বাংলাদেশের প্রবাসে কর্মরত বা বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক প্রত্যেক কর্মীর জন্য BMET (Bureau of Manpower, Employment and Training) এর Emigration Clearance Card বা স্মার্ট কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। এই কার্ড প্রবাসীদের বৈধ ভ্রমণ ও কর্মসংস্থানের অনুমোদন নিশ্চিত করে। এখন এটি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব, যা প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ ও সময় সাশ্রয়ী করেছে।
আরও পড়ুন-১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
BMET Emigration Clearance Card কী?
BMET Emigration Clearance Card হলো বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET) কর্তৃক প্রদত্ত একটি অফিসিয়াল কার্ড, যা বিদেশগামী শ্রমিকদের বৈধভাবে কাজের অনুমোদন দেয়। এটি একটি স্মার্ট কার্ড, যেখানে কর্মীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর, গন্তব্য দেশ, নিয়োগকারী সংস্থার তথ্যসহ সব প্রয়োজনীয় ডেটা সংরক্ষিত থাকে।
অনলাইনে BMET Clearance Card সংগ্রহের ধাপসমূহ
বিদেশে যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা এখন ঘরে বসেই BMET Clearance Card সংগ্রহ করতে পারেন নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে:
ধাপ ১: অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
👉 ভিজিট করুন:
🔗 https://bmet.gov.bd
ধাপ ২: অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করুন
-
“Online Registration for Workers” বা “Smart Card/Emigration Clearance” অপশনটি নির্বাচন করুন।
-
সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিন:
-
পূর্ণ নাম (পাসপোর্ট অনুযায়ী)
-
পাসপোর্ট নম্বর
-
মোবাইল নম্বর
-
জন্ম তারিখ
-
গন্তব্য দেশ
-
রিক্রুটিং এজেন্সির তথ্য
-
ধাপ ৩: ছবি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন
আপনার সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং নিচের ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে—
-
বৈধ পাসপোর্টের স্ক্যান কপি
-
মেডিকেল রিপোর্ট
-
চুক্তিপত্র (Employment Contract)
-
ভিসা কপি
ধাপ ৪: ফি পরিশোধ করুন
BMET ক্লিয়ারেন্স কার্ডের ফি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, যা অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং (bKash, Nagad, Rocket) বা ব্যাংক পেমেন্টের মাধ্যমে দেওয়া যায়।
ধাপ ৫: যাচাই ও ডাউনলোড
তথ্য যাচাই শেষে BMET থেকে অনলাইন অনুমোদন পেলে আপনি কার্ডটি PDF ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা নিকটস্থ BMET অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড আকারে সংগ্রহ করতে পারবেন।
BMET Clearance Card এর মূল সুবিধাসমূহ
✅ বৈধভাবে বিদেশে চাকরির নিশ্চয়তা:
এই কার্ড প্রমাণ করে আপনি সরকার অনুমোদিত চ্যানেলে বিদেশে যাচ্ছেন।
✅ প্রবাসে সুরক্ষা সুবিধা:
প্রয়োজনে দূতাবাস বা BMET কর্তৃপক্ষ সহজেই আপনার তথ্য যাচাই করতে পারে।
✅ ডিজিটাল ভেরিফিকেশন সিস্টেম:
QR কোড স্ক্যানের মাধ্যমে আপনার তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা যায়।
✅ অর্থনৈতিক ও আইনগত নিরাপত্তা:
এই কার্ডধারী কর্মীরা সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন।
✅ ডেটা সংরক্ষণ সুবিধা:
BMET-এর সার্ভারে কর্মীর সম্পূর্ণ তথ্য নিরাপদে সংরক্ষিত থাকে, যা ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনেই ব্যবহারযোগ্য।
কোথায় যোগাযোগ করবেন?
📍 BMET সদর দপ্তর:
E-89, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১০০০
📞 হেল্পলাইন: +8802-9335382
🌐 ওয়েবসাইট: https://bmet.gov.bd
যাচাই করার উপায় (Verification)
আপনি যদি ইতিমধ্যে BMET Clearance Card পেয়ে থাকেন, তাহলে অনলাইনে যাচাই করতে পারেন:
-
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে সার্চ করুন।
-
আপনার তথ্য ও কার্ডের স্ট্যাটাস তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাবে।
উপসংহার
বর্তমান সময়ে বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য BMET Emigration Clearance Card অপরিহার্য। এটি শুধু আইনি অনুমোদনই দেয় না, বরং প্রবাসে নিরাপত্তা, সুবিধা ও সরকার কর্তৃক সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তাও প্রদান করে। তাই যারা প্রবাসে যেতে চান, তারা আজই bmet.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এই কার্ড সংগ্রহ করুন।
আরও পড়ুন-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?সর্বশেষ ফি কত?
ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔


