মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন –জানুন মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন করার সহজ এবং সঠিক নিয়ম, এছাড়াও আজকের পোস্টে জানতে পারবেন মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ২০২৩-২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
অর্থাৎ আজকের পোস্টে মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো আপনারা জানতে পারবেন এবং স্পেশালি মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইনে আবেদন কিভাবে করবেন সে বিষয়টি জানতে পারবেন।
আপনারা সকলে জানেন দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য গর্ব অবস্থায় এবং শিশু লালন পালন করা খুবই কঠিন একটি পরীক্ষা। অর্থের সংকটের কারণে এ সমস্যা সঠিক চিকিৎসার অভাব ও অপুষ্টির কারণে বহু শিশু ও মা মৃত্যুবরণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সাল থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা শুরু করেছে। যার ফলে বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন কার্যক্রম চালু করেছে।
২০১১ সাল থেকে মাতৃত্বকালীন গর্ভবতী ভাতার সকল কার্যক্রম গুলো মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালনা করে আসছে। তাই আপনি যদি মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করতে চান? তাহলে আজকের এই পোস্টে দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে খুব সহজে মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
মাতৃত্বকালীন ভাতা ২০২৩-২০২৪
মাতৃত্বকালীন ভাতা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের অপর গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে পুষ্টি সমৃদ্ধ আগামী প্রজন্ম তৈরির লক্ষ্যে গ্রামীণ এলাকার ৭ লক্ষ ৭০ হাজার দরিদ্র গর্ভবতী মাদের জন্য এই ভাতা প্রদান করছে।
এই কর্মসূচিতে সদর উপজেলা থেকে অর্থবছরের শুরুতে বরাদ্দ প্রাপ্তির ভিত্তিতে ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে ভাতা ভোগী নির্বাচন করা হয় এবং তিন মাস অন্তর অন্তর ভাতা প্রদান করা হয়।
মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায়?
মাতৃত্বকালীন বা গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে গর্ভ অবস্থান মেডিকেল রিপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে নির্দিষ্ট ফরমে বা মাতৃত্বকালীন অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে।
এরপর আবেদন পত্রটি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কাউন্সিলের অফিসে জমা দিতে হবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবেদন অনুমোদন করলে আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতা পাবেন।
মোট কথা হচ্ছে মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাকে মাতৃত্বকালীন ভাতার যতগুলি নিয়ম-কানুন আছে এই সকল নিয়ম-কানুন গুলি মেনে আপনাকে আবেদন পত্রটি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বা কাউন্সিলর অফিসে আপনি জমা দিবেন তারপর মাতৃত্বকালীন ভাতা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এটি চেক করবে সব কিছু তথ্য ঠিক থাকলে আপনারা আবেদন অনুমোদন করবেন। পরবর্তীতে আপনি প্রতি মাসে এই মাতৃত্বকালীন ভাতা পেয়ে যাবেন।
বর্তমানে আপনি চাইলে ঘরে বসেই এই মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন আপনি করতে পারবেন পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিয়ে দিবে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মাতৃকালীন ভাতা আপনার পাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন গুলি যদি সঠিক গাইড লাইন জানা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে এই মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন জমা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তাই অবশ্যই মাতৃত্বকালীন অনলাইন আবেদন করার পূর্বে জেনে শুনে সঠিক গাইড লাইন বুঝে তারপর আবেদন করবেন যা নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা নীতিমালা বা শর্ত সমূহ
মাতৃত্বকালীন ভাত অনলাইন আবেদন করার পূর্বে মাতৃত্বকালীন ভাতার যে নীতিমালা বা শর্তসমূহ রয়েছে এ বিষয়টি আপনাকে অবগত হতে হবে। মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কিত শর্তগুলি নীচে আলোচনা করছি-
- আবেদনকারীর বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে।
- আবেদনকারী প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভবস্থা হতে হবে।
- মাসিক আয় ১৫০০০ টাকা নিচে হতে হবে।
- দরিদ্র দুঃস্থ প্রতিবন্ধী মা অগ্রাধিকার পাবে এই মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনের ক্ষেত্রে।
- শুধুমাত্র বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গাতে বসবাস করে এমন হতে হবে।
- আবেদনকারীর নিজের বা পরিবারের কোনো কৃষি জমি অথবা মৎস্য চাষের জন্য পুকুর এ ধরনের কোন কিছু থাকা যাবে না।
- মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে।
- প্রতিবছর জুলাই মাসে ভাতা ভোগী নির্বাচন করা হয়। এ সময় অবশ্যই মাতৃত্বকালীন ভাতা ভোগীকে কমপক্ষে পাঁচ মাসের গর্ভবতী হতে হবে।
- মনে রাখবেন শুধুমাত্র দরিদ্র প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের জন্য এভাতা।
উপরের শর্তাবলী বিবেচনা করে ভাতা ভোগী নির্বাচিত হয়।
মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন যেভাবে👇
মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে “মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধীনস্থ মাতৃত্বকালীন ভাতা এমআইএস “এই ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে হবে।
এখানে অনলাইনে আবেদন করতে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, আবেদনকারীর অর্থ সামাজিক তথ্য, পেমেন্ট তথ্য, আবেদনকারীর ছবি/স্বাক্ষর এবং সংযুক্তি সহ আবেদনকারীর ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। মনে রাখবেন অনলাইনে মাতৃত্বকালীন আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রতিমাসের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াটি নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো –
ধাপ#১ :মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারী ব্যক্তি তথ্য পূরণ
প্রথমে মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারীকে ব্যক্তিগত তথ্যপূরণ করতে হবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে। আবেদন করতে এই লিংকটি ভিজিট করুন। নিচের ছবির মত আবেদনের ফরম আপনার সামনে ওপেন হবে।
- প্রথমে অর্থবছর নির্বাচন করুন। আপনি কোন অর্থবছরে আবেদন করতে চাচ্ছেন তা নির্বাচন করুন।
- এরপর জাতীয় পরিচয় পত্র- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা জন্ম তারিখ নির্বাচন করুন।
- আবেদনকারীর নাম বাংলায় লিখুন।
- আবেদনকারীর নাম ইংরেজিতে লিখবেন।
- আবেদনকারী পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামীর নাম লিখবেন।
- ব্যাচ নাম্বার এই ঘরে আপনি চলমান অর্থবছর সিলেক্ট করে দিন।
ব্যক্তিগত তথ্যের দ্বিতীয় ধাপ –
ডান পাশে আরেকটি আপনি চিহ্নিত ঘরগুলো আবশ্যক বলে একটি বক্স দেখতে পাবেন।
- যে নামে পরিচিত এই ঘরে আপনাকে যে নামে গ্রামে মানুষ চিনে থাকে সেই নামটি লিখুন।
- এরপর মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারীর, জন্মস্থান, ধর্ম, মোবাইল নাম্বার, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রক্তের গ্রুপ, বৈবাহিক তথ্য এ সমস্ত তথ্য গুলি প্রদান করুন।
- এনআরবি এখানে টিক মার্ক দিন যদি আপনি প্রবাসী বাংলাদেশী হন।
- আপনি যদি অন্য কোন সরকারি ভাতা পেয়ে থাকেন তাহলে এই অপশনের উপরে টিক করে দেন।
ধাপ#২ :মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারীর বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা
এ ধাপে মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারীর বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা ধাপে ধাপে ফিলাপ করুন।
- বর্তমান ঠিকানা যেমন -বাড়ি/ গ্রাম, রাস্তা /ব্লক /সেক্টর বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড নাম্বার, পোস্টাল কোড।ভোটার আইডি কার্ডে থাকাই সকল ইনফরমেশন দেখে তথ্যগুলি পূরণ করুন।
- ডান পাশে স্থায়ী ঠিকানা বলে একটি বক্স দেখতে পাবেন। যদি বর্তমান ঠিকানার মত একই হয় তাহলে খালি ঘরে ক্লিক করুন। অন্যথায় যে সকল ইনফরমেশন চেয়েছে সেই সকল ইনফরমেশন দিন।
ধাপ#৩:মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারীর অর্থ ও সামাজিক তথ্য
এ ধাপে নিচের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে, মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন পত্রের জন্য। আবেদনকারীর অর্থ ও সামাজিক তথ্য পূরণ করতে হবে।
👉পরিবারের প্রথম রোজগার কারী মহিলা আপনি কিনা সেটাতে আপনি হ্যাঁ অথবা না বাছাই করুন।
👉মাসিক আয় আপনাকে এখানে প্রদান করতে হবে যে মাসিক কত পরিমান ইনকাম আপনি করেন।
👉প্রতিবন্ধী হয়ে থাকলে আবেদনকারী এখান থেকে হ্যাঁ অথবা না নির্বাচন করুন।
👉বাসস্থান আছে কিনা হ্যাঁ অথবা না নির্বাচন করুন।
👉কৃষি জমি /পুকুর আছে কিনা হ্যাঁ অথবা না নির্বাচন করুন।
👉আবেদনকারীর বয়স উল্লেখ করুন।
👉গর্ভধারণ ক্রম -এখানে আবেদনকারী প্রথম গর্ভধারণ না দ্বিতীয় গর্ভধারণ তার নির্বাচন করুন।
উপরের এই ইনফরমেশনগুলি সঠিকভাবে প্রদান করুন।
ধাপ#৪ :মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারীর পেমেন্ট তথ্য
এ ধাপে মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারী পেমেন্ট পাওয়ার জন্য যে সকল তথ্য প্রয়োজন সেই সকল তথ্য নির্বাচন করুন।
👉পেমেন্টের ধরন -ভাতার টাকা ব্যাংকে নিবেন না মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবেন তা নির্বাচন করুন। মোবাইল ব্যাংকিং নির্বাচন করলে এখান থেকে বিকাশ, রকেট, শিওর ক্যাশ, ওকে ওয়ালেট, এম ক্যাশ, উপায়, নগদ যেকোনো একটি বাছাই করুন।
👉হিসাবে নাম -এখানে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম লিখুন।
👉হিসাবের নম্বর -এখানে আপনি যে মোবাইল ব্যাংকিং অপশনটি সিলেক্ট করেছেন সেই মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট নাম্বার প্রদান করুন।
উপরের সকল তথ্যগুলি অবশ্যই সঠিক দিবেন। কারণ পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করার পর আপনার এই অ্যাকাউন্টটি মাতৃত্বকালীন ভাতা টাকাটি প্রদান করবে।
ধাপ#৫ :মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদনকারীর ছবি ও স্বাক্ষর সংযোজন
মাতৃত্বকালীন অনলাইন আবেদনের শেষ ধাপে আবেদনকারীর ছবি ও তার স্বাক্ষরের ছবি সংযোজন করতে হবে। আগে থেকেই নিজের ছবি ও একটি কাগজে স্বাক্ষর করে তার স্পষ্ট ছবি সংগ্রহ করে আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে রাখুন। তারপর Browse option এ ক্লিক করে ছবির সিলেক্ট করতে হবে।
ফাইল আপলোড হয়ে গেলে ‘সংরক্ষণ করুন ‘এই অপশনে ক্লিক করুন।
উপরের এই ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনটি সঠিকভাবে প্রদান করা হয়ে গেলে পরবর্তীতে আপনার তথ্যগুলি যাচাই বাছাই করার পর আপনার মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আশা করছি অনলাইনের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন করার সম্পর্কে আপনি সঠিকভাবে বুঝতে এবং জানতে পেরেছেন।
তো চলুন মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কিত আরো তথ্য জেনে নেই
মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন ফরম pdf ডাউনলোড এবং পুরন
আপনি চাইলে অনলাইনে আবেদনের পাশাপাশি ম্যানুয়ালিও মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন ফরম অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে তা পূরণ করে নিকটস্থ শিশু ও মহিলা মন্ত্রণালয় জমা দিতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন ফরম উপজেলা উপকার ভোগীদের গর্ভধারণ বিষয় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট হতে বিনামূল্যে তা সংগ্রহ করে এবং আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় সংযোজন গুলো সংযুক্তি করে ইউনিয়ন পরিষদের অথবা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর অনুমতি পত্র নিয়ে তা শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জমা দিতে পারবেন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
তবে সবচাইতে সহজ হবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঢাকার ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি নিচের দেওয়া লিঙ্ক থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কটি ভিজিট করুন 👇
মাতৃত্বকাল ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন পত্রটি নিচের ছবির মত হবে।
👉আবেদন পত্রটিতে পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি সংযুক্তি করবেন।
👉আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামীর নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা লিখে দিবেন।
👉এছাড়াও আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার, জন্ম তারিখ, জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রদান করবেন।
👉এবং আবেদনকারীর রক্তের গ্রুপ, প্রথম গর্ভধারণকাল, দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল, প্রতিবন্ধী কিনা টিক দিতে হবে।
👉এছাড়াও পেশা, আবেদনকারীর মাসিক আয়, আবেদনকারী পরিবারের উপার্জন ক্ষমতা মহিলার সংখ্যা, বসতবাড়ি আছে কিনা টিক দিতে হবে। সরকার প্রদত্ত অন্যান্য কোন সুবিধা বা ভাতা পাচ্ছেন কিনা তা টিক দিতে হবে
উপরের এই সকল তথ্যগুলি দেয়া হয়ে গেলে আপনি নিচে গিয়ে তারিখ দিয়ে আবেদনকারী স্বাক্ষর দিয়ে আবেদন ফরমটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংযোজন সংযুক্তি করে মা ও শিশু মন্ত্রণালয় জমা দিতে হবে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা?
মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন করার পর আবেদনকারী চূড়ান্ত নির্বাচিত হলে গর্ভবতী মহিলাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা হিসাবে প্রতিমাসে ৮০০ টাকা করে ছয় মাস পর পর ৪৮০০ টাকা প্রদান করা হবে।
এভাবে মাতৃত্বকালীন ভাতা হিসেবে একজন গর্ভবতী মাকে দুই বছর অর্থাৎ ২৪ মাস অর্থ প্রদান করবে সর্বমোট ১৯২০০ টাকা।
আর যদি গর্ভবতী মা তৃতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে হয় তাহলে তিন বছর অর্থাৎ ৩৬ মাসে ৬ বার ৪৮০০ করে মোট ২৮ হাজার ৮০০ টাকা ভাতা প্রদান করবে বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ মা ও শিশু অধিদপ্তর।
মাতৃত্বকালীন ভাতা চেক বা মাতৃত্বকালীন ভাতা তালিকা
ধরুন আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন করেছেন তা পূরণ করে সঠিকভাবে মা ও শিশু মন্ত্রণালয় জমা দিয়েছেন। কিন্তু আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতা হিসাবে আপনার নামটি সংযোজন হয়েছে কিনা সেটি দেখার জন্য নিচের দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করুন অর্থাৎ মাতৃত্বকালীন ভাতা চেক বা মাতৃত্বকালীন ভাতা তালিকা আপনি আপনার ইউনিয়নের ওয়ার্ডের বা পৌরসভার কিভাবে বের করবেন সেটি আপনাদেরকে দেখাচ্ছি।
- মাতৃত্বকালীন ভাতা চেক করার জন্য প্রথমেই”বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন” এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- এরপর এই ওয়েবসাইটের হোমপেজ চলে আসলে এখান থেকে আপনি আপনার জেলা, উপজেলা,থানা, আপনার ইউনিয়ন বাছাই করুন।
- এখন আপনি “বিভিন্ন তালিকা” এই অপশন থেকে”মাতৃত্বকালীন ভাতা” এই অপশন টির উপরে ক্লিক করে দিন । সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে আপনার ইউনিয়ন পরিষদের কতজন গর্ভবতী মা বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছে অর্থাৎ মাতৃত্বকালীন ভাতা তালিকাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
এভাবে আপনারা যে কোন ইউনিয়ন পরিষদের মাতৃত্বকালীন ভাতা চেক দিতে পারবেন।
মাতৃত্বকালীন ভাতা বয়সসীমা
মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য বা মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য একজন গর্ভবতী মা বয়সসীমা কত দরকার সে বিষয়টি আমরা অনেকেই জানি না।
মা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে হলে একজন গর্ভবতী মায়ের ২০-৩৫ বছর বয়সসীমা হতে হবে।অবশ্যই তা ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্ন থাকে যেগুলি আমি নিচে তার উত্তর দিয়ে দিচ্ছি যাতে সহজে আপনি এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পান।
মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা কোন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দেয়?
মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা নগদ, বিকাশ, রকেট, উপায় শিওর ক্যাশ, ওকে ওয়ালেটের মাধ্যমে প্রদান করে থাকে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার উপায় কি?
মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে অথবা অফলাইনে। মা ও শিশু মন্ত্রণালয় আপনার আবেদন পত্রটি যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন প্রদান করলে আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতা পাবেন।
মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে?
মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন করার জন্য মহিলার বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে, জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে, গর্ভাবস্থার মেডিকেল রিপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ আবেদন করতে হবে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা?
যতগুলি বাংলাদেশে ভাতা প্রদান করা হয় এর মধ্যে মাতৃত্বকালীন ভাতার পরিমাণই শুধু বেশি। একজন গর্ভবতী মাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রতি ছয় মাস পর পর মাসে ৮০০ টাকা হারে ১২ মাসে ৪৮০০ টাকা প্রদান করা হয়।
মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন কত তারিখে করতে হয়?
মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন প্রতিমাসের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে অথবা অনলাইনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আবেদন করতে হয়।
মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদনের শেষ তারিখ?
ভ্রাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন আপনি প্রতি মাসের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে করতে হবে।
শেষ কথা -মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা নিয়ে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন অনেকে। তাই আমাদের সচেতন নাগরিক হিসেবে উচিত। মাতৃত্বকালীন ভাতা টাকা নিয়ে কোন মা যাতে হয়রানি না হয় এজন্য মা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে।
মনে রাখবেন, হয়রানি কারিকে আল্লাহ তা’আলা নিজে পছন্দ করেন না।
আশা করছি মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলি এই পোস্টে আপনারা পেয়ে গিয়েছেন। যদি বিন্দু পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন অথবা কোন ধরনের প্রশ্ন অথবা জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের কমেন্টসে জানিয়ে দিবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য – মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কিত উপরের পোস্টে ভাষা জনিত কোন ধরনের ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এই আর্টিকালের সকল তথ্য গুলি মা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত। তাই যেকোনো সময় পরিবর্তন পরিবর্ধন হতে পারে। পরিবর্তন হলে আমরা বুঝতে পারলে অবশ্যই তা পরিবর্তন করে আপনাদের মাঝে প্রেরণ করা হবে।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
আপনার জন্য-
প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন ফরম পূরণ করার সহজ নিয়ম প্রতিবন্ধী ভাতা কবে দিবে? প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা? প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম কি? মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার নতুন মাধ্যম (প্রমাণসহ) গেম খেলে টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশে –নগদে -রকেটে
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় বাংলাদেশি ই সার্ভিস সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।