বেশি সিয়াম পালন করতেন। সাধারণত তিনি শাবানের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত রোযা রাখতেন এবং অনেক সময় প্রায় পুরো শাবানই সিয়ামরত থাকতেন। এজন্য শাবানের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ অথবা অন্তত ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম পালন সুন্নাত সম্মত গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল। তবে শুধু ১৫ই শাবান সিয়াম পালনের বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য হাদীস পাওয়া যায় না।
সুতরাং তিনটি রোজা রাখলেও শবে বরাতের রোজা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। সর্বোপরি রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের পর রজব ও শাবান মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত তথা নফল নামাজ ও নফল রোজা পালন করতেন; শাবান মাসে কখনো ১০টি নফল রোজা, কখনো ২০টি নফল রোজা, কখনো আরো বেশি রাখতেন। রজব ও শাবান মাসের নফল রোজা রমজান মাসের রোজার প্রস্তুতি।
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ। (ইবনে মাজা, হাদিস- ১৩৮৪)
হাদিসে আছে, এ রাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার পরই আল্লাহতায়ালা প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। মাগরিব থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রহমত নিয়ে বান্দাদের রহমত দান করার জন্য প্রথম আসমানে আসেন এবং প্রচুর সংখ্যক মানুষের গোনাহকে ক্ষমা করেন।
হাদিসের ভাষ্যমতে এটা স্পষ্ট যে, এই রাত হচ্ছে আল্লাহর কাছে পাওয়ার রাত, চাওয়ার রাত। এই রাত হচ্ছে আল্লাহর দরবারে কাঁদার রাত। এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন গোনাহ মাফ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। তাই যত বেশি সম্ভব ইবাদত-বন্দেগি করার রাত এটি।
আলেমরা বলেন, শবে বরাতের মূল কাজই হলো- দিনে রোজা রাতে তাহাজ্জুদ। যারা অসুস্থ কিংবা দুর্বল, পুরো রাত ইবাদত করার শক্তি রাখেন না, তারা শবে বরাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে ভোররাতে উঠে যাবেন। যাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যায়। কারণ তাহাজ্জুদের সময় দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়।
❓ প্রশ্নোত্তর
১. শবে বরাতের রোযা ফরজ কি?
না, এটি ফরজ নয়। এটি একটি নফল রোযা, সুন্নাতে মুস্তাহাব হিসেবে বিবেচিত।
২. একা শবে বরাতের রোযা রাখা যাবে কি?
হ্যাঁ, একা রাখা যাবে। এটি নফল ইবাদত, একা পালন করাই সাধারণত হয়ে থাকে।
৩. নিয়ত না করে রোযা রাখা যাবে?
রোযার জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত না করলে রোযা গ্রহণযোগ্য হবে না।
৪. মহিলারা কি শবে বরাতের রোযা রাখতে পারবেন?
অবশ্যই পারবেন, তবে পবিত্রতা থাকা শর্ত।
৫. রোযা ভঙ্গ হলে কাফফারা দিতে হবে?
না, নফল রোযা ভাঙলে কাফফারা নয়, শুধু কাজা করলেই হয়।
উপসংহার
শবে বরাত ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় রাত, যেখানে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ার দৃষ্টিতে তাকান এবং অনুতপ্ত হৃদয়ের আহ্বানে সাড়া দেন। এই রাতের পরে রোজা রাখা একটি প্রশংসনীয় আমল, যা আমাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়ক হয়। তাই শবে বরাতের রোজা পালনের জন্য সঠিক নিয়ত ও দোয়ার জ্ঞান রাখা অত্যন্ত জরুরি।
২০২৫ সালের শবে বরাতের রোজায় নিয়ত করার সময় ও নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করে আপনি এই ফজিলতপূর্ণ আমলের পুরস্কার লাভ করতে পারেন।
আসুন, আমরা সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এই মহামূল্যবান রাত ও তার পরের রোজাকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ আমল হিসেবে গ্রহণ করি। নিয়মমাফিক নিয়ত ও দোয়া করে এই ইবাদতকে অর্থবহ করে তুলি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই পবিত্র রাত ও রোজার বরকত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আরও পড়ুন-শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে?
👉টেক নিউজের সকল খবর সবার আগে পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন!
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔