রবি ও গ্রামীণফোন এর এই উদ্যোগ শুরু হলো ৫জি যুগ!কোন কোন এলাকায় ৫জি চালু হলো?

বাংলাদেশের টেলিকম খাতে নতুন ইতিহাস রচিত হলো—দেশের দুই শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনরবি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে বহুল প্রতীক্ষিত ৫জি নেটওয়ার্ক। এদেশে আগে শুধু পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালানো হলেও এবার প্রথমবারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে এটি উন্মুক্ত হলো।

বিশ্ব ইতিমধ্যেই ৫জি যুগে প্রবেশ করেছে, এবার বাংলাদেশের মানুষও পাচ্ছে তার স্বাদ। দ্রুততম ইন্টারনেট স্পিড, নিম্ন ল্যাটেন্সি আর স্মার্ট প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই ৫জি সেবা বদলে দেবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই আসবে যুগান্তকারী পরিবর্তন।

আরও পড়ুন-কোন কোন এলাকায় ৫জি চালু হলো?

কোন কোন এলাকায় ৫জি চালু হলো?

রবি সিমে

  • প্রথম পর্যায়ে রবি ঢাকার শ্যামবাগ, ফকিরাপুল এবং নিজস্ব অফিস এলাকায় ৫জি চালু করেছে।

  • পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেটেও সীমিত আকারে এই সেবা চালু করা হয়েছে।

গ্রামীণফোন

  • রবি যখন আংশিক এলাকায় চালু করে, কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামীণফোন আরও বড় পরিসরে সমস্ত বিভাগীয় শহরে ৫জি চালুর ঘোষণা দেয়।

  • অর্থাৎ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ—সব বিভাগীয় শহরে এখন গ্রামীণফোনের ৫জি নেটওয়ার্ক চালু।

৫জি ব্যবহার করতে কী কী লাগবে?

  1. ৫জি সাপোর্টেড মোবাইল ফোন – নতুন প্রজন্মের স্মার্টফোন যেমন Samsung, iPhone, Xiaomi, Oppo, Vivo, OnePlus এর আধুনিক মডেলগুলোতে ৫জি সাপোর্ট রয়েছে।

  2. ৫জি সাপোর্টেড সিম কার্ড – অনেক সময় বর্তমান ৪জি সিম দিয়েও ৫জি চালানো সম্ভব, তবে কিছু ক্ষেত্রে নতুন সিম নিতে হতে পারে।

  3. অপারেটর কর্তৃক চালু করা ৫জি প্যাকেজ/ডাটা প্ল্যান – অপারেটররা শিগগিরই আলাদা ৫জি ডাটা অফার চালু করবে।

  4. সঠিক নেটওয়ার্ক সেটিংস – ফোনের “Mobile Network Settings” থেকে 5G/Auto সিলেক্ট করতে হবে।

কেন ৫জি গুরুত্বপূর্ণ?

  • অতিদ্রুত ইন্টারনেট স্পিড – বর্তমান ৪জির তুলনায় ৫জি স্পিড হবে কয়েকগুণ বেশি।

  • লো ল্যাটেন্সি – অনলাইন গেমিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, AR/VR ব্যবহার আরও মসৃণ হবে।

  • স্মার্ট প্রযুক্তির সমন্বয় – IoT, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হেলথকেয়ার, স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রি বাস্তবায়নে ৫জি হবে মূল ভিত্তি।

  • অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি – ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনকে আরও ত্বরান্বিত করবে এবং নতুন ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।

বাংলাদেশের ৫জি কভারেজ সারসংক্ষেপ

অপারেটর চালুর সময় প্রথম পর্যায়ের কভারেজ
রবি দুপুরে প্রথম চালু ঢাকা (শ্যামবাগ, ফকিরাপুল), রবি অফিস, চট্টগ্রাম ও সিলেট আংশিক এলাকা
গ্রামীণফোন বিকেলে, রবি-র কিছু পরেই দেশের সব বিভাগীয় শহর (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ)

প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে কোন অপারেটর প্রথম ৫জি চালু করলো?
উত্তর: রবি প্রথম ঘোষণা দিয়ে ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ৫জি চালু করে। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রামীণফোন বিভাগীয় শহরজুড়ে ৫জি চালু করে বড় পরিসরে এগিয়ে যায়।

প্রশ্ন ২: আমার বর্তমান সিম দিয়ে কি ৫জি ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর: অনেক ক্ষেত্রে হ্যাঁ, তবে কিছু ব্যবহারকারীর নতুন সিম নিতে হতে পারে। আপনার অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

প্রশ্ন ৩: ৫জি ব্যবহার করতে কি নতুন ফোন কিনতে হবে?
উত্তর: আপনার বর্তমান ফোন যদি ৫জি সমর্থন না করে, তবে নতুন ফোন কিনতে হবে। সেটিংসে গিয়ে দেখে নিতে পারেন ফোনে ৫জি অপশন আছে কি না।

প্রশ্ন ৪: ৫জি প্যাকেজ কবে থেকে পাওয়া যাবে?
উত্তর: আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালু হয়েছে। শিগগিরই অপারেটররা আলাদা ৫জি ডাটা প্যাকেজ চালু করবে।

প্রশ্ন ৫: ৫জি চালুর ফলে আমাদের কী সুবিধা হবে?
উত্তর: ইন্টারনেট হবে অনেক দ্রুত, গেমিং হবে ল্যাগ-ফ্রি, অনলাইন ক্লাস ও ভিডিও কলে মিলবে দারুণ অভিজ্ঞতা, আর শিল্প-অর্থনীতিতেও আসবে বড় পরিবর্তন।

উপসংহার

বাংলাদেশ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ৫জি যুগে প্রবেশ করেছে। রবি ও গ্রামীণফোন এর এই উদ্যোগ দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য এক বিশাল পদক্ষেপ। শুরুটা সীমিত এলাকা থেকে হলেও শিগগিরই সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে এই প্রযুক্তি।

আজকের এই দিনটি বাংলাদেশিদের জন্য প্রযুক্তিগত ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। খুব শিগগিরই আমরা সবাই উচ্চগতির ইন্টারনেট, স্মার্ট কানেক্টিভিটি আর আধুনিক ডিজিটাল সেবার স্বাদ পাব।

ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!

আরও পড়ুন-কিভাবে ফোনে 5G চালু করবেন?

👉টেক নিউজের সকল খবর সবার আগে পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন!

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি মোঃ সানাউল বারী। পেশায় আমি একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি, আমি গত ১৪ বছর ধরে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য - লেখায় যদি কোনও ভুল থাকে, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। ধন্যবাদ।