প্রাইজবন্ডের টাকা কিভাবে পাবেন?প্রাইজবন্ড পুরস্কার উত্তোলনের নিয়ম ২০২৫

বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড হলো এমন একটি সরকারি সঞ্চয় প্রকল্প, যেখানে ১০০ টাকায় বন্ড কিনে আপনি প্রতি তিন মাস পর পর ড্র-এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। যদি আপনার প্রাইজবন্ডের নম্বর ড্র-এ ওঠে, তাহলে আপনি নির্দিষ্ট অঙ্কের পুরস্কারের টাকা পাবেন।

কিন্তু অনেকেই জানেন না — “প্রাইজবন্ডের টাকা কোথা থেকে, কিভাবে এবং কোন কাগজপত্র দিয়ে পাওয়া যায়?”
আজকের এই পোস্টে আমরা ধাপে ধাপে সেই বিষয়গুলো সহজভাবে জেনে নেব। 🏦

আরও দেখুন-প্রাইজবন্ড কি ও কিভাবে টাকা পাবেন | প্রাইজবন্ড গাইড A-Z

প্রাইজবন্ডের টাকা কোথা থেকে পাওয়া যায়?

বাংলাদেশে প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের টাকা প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এর অনুমোদিত সোনালী ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা
অর্থাৎ আপনি যদি ড্র-এ জিতে থাকেন, তাহলে টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন নিচের জায়গাগুলো থেকে—

✅ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক অফিসগুলো
✅ সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাচিত শাখাসমূহ

📍 উদাহরণ: ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসগুলোতে পুরস্কারের টাকা তোলা যায়।

আরও দেখুন-বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড কত ধরনের ও কত টাকার হয়

প্রাইজবন্ডের টাকা পেতে যা যা লাগবে

পুরস্কারের টাকা তুলতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র সঙ্গে নিতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে দেওয়া হলো👇

  • মূল প্রাইজবন্ড (Original Prize Bond)
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা পাসপোর্টের ফটোকপি
  • পুরস্কার দাবি ফর্ম (Prize Bond Claim Form) — যা ব্যাংক থেকে পাওয়া যায়
  • আপনার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর (যদি ট্রান্সফারে চান)
  • একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

👉 ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় জমা দিতে হয়।

আরও দেখুন-প্রাইজবন্ড কোন কোন ব্যাংকে পাওয়া যায়?

পুরস্কারের টাকা প্রদানের নিয়ম

প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে বিজয়ী নম্বরগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
যদি আপনার বন্ডের নম্বর তালিকায় থাকে, তাহলে আপনি নিম্নোক্ত পুরস্কারগুলোর যেকোনোটি পেতে পারেন 👇

পুরস্কারের ধরন পুরস্কারের পরিমাণ (টাকা)
১ম পুরস্কার ৬,০০,০০০ টাকা
২য় পুরস্কার ৩,২৫,০০০ টাকা
৩য় পুরস্কার ১,০০,০০০ টাকা
৪র্থ পুরস্কার ৫০,০০০ টাকা
৫ম পুরস্কার ১০,০০০ টাকা

(তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রাইজবন্ড ড্র ২০২৫)

পুরস্কারের টাকা তোলার সময়সীমা

ড্র-এ বিজয়ী হওয়ার পর ৬ বছরের মধ্যে টাকা তুলতে হবে।
৬ বছর পর দাবি করলে পুরস্কারের অর্থ বাতিল হয়ে যায়।
তবে যত দ্রুত সম্ভব টাকা তুলে নেওয়াই উত্তম।

🚫 মনে রাখার বিষয়

  • প্রাইজবন্ডে নাম লেখা না থাকলেও সমস্যা নেই, কারণ এটি বেয়ারার বন্ড (Bearer Bond)। অর্থাৎ যার হাতে মূল বন্ড আছে, তিনিই বৈধ মালিক।

  • কোনোভাবে বন্ড হারিয়ে গেলে পুরস্কার দাবি করা যায় না।

  • কর কর্তন (Tax Deduction): পুরস্কারের অর্থের উপর ২০% কর কর্তন করা হয় (বিদেশে কর শনাক্তকরণ নম্বর না থাকলে ২৫%)।

প্রাইজবন্ডের টাকা তোলার ধাপসমূহ

  1. বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার বন্ড নম্বর মিলিয়ে দেখুন

  2. বিজয়ী হলে মূল বন্ড, NID ও ফর্মসহ নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক/বাংলাদেশ ব্যাংক শাখায় যান

  3. ব্যাংকের নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করুন

  4. যাচাই শেষে আপনি চেক বা অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার মাধ্যমে টাকা পাবেন

কোথায় ফলাফল দেখা যাবে?

👉 বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
এখানে প্রতি ড্র শেষে প্রাইজবন্ডের বিজয়ী নম্বর প্রকাশ করা হয়।

উপসংহার

প্রাইজবন্ডের টাকা পাওয়া একদম সহজ — যদি আপনি সঠিকভাবে যাচাই করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন।
এটি সরকারের বৈধ বিনিয়োগ প্রকল্প, তাই এতে কোনো প্রতারণার ঝুঁকি নেই।

তাই যদি আপনার হাতে থাকা প্রাইজবন্ডের নম্বর বিজয়ী তালিকায় থাকে, আজই বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন এবং পুরস্কারের টাকা সংগ্রহ করুন। 🎉

ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!
👉টেক নিউজের সকল খবর সবার আগে পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন!

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি মোঃ সানাউল বারী। পেশায় আমি একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি, আমি গত ১৪ বছর ধরে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য - লেখায় যদি কোনও ভুল থাকে, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। ধন্যবাদ।