হিজরা ভাতার মাসিক পরিমাণ কত টাকা ২০২৫-২০২৬

বাংলাদেশ সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে “অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর হিজরা ভাতা” নামে একটি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক ও সামাজিকভাবে বঞ্চিত হিজরা জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া হয়।
এটি সরকারের পক্ষ থেকে সমতা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং মানবিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- অনলাইনে হিজরা ভাতা আবেদন করার নিয়ম(আপডেট)

হিজরা ভাতার মাসিক পরিমাণ

২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, হিজরা জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার পরিমাণ ৭৫০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
এটি অঞ্চলভেদে এবং সরকারের বাজেট বরাদ্দের ওপর কিছুটা নির্ভর করে।

অর্থবছর মাসিক ভাতা পরিমাণ প্রদান পদ্ধতি
২০২3–2024 ৭৫০ টাকা নগদ বা মোবাইল ব্যাংকিং
২০২4–2025 ১,০০০ টাকা ব্যাংক বা নগদ অ্যাকাউন্ট
২০২5–2026 (প্রস্তাবিত) ১,২০০ টাকা পর্যন্ত সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে

👉 সমাজসেবা অধিদপ্তর (DSS) ভবিষ্যতে এই পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে যাতে হিজরা জনগোষ্ঠী নিজেদের জীবনমান উন্নত করতে পারে।

কীভাবে এই ভাতা প্রদান করা হয়

সরকার ভাতার টাকা প্রতি মাসে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ, বিকাশ, রকেট) এর মাধ্যমে প্রেরণ করে।
প্রত্যেক আবেদনকারীকে যাচাই-বাছাইয়ের পর সমাজসেবা অফিস থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রত্যেক ভাতাভোগীর জন্য একটি বিশেষ ভাতা আইডি নম্বর তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে পেমেন্ট যাচাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়।

হিজরা ভাতা পাওয়ার শর্তাবলী

যে কেউ ইচ্ছা করলেই এই ভাতা পাবে না। কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়:

  1. আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

  2. তাকে হিজরা জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।

  3. বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।

  4. আবেদনকারীর কোনো সরকারি চাকরি বা নিয়মিত আয় থাকা যাবে না।

  5. একই ব্যক্তি একাধিক ভাতা নিতে পারবেন না।

  6. অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম সনদ থাকতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া (সংক্ষেপে)

হিজরা ভাতা পেতে হলে আবেদন করতে হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে:
🔗 https://dss.bhata.gov.bd/online-Application

এখানে আবেদন ফরম পূরণ করে নিজের তথ্য, NID ও ঠিকানা প্রদান করতে হয়। যাচাই শেষে আবেদন অনুমোদিত হলে নিয়মিত ভাতা প্রদান শুরু হয়।

কখন ভাতা দেওয়া হয়?

ভাতা সাধারণত প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে বা পরবর্তী মাসের শুরুতে প্রদান করা হয়।
যাদের ব্যাংক বা মোবাইল অ্যাকাউন্টে সমস্যা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে অর্থ বিতরণ করা হয়।

সরকারের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব

এই ভাতা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো—

  • হিজরা জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা

  • আর্থিকভাবে সহায়তা করা

  • কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান

  • সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ

এই ভাতার পাশাপাশি হিজরা জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার পুনর্বাসন প্রকল্প, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা সহায়তা কর্মসূচিও পরিচালনা করছে।

প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: হিজরা ভাতার বর্তমান মাসিক পরিমাণ কত?
👉 বর্তমানে মাসিক ১,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা প্রদান করা হচ্ছে (২০২৫ সালের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী)।

প্রশ্ন ২: ভাতা কি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায়?
👉 হ্যাঁ, বর্তমানে ভাতা বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।

প্রশ্ন ৩: যদি আমার NID না থাকে, আমি কি আবেদন করতে পারবো?
👉 হ্যাঁ, জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়েও আবেদন করা যায়।

প্রশ্ন ৪: ভাতা বন্ধ হয়ে গেলে কী করতে হবে?
👉 স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করে পুনঃআবেদন করতে হবে।

উপসংহার

সরকারের এই হিজরা ভাতা কর্মসূচি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
যারা এখনও আবেদন করেননি, তারা দ্রুত অনলাইনে গিয়ে আবেদন করুন এবং প্রতি মাসে সরকারি সহায়তা গ্রহণ করুন।
এই ভাতা শুধু অর্থ সহায়তা নয়, বরং হিজরা জনগোষ্ঠীর সম্মান, অধিকার ও সমাজে সমান অংশগ্রহণের স্বীকৃতি

আরও পড়ুন-বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি মোঃ সানাউল বারী। পেশায় আমি একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি, আমি গত ১৪ বছর ধরে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য - লেখায় যদি কোনও ভুল থাকে, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। ধন্যবাদ।