মৈত্রী এক্সপ্রেস হলো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী একটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন, যা ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করে। দুই দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০০৮ সালে চালু হওয়া এই ট্রেনটি এখন পর্যন্ত অন্যতম জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য যাতায়াত মাধ্যম।
আরও পড়ুন-অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার নিয়ম
এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন:
আরও পড়ুন
-
✅ মৈত্রী এক্সপ্রেসে টিকিট কিভাবে কাটবেন
-
🛂 যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা
-
🕓 ট্রেনের সময়সূচি
-
💸 ভাড়া ও ক্লাস অনুযায়ী সুবিধা
-
📍 স্টেশন ও প্রবেশ প্রক্রিয়া
-
📱 অনলাইন বুকিং পদ্ধতি
🎫 কিভাবে মৈত্রী এক্সপ্রেসের অনলাইন টিকিট কিনবেন?
২০২৫ সালে মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকিট কাটার জন্য আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
✅ অনলাইন বুকিং সাইট:
বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকিটিং:
https://eticket.railway.gov.bd/
🧾 প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
-
বৈধ পাসপোর্ট
-
বৈধ ভারতীয় ভিসা (Tourist/Medical)
-
NID (জাতীয় পরিচয়পত্র)
-
অনলাইন একাউন্ট (eticket.railway.gov.bd তে)
💳 পেমেন্ট অপশন:
-
মোবাইল ব্যাংকিং: Nagad, bKash, Rocket
-
ব্যাংক কার্ড: Visa, MasterCard
📩 বুকিং করার পর:
-
আপনি একটি ই-টিকিট PDF ডাউনলোড করতে পারবেন
-
একইসাথে মোবাইলে কনফার্মেশন মেসেজ পাবেন
-
ভ্রমণের দিন অবশ্যই পাসপোর্ট ও প্রিন্ট করা টিকিট সাথে রাখতে হবে
🗓️ মৈত্রী এক্সপ্রেসের সময়সূচি (২০২৫)
দিন | ছাড়ার সময় (ঢাকা) | পৌঁছানোর সময় (কলকাতা) |
---|---|---|
শুক্রবার | সকাল ৮:১৫ | সন্ধ্যা ৭:০০ |
সোমবার | সকাল ৮:১৫ | সন্ধ্যা ৭:০০ |
🕗 মোট যাত্রা সময়: প্রায় ১০ ঘন্টা
📍 ঢাকা রেলস্টেশন (কামালাপুর) → কলকাতা চিত্তরঞ্জন স্টেশন
💸 টিকিটের মূল্য ও ক্লাস অনুযায়ী সুবিধা
মৈত্রী এক্সপ্রেসে দুইটি শ্রেণী রয়েছে:
শ্রেণী | ভাড়া (প্রতি যাত্রী) | সুবিধা |
---|---|---|
AC First Class | প্রায় ৩৫০০-৪০০০ টাকা | কেবিন, আরামদায়ক আসন |
AC Chair Car | প্রায় ২০০০-২৫০০ টাকা | আধুনিক সিট, এসি ব্যবস্থা |
🔔 ভাড়া সময় ও ভ্রমণের তারিখ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
🛂 যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নিয়ম
যেহেতু এটি একটি আন্তর্জাতিক ট্রেন সার্ভিস, তাই আপনাকে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে:
-
বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়া যাত্রা করা যাবে না
-
টিকিটে থাকা তথ্য অবশ্যই পাসপোর্টের তথ্যের সাথে মিলতে হবে
-
যাত্রার ২ ঘণ্টা আগে স্টেশনে উপস্থিত হতে হবে
-
ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে (ঢাকা ও কলকাতার স্টেশনে)
🧭 মৈত্রী এক্সপ্রেস কোন কোন স্টপেজে থামে?
বাংলাদেশ অংশে:
-
ঢাকা কামালাপুর
-
ঈশ্বরদী জংশন
-
দর্শনা স্টেশন (ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স)
ভারত অংশে:
-
গেদে
-
কলকাতা চিত্তরঞ্জন স্টেশন
🔁 বিকল্প ট্রেন বা অপশন
বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্যে আরও কিছু আন্তঃদেশীয় ট্রেন রয়েছে যেমন:
-
বন্ধন এক্সপ্রেস (খুলনা → কলকাতা)
-
মিতালী এক্সপ্রেস (ঢাকা → নিউ জলপাইগুড়ি)
❓ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্ন ১: মৈত্রী এক্সপ্রেসে টিকিট কবে থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর: সাধারণত ১০-১৫ দিন আগে থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
প্রশ্ন ২: আমি কি একাধিক টিকিট কিনতে পারি?
উত্তর: হ্যাঁ, একাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন (সবার পাসপোর্ট ইনফো সহ)।
প্রশ্ন ৩: টিকিট বাতিল বা পরিবর্তন করা যাবে কি?
উত্তর: অনলাইন টিকিট বাতিল করা যায়, তবে নির্দিষ্ট ফি কাটা হয়। refund.bdrailway.gov.bd থেকে রিকোয়েস্ট দিতে হবে।
প্রশ্ন ৪: বাচ্চাদের জন্য টিকিট লাগবে?
উত্তর: ৫ বছরের নিচে শিশুর জন্য আলাদা টিকিট লাগে না, তবে আসন বরাদ্দ পেতে চাইলে পূর্ণ ভাড়া প্রযোজ্য।
📢 উপসংহার
বাংলাদেশ থেকে কলকাতা ভ্রমণের জন্য মৈত্রী এক্সপ্রেস একটি দারুণ ও সুবিধাজনক মাধ্যম। ২০২৫ সালে আপনি চাইলে ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সহজেই অনলাইনে টিকিট বুক করতে পারেন।
এটি সময় সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং তুলনামূলক সস্তা। আশা করছি এই গাইড আপনাকে অনলাইন টিকিট বুকিং সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন-এস আর ট্রাভেলস অনলাইন টিকেট বুকিং
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
আরও পড়ুন-পিজি হাসপাতাল অনলাইন টিকেট বুকিং