বাংলাদেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা করেছে যে ২০২৫ সালের ১০ নভেম্বরের পর থেকে ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। তাই যারা এখনো নিজের বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী ভোটার তথ্য আপডেট করেননি, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
আরও পড়ুন-ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম কোথায় পাওয়া যায়?
কেন ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন করা প্রয়োজন?
ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন মানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে (NID) নিবন্ধিত ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকা পরিবর্তন করা।
এটি সাধারণত নিচের কারণগুলোতে করা হয়ঃ
- বাসস্থান পরিবর্তন বা নতুন ঠিকানায় স্থানান্তর।
- কর্মস্থল বা পড়াশোনার কারণে অন্য জেলায় বসবাস।
- পারিবারিক কারণে স্থায়ী ঠিকানা বদল।
ঠিকানা পরিবর্তন না করলে ভবিষ্যতের নির্বাচনে নিজের এলাকায় ভোট দিতে অসুবিধা হতে পারে।
কখন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে?
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী,
👉 ২০২৫ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় আবেদন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
কীভাবে ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করবেন?
ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য দুটি উপায় রয়েছে – অনলাইনে এবং সরাসরি ইসি অফিসে গিয়ে।
🔹 অনলাইন আবেদন পদ্ধতি (NID Portal এর মাধ্যমে):
- https://services.nidw.gov.bd লিংকে যান
- আপনার NID বা স্মার্ট কার্ড নম্বর এবং জন্মতারিখ দিয়ে লগইন করুন
- “Information Update” অপশনটি সিলেক্ট করুন
- “Address Change” অপশন থেকে নতুন ঠিকানার তথ্য দিন
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (যেমন বাড়ি ভাড়া চুক্তিপত্র, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি) আপলোড করুন
- ফর্ম সাবমিট করে ফি পরিশোধ করুন
- পরবর্তীতে নির্ধারিত অফিস থেকে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে
🔹 সরাসরি আবেদন পদ্ধতি:
- নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন
- নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে আবেদন জমা দিন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে (যেমন জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, নতুন ঠিকানার প্রমাণপত্র)
- বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ ও ছবি) যাচাই শেষে নতুন ঠিকানা হালনাগাদ হবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
-
পুরোনো ও নতুন ঠিকানার প্রমাণপত্র
-
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
-
আবেদনকারীর সদ্য তোলা ছবি
-
গৃহকর্তার বা বাড়িওয়ালার সম্মতিপত্র (যদি ভাড়া থাকেন)
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
-
আবেদন জমা দেওয়ার পর তথ্য যাচাই ও বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করতে ভুলবেন না।
-
নির্ধারিত সময়ের (১০ নভেম্বরের আগে) মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে পরবর্তী আপডেট পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
-
অনলাইন আবেদন অসম্পূর্ণ থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: ১০ নভেম্বরের পর আবার কবে আবেদন করা যাবে?
উত্তর: সাধারণত নির্বাচন তালিকা হালনাগাদ শেষে পরবর্তী ঘোষণার সময়ে পুনরায় আবেদন চালু হয়। সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্বাচন কমিশন জানাবে।
প্রশ্ন ২: অনলাইনে আবেদন করলে সরাসরি অফিসে যেতে হবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার পর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের জন্য স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যেতে হয়।
প্রশ্ন ৩: ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য কত টাকা লাগে?
উত্তর: ঠিকানা পরিবর্তনের ফি সাধারণত ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে নির্ধারিত (ইসি নীতিমালা অনুযায়ী)।
শেষ কথা
যারা নতুন এলাকায় বসবাস করছেন বা ভবিষ্যতে নিজ এলাকায় ভোট দিতে চান, তাদের জন্য এখনই ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করার সঠিক সময়। ১০ নভেম্বরের পর এই সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, তাই দেরি না করে আজই অনলাইনে আবেদন করুন অথবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!
আরও পড়ুন-এখন আর থানায় জিডি নয়! হারানো NID অনলাইনে পাবেন সহজেই
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔


