গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট-বাংলাদেশের মানুষের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ার সাথে সাথে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধেরও বিভিন্ন ভ্যারাইটিজ তৈরি হয়েছে। অসংখ্য ওষুধ কোম্পানি গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করছে। কারণ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের চাহিদা রোগটির সাথে সাথে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। মানুষ ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া অথবা পরামর্শ ক্রমে এই ওষুধ সেবন করে গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে সাময়িক সময়ের জন্য দূরে রাখতে পারে। তবে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের এত কোম্পানির মধ্য থেকে কোন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধটি খাওয়া ভালো সেটি আসলে বলা কষ্টকর।
বন্ধুরা আমরা আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কোনটি খাওয়া ভালো এই সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।অনেকেই গুগলের সার্চ করে থাকেন কোন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধটি আপনি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে খাবেন। আজকের আলোচনায় আশা করছি আপনারা এই প্রশ্নের উত্তরটি পাবেন।
গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ
গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ গ্যাস্টিকের সমস্যার সমাধানে সেবন করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যখন আয়ত্তের মধ্য থাকে তখন অনেকেই ফার্মেসি থেকে নিজের ইচ্ছামত যে কোন কোম্পানির গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কিনে খায়। বাজারে এমন অনেক ধরনের গ্যাস্ট্রিক ওষুধ রয়েছে। এই ঔষধ কোম্পানির গুলোর নাম বলে শেষ করা যাবে না। গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণায় সকল ঔষধি কমবেশি কাজ করে। তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কিন্তু শরীরের জন্য উপকারের চেয়ে অপকারি বেশি।
গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই জেনে বুঝে এবং অনেকেই না জেনে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবন করেন।তবে না জেনে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করা কখনোই উচিত কাজ নয়। অবশ্যই আপনি আপনার নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মীর অথবা আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবন করবেন। গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সাধারণত খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে খেতে হয়। আপনি খাবার খাওয়ার আধাঘন্টা আগে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবেন তারপর আধা ঘন্টা পার হলে আপনি আপনার খাবার খাবেন। তবে যদি কোন কারণে আপনি খাবার আগে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে ভুলে যান তাহলে খাওয়ার ৩০ মিনিট পরেও খেতে পারেন।
গ্যাসের ওষুধ সাধারণত প্রতিদিন একটার বেশি খাওয়া উচিত নয়।তবে যদি আপনি আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান এবং তিনি যদি আপনাকে বলেন তিন বেলা গ্যাসের ওষুধ খেতে তাহলে আপনি তিন বেলায় গ্যাসের ঔষধ সেবন করবেন।আর তা না হলে যদি আপনি নিজে নিজেই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে কোন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান তাহলে প্রতিদিন একটি করে ওষুধের বেশি খাবেন না।
গ্যাস্ট্রিকের ঔষুধের নাম
বাজারে এখন বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ পাওয়া যায়।বাজারের এইসব কোম্পানির ঔষধ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কোম্পানির ঔষধের নাম হলো:
*রেনিটেডিন।
*সার্জেল।
*রোলাক।
*সেকলো।
*রাবি প্লাজল
*ইসুমি প্লাজল
*প্যানটোনিক্স।
*নিউ ট্রাক।
*ওর ট্রাক।
*লোসেক্টিল।
*ম্যাক্সপ্রো।
*এক্সিজিয়াম।
*ওসেপ্লাজল।
*ইসুলুক।
*এন্টাসিড ইত্যাদি।
গ্যাস্ট্রিকের জন্য কোন ওষুধটি খাওয়া ভালো
বাজারের বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কোম্পানিদের সকল ঔষধি গ্যাস্ট্রিকের জন্য উপকারী। তবে আসলে চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন গ্যাস্ট্রিকের জন্য কোন ওষুধটি আপনার খাওয়া উচিত। তবে সাধারণত বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে যে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ গুলো সেগুলো হচ্ছে;
*সার্জেল ২০ এমজি।
*সেক্লু ২০ এমজি।
*এন্টাসিড।
*ম্যাক্সপ্রো।
*ওমেপ্রাজল।
*ফিনিক্স ২০ এমজি।
*ওপি ২০ এমজি।
*লোসেক্টিল।
*টার্গেট ২০ এমজি।
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলে কি হয়
যাদের অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাঁদের শরীরের গ্যাস্ট্রিক থেকে হওয়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য গ্যাস্ট্রিক নিরাময় ঔষধ সেবন করা হয়। এসব গ্যাস্টিকের ওষুধগুলো গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের গ্যাসের মাত্রা কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তবে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলে যে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক মুক্ত থাকা যায় এমন কিন্তু নয়। সাময়িক সময়ের জন্য গ্যাস্ট্রিক কম থাকে ওষুধ সেবনের ফলে।তবে মন চাইলেই ওষুধ খাওয়া যাবেনা ওষুধ খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম এবং সময় মেনে ওষুধ খেতে হবে।
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলে কি হয়
কোন ঔষধি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। আর অতিরিক্ত কোন ঔষধি শরীরের পক্ষে ভালো নয়।আমরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকলে সবার আগে ওষুধ খেয়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর চেষ্টা করি। এভাবে প্রতিদিন দুই-তিনবার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করে থাকি চিকিৎসকের কোন পরামর্শ ছাড়া। এটার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন:
*ভিটামিন বি এর অভাব দেখা দেয়।
*কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
*শরীরকে দুর্বল করে দেয়।
*শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বালাপোড়া হয়।
*ঘনঘন মাথা ব্যথা হয়।
*ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
*চোখের সমস্যা হয়।
*গ্যাস ও বেড়ে যায়। ওষুধ না খেলে কমতে চায় না।
*মাথা ঘোরে।
*অস্বস্তি লাগে।
*মেরুদন্ডে ফ্র্যাকচার।
*লিভারের এনজাইম।
*বমি বমি ভাব হয়।
*হাত পা ফুলে যায়।
*খাদ্যনালীতে সমস্যা হয়।
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনে সাবধানতা
গ্যাস্ট্রিকের মতো সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখা দিলেই যে কিছু না বুঝেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হবে তা কিন্তু ঠিক নয়। অনেক সময় একাধিক রোগের লক্ষণ একই রকম হয় তাই অন্য রোগের কারণে যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাই যে কোন রোগ থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
আপনার চিকিৎসক কি আপনাকে ভালো পরামর্শ দিতে পারবে যে কোন ঔষধটা আপনার জন্য ভাল কোন ঔষধটা আপনার জন্য খাওয়া উচিত নয়। কাজেই না বুঝে না জেনে কখনোই ওষুধ সেবন করবেন না। শরীরকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই জেনে বুঝে ওষুধ খাওয়া ভালো।
সচারচর জিজ্ঞাসা
গ্যাস্ট্রিক থেকে ক্যান্সার হতে পারে কি?
গ্যাস্ট্রিক যদি অতিমাত্রায় বেড়ে যায় এবং যথাযথ চিকিৎসা সঠিক সময়ে নেওয়া না হয় তাহলে গ্যাস্ট্রিক থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কি কি ওষুধ খাওয়া যাবে?
রেনিটিডিন, প্যান্টোনিক্স সেকলো, সার্জেল, এন্টাসিড, এক্সিয়াম, ম্যাক্সপ্রো ইত্যাদি ওষুধ ছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে।
গ্যাস্ট্রিকের জটিল রোগ সৃষ্টিকারী রোগ?
হ্যাঁ অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক একটি জটিল রোগ। এবং এটি একাধিক জটিল রোগের সৃষ্টিকারী।
শেষ কথা
আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে গ্যাস্ট্রিকের জন্য কোন ওষুধটি খাওয়া ভালো এই সম্পর্কে। ইতোমধ্যেই আপনারা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এ বিষয়ে কারো কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের যদি আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলো ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন আমাদের ওয়েবসাইটের কথা।আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন। আজকের মতো এ পর্যন্তই।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
বাইক চালানোর পূর্বে যে সকল বিষয় চেক করবেন
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।