আমরা অনেকেই তারাবির নামাজ পড়ি কিন্তু এই নামাজের দোয়া ও মোনাজাত জানিনা। আজ আপনাদের তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থসহ, তারাবির নামাজের দোয়া, তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন, তারাবির নামাজ কত রাকাত, কত রাকাত পর পর দোয়া পরতে হয় বিস্তারিত সব জানাবো।
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমি সারমিন সিদ্দিকা(আইভি) সবাইকে রমজান মাসের শুভেচ্ছা।
হিজরি মাসগুলোর মাঝে রমজান সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ন মাস কারন এই মাসে পবিত্র কোরআন মাজিদ নাজিল করা হয়। আর রমজান মাসের ফজিলত অনেক, এই মাসে বান্দার সকল ইবাদত আল্লাহ রব্বুল আলামিন 70 থেকে 700 গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে থাকেন। তাই আমরা এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত করে থাকি।
“এই মাসে মহান আল্লাহ আমাদের জন্য সিয়াম “অর্থাৎʼʼ রোজা নির্ধারন করে দিয়েছেন। ইবাদত সমূহের মধ্যে রোজার গুরুত্ব অনেক। এই মাসে “মুসলিমরাʼʼ দিনের বেলা রোজা রাখে আর রাতের বেলা তারাবির নামাজ পড়ে। ”
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থসহ
তারাবির নামাজ শেষে সবাই সমবেতভাবে মুনাজাত করে। অনেক মসজিদে প্রতি ৪ রাকাআত পর পর মুনাজাত করা হয়। আবার অনেকে একাকি মুনাজাত করে। এ মুনাজাত সমবেত হোক আর একাকি হোক যে কোনো দোয়া দিয়ে তা করা যেতে পারে। মনের একান্ত কথাগুলো যেভাবে ইচ্ছা আল্লাহর কাছে তুলে ধরায় কোনো অসুবিধা নেই। তবে তারাবিহ নামাজের দোয়ার মতো মুনাজাতেরও একটি ব্যাপক প্রচলিত মুনাজাতের দোয়া রয়েছে। আর তাহলো —
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
বাংলা অর্থ: পবিত্রতা ঘোষণা করছি তাঁর, যিনি ইহজগৎ ও ফেরেশতা ও জগতের প্রভু, সেই আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করছি যিনি মহিমাময় বিরাট, ভীতিপূর্ণ, শক্তিময়, গৌরবময় এবং বৃহত্তর। আমি সেই প্রতিপালকের গুণগান করছি, যিনি চিরঞ্জীব, যিনি কখনও নিদ্রা যান না এবং যার কখনও মৃত্যু ঘটে না। পুতঃপবিত্র তিনি। তিনি আমাদের পালনকর্তা, ফেরেশতাকুল এবং আত্মাসমূহের পালনকর্তা। আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমরা আপনার কাছে বেহেশত চাচ্ছি এবং দোযখ থেকে মুক্তি চাচ্ছি।
আমরা রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করে চলবো। এবং প্রতিটি রোজা ও তারাবির নামাজ পড়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসুন আমরা এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত করি এবং আল্লাহর রাস্তায় বেশি বেশি দান করি।
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন
রমজান মাস এলেই আমরা তারাবি নামাজ পড়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই তারাবি নামাজ কিভাবে পড়তে হয় জানিনা। তাই বিভিন্ন সময় আমাদের মনে প্রশ্ন উঠে আসে তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে।
আমরা সকলেই জানি যে রমজান মাসের তারাবির নামাজ পড়তে হয়। আর এই তারাবি নামাজ পড়ার জন্য রমজান মাসে এশার নামাজ 4 রাকাত ফরজ পড়ার পর দুই রাকাত সুন্নত পড়ে তারাবি নামাজ শুরু করতে হয়। তারাবি নামাজ গুলো শেষ করে বেতের তিন রাকাত নামাজ পড়ে নিতে হয়।
তারাবি নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন জানার আগে আমাদের জানতে হবে তারাবি অর্থ কি। তারাবি শব্দটি মূলত একটি আরবি শব্দ। আর তারাবি শব্দটিকে আরবিতে তারাবিহ বলা হয়ে থাকে। এর মূল ধাতু হচ্ছে রাহাতুন। রাহাতুন শব্দের অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা।
আমরা যদি শরীয়তের পরিভাষায় তারাবি শব্দের অর্থ বা তারাবি মানে বুঝতে চায় তাহলে রমজান মাসের তারাবির নামাজ পড়াকালীন প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত নামাজ পড়ার পর আমরা কিছুটা বিশ্রাম করার জন্য বসে থাকার সময় কি কি বুঝায় তারাবি।
তারাবি নামাজ পড়ার আগে তারাবি নামাজের নিয়ত করতে হয়। তারাবি নামাজ মোট বিশ রাকাত পড়া হয়। কিন্তু অনেকে তারাবি নামাজ ৮ বা ১২ বা ২০ রাকাত পড়ে থাকে। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে উত্তম হচ্ছে 20 রাকাত তারাবির নামাজ পড়া।
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন-এতক্ষণ আমরা তারাবি নামাজের কিছু প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি এখন আমরা প্রায় তারাবি নামাজের সঠিক নিয়ম জানব।
১।আমরা সকলেই জানি যে তারাবি নামাজ রমজান মাসে পড়া হয়। তাই তারা পড়ার আগে অবশ্যই আমাদের ওযু করতে হবে।
২।এরপর এশার ওয়াক্তে চার রাকাত ফরজ এবং দুই রাকাত সুন্নত আদায় করে নিতে হবে।
৩।তারাবি নামাজ সুন্নত হিসেবে ধরা হয়। তাই এশার ওয়াক্তের ফরজ এবং দু রাকাত সুন্নত সালাত আদায় করার পর তারাবি নামাজের জন্য দু রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করতে হবে।
৪।আমরা সাধারণভাবে যেভাবে নামাজ পড়ি ঠিক সেভাবেই তারাবি নামাজ পড়া হয়। তবে তারাবি নামাজের যেসকল ব্যক্তিবর্গ মসজিদে গিয়ে বা জামাতের সাথে নামাজ পড়েন তারা তারাবি নামাজের রমজান মাসের সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ থেকে দোয়া সমূহ তেলাওয়াত করে থাকে। আপনারা চাইলে যারা ঘরে বসে নামাজ পড়েন বাঃ জামাতে নামাজ পড়তে পারেন না তারা আমরা সাধারণভাবে যেভাবে নামাজ পড়ি ঠিক সেভাবেই নামাজ পড়তে পারেন।
৫।প্রতি চার রাকাত নামাজের পর তারাবি নামাজের মোনাজাত ধরতে হয়। এক্ষেত্রে তারাবি নামাজের প্রতি দুই রাকাত শেষ করার পর মোনাজাত না ধরে উঠে আবার দু রাকাত পড়ে চার রাকাত সম্পন্ন হলে মোনাজাত ধরতে হয়।
৬।তারাবি নামাজের মোনাজাত আলাদা থাকে। যদি কোন মুসলমান সেই মোনাজাত পারেন তাহলে সেই মোনাজাত পড়তে পারেন আবার যদি করুক সে মোনাজাত মুখস্ত না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের মতো করেও মোনাজাত ধরতে পারে।
৭।এভাবে একে একে বিশ্রাম এর সাথে 20 রাকাত তারাবি নামাজ পড়তে হয়।
৮।তারাবি নামাজ গুলো শেষ করে তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করতে হয়।
সূরা তারাবির নামাজের নিয়ম
সুরা তারাবি হচ্ছে যে তারাবি নামাজের সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সুরা মিলিয়ে পড়ার হয়। আমরা সকলে জানি রমজান মাসের তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। আর এই তারাবি নামাজ হচ্ছে সুন্নাত। তারাবি নামাজ এশার নামাজের ফরজ এবং সুন্নত নামাজ শেষে তারাবি নামাজের সুন্নত নামাজ শেষ করে বেতের নামাজ পড়তে হয়।
আপনারা যারা ঘরে বা নিজের তারাবে নামাজ আদায় করেন অর্থাৎ মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ না পড়ে তাহলে আপনারা সুরা তারাবি পড়তে পারেন। তবে যারা মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ পড়েন তারা অবশ্যই কোরআনের আয়াতসমূহ পাঠ করে তারাবির আদায় করে। যেহেতু সকলের কুরআন মুখস্থ থাকেনা যেহেতু আপনারা কোরআনের আয়াতের পরিবর্তে বাসায় থেকে সুরা তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবে।
সূরা তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন হচ্ছে-
১।প্রথমে অজু করে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে।
২।এরপর এশার নামাজের ফরজ চার রাকাত এবং সুন্নত দুই রাকাত আদায় করতে হবে। এরপর তারাবি নামাজের জন্য সুন্নত দুই রাকাত করে নিয়ত করতে হবে। সুন্নত দুই রাকাত নিয়ত করার পর আল্লাহু আকবার বলে সানা পাঠ করতে হবে।
৩।এখন সূরা ফাতিহা পাঠ করে এরসাথে যে কোন সূরা পাঠ করতে হবে। ( আমরা যেভাবে সাধারণত সুন্নত নামাজ পড়ি ঠিক সেভাবে তারাবি নামাজের সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে)।
৪।এভাবে দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজ আদায় করে মোনাজাত এবং দোয়া পাঠ করতে হবে। সুতরাং এভাবেই সুরা তারাবি নামাজ পড়তে হয়।
তারাবির নামাজ ৪ রাকাত পর পর দোয়া
তারাবির নামাজের পর নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে গোনাহমুক্ত জীবন লাভে তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।
“তবে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে, যা তারাবির নামাজের পর পড়া হয়। আর এ দোয়াটি ব্যাপকভাবে পড়ার কারণে অনেক মানুষই তা মুখস্ত জানে। চাইলে এ দোয়াটিও প্রতি ৪ রাকাআত পর পর পড়া যেতে পারে“। আর তাহলো —
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
বাংলা উচ্চারণ: “সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।ʼʼ
বাংলা অর্থ : আল্লাহ পবিত্রময় সাম্রাজ্য ও মহত্ত্বের মালিক। তিনি পবিত্রময় সম্মান মহত্ত্ব ও প্রতিপত্তিশালী সত্তা। ক্ষমতাবান, গৌরবময় ও প্রতাপশালী তিনি পবিত্রময় ও রাজাধিরাজ যিনি চিরঞ্জীব, কখনো ঘুমায় না এবং চির মৃত্যুহীন সত্তা। তিনি পবিত্রময় ও বরকতময় আমাদের প্রতিপালক, ফেরেশতাকুল এবং জিবরাইল (আ.) এর প্রতিপালক।
তারাবির নামাজের দোয়া
তারাবি নামাজ দুই দুই রাকাতে আদায় করতে হয়। অনেকেই নামাজটির আরবি নিয়ত করে থাকেন। রমজান এলেই তারাবি নামাজের নিয়ম, আরবি নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত খুঁজে থাকেন।
তারাবি নামাজের নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।
নিয়ত আরবিতেই করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বাংলাতেও করা যাবে। তাহলো-
তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য (জামাত হলে- এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার।
তারাবি নামাজ দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়। দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেওয়া। তাসবিহ-তাহলিল পড়া বা কিছু সময় বিরতি নেওয়া উত্তম। বিশ্রামের সময় তাসবিহ তাহলিল পড়া, দোয়া-দরূদ ও জিকির আজকার করা। এরপর আবার দুই দুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি আদায় করা।
তারাবি নামাজের দোয়া
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
৪ রাকাত তারাবি আদায় করে বিশ্রাম বা বিরতির পর ব্যাপক প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে। যা দেশের প্রায় মসজিদে পড়া হয়। আর তাহলো-
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
উল্লেখ্য তারাবি নামাজের ৪ রাকাত পর পর পড়ার এ দোয়াটি ব্যাপক প্রচলিত। তবে এ দোয়ার সঙ্গে তারাবি নামাজ হওয়া কিংবা না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
এমন নয় যে, এ দোয়া না জানলে বা তারাবি নামাজে না পড়লে নামাজ হবে না। বরং যে কোনো দোয়াই পড়া যাবে। তবে এ সময়টিতে কুরআন-সুন্নাহর দোয়া, তাওবাহ-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম।
তারাবির নামাজ কত রাকাত?
তারাবির সালাত দুই দুই রাকআত করে যেকোনো সংখ্যক রাকআত পড়া হয়। তারাবির নামাজের রাকআত নির্দিষ্ট করা হয়নি। হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকআত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবির পড়েন।
তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল?
তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। (সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়ে যেতেও পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে। – আল্লামা জুরজানী রাহ)
তারাবির নামাজ নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
১। প্রশ্ন:তারাবিহ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ তারাবিহ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘বিশ্রাম করা’।
২। প্রশ্ন:তারাবির নামাজ কি?
প্রতি চার রাকাআত নামাজ শেষ করে যাতে একটু বিশ্রাম গ্রহণ করা যায় তাই একে তারাবির নামাজ বলা হয়।
৩।প্রশ্ন: তারাবির নামাজ কত রাকাত?
উত্তরঃ হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকআত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবির পড়েন।
৪।প্রশ্ন: তারাবির নামাজ কি সুন্নত না নফল?
উত্তর: তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
৫।প্রশ্ন: খতম তারাবীহ এবং সূরা তারাবীহ কি?
উত্তর: বাংলাদেশে তারাবীহর নামাজের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত। একটি খতম তারাবীহ আর অন্যটি সূরা তারাবীহ। খতম তারাবীহর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করা হয়। খতম তারাবীহর জন্য কুরআনের হাফিযগণ ইমামতি করেন। সূরা তারাবীহর জন্য যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠের মাধ্যমে সূরা তারাবীহ আদায় করা হয়।
৬।প্রশ্ন:তারাবির নামাজ কেন পড়ব?ফযিলত কি?
উত্তর;রাসূল(সাঃ) বলেছেন,”যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াব পাওয়ার আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে ,তার অতিতকৃত পাপগুলো ক্ষমা করা হয়।(বুখারি ও মুসলিম)
হাদিস দ্বারা তারাবির নামাজের অশেষ সওয়াবের কথা প্রমানিত।
৭।প্রশ্ন:তারাবি নামাজ না পড়লে গুনাহ হবে?
উত্তর:অবশ্যই গুনাহ হবে।কারন তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদ্দাহ(নামাজে যেসব সুন্নত পালন না করলে নামাজ মাকরুহ হয়) ।বিনা ওজরে তারাবির নামাজ ছেড়ে দিলে কবিরা গুনাহ হবে।
৮।প্রশ্ন:তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?
উত্তর:রোজা হবে।কারন রোজা ফরয ইবাদত এর সাথে তারাবির সংযোগ আছে কিন্তু তুলনা করাটা বোকামো।বিনা ওজরে তারাবি ছেড়ে দিলে রোজা মাকরুহ হবে।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
ঈদের নামাজের নিয়ম ও মাসলা সম্পর্কে জানুন দুই অক্ষরের ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা ক দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ ল দিয়ে মেয়েদের সুন্দর অর্থসহ ইসলামিক নাম
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।