সৌদি আরবে তারাবির নামাজ কত রাকাত?

সৌদি আরবে তারাবির নামাজ কত রাকাত?-রমজান মাস ইবাদতের মাস।হিজরি মাসগুলোর মাঝে রমজান সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ন মাস কারন এই মাসে পবিত্র কোরআন মাজিদ নাজিল করা হয়। আর রমজান মাসের ফজিলত অনেক, এই মাসে বান্দার সকল ইবাদত আল্লাহ রব্বুল আলামিন 70 থেকে 700 গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে থাকেন। তাই আমরা এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত করে থাকি।

 

“এই মাসে মহান আল্লাহ আমাদের জন্য সিয়াম “অর্থাৎʼʼ রোজা নির্ধারন করে দিয়েছেন। ইবাদত সমূহের মধ্যে রোজার গুরুত্ব অনেক। এই মাসে “মুসলিমরাʼʼ দিনের বেলা রোজা রাখে আর রাতের বেলা তারাবির নামাজ পড়ে।”

এখন কথা হলো আমরা অনেকেই তারাবির নামাজ পড়ি কিন্তু এই নামাজ নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্নের শেষ নেই।  তাই আজ আপনাদের  তারাবির নামাজের নিয়ে অনেক কিছু জানাবো তারাবির নামাজ কি, তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলা  উচ্চারণ,  সৌদি আরবে তারাবির নামাজ কত রাকাত,  তারাবির নামাজের মোনাজাতের দোয়া।

তারাবির নামাজ কি?

তারাবি শব্দটির একবচন ‘তারবীহাতুন’ (আরবি: تَروِيْحَة‎‎)। এর আভিধানিক অর্থ বসা, বিশ্রাম করা, আরাম করা। ইসলাম ধর্মে তারাবির বা কিয়ামুল লাইল হল রাতের সালাত যেটি মুসলিমগণ রমজান মাসব্যপী প্রতি রাতে এশার ফরজ নামাজের পর পড়ে থাকেন।তারাবীহ সালাত দুই দুই রাকআত করে যেকোনো সংখ্যক রাকআত পড়া হয়। তারাবীহ সালাতের পর বিতর সালাত পড়া হয়।

তারাবীহর নামাজের রাকআত নির্দিষ্ট করা হয়নি। হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকত তারাবীহ পড়েন।

এই নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিসে এসেছে,

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏ ‏.

অনুবাদঃআবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: যে ব্যক্তি রমাযান মাসে ঈমানের সাথে ও একান্ত আল্লাহর সন্তষ্টির নিমিত্তে তারাবীহ পড়ে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবিহ নামাজকে সুন্নাত করেছি। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানে দিনে রোজা পালন করবে ও রাতে তারাবিহ নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এরূপ পবিত্র হবে, যেরূপ নবজাতক শিশু মাতৃগর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয় ।’

— রাসুলে আকরাম (সা.), নাসায়ি, পৃষ্ঠা: ২৩৯

‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ পড়বে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে ।’

— হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বুখারি, হাদিস: ৩৬

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে তারাবীহর নামাজের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত। একটি খতম তারাবীহ আর অন্যটি সূরা তারাবীহ। খতম তারাবীহর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করা হয়।

খতম তারাবীহর জন্য কুরআনের হাফিযগণ ইমামতি করেন। সূরা তারাবীহর জন্য যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠের মাধ্যমে সূরা তারাবীহ আদায় করা হয়।

তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলায়

নিয়ত আরবিতে করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আরবি কিংবা বাংলায় নিয়ত করলে তা হয়ে যাবে।

তারাবিহ’র দুই রাকাআত নামাজ ক্বেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য (এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার।

২ রাকাআত করে আলাদা নিয়তে ৪ রাকাআত নামাজ পড়া। ৪ রাকাআত পড়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া। সেসময় তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইসতেগফার পড়া। গোনাহ মাফে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

খানিক বিশ্রামের পর আবার ২/২ রাকাআত করে ৪ রাকাআত নামাজ আদায় করা। আবার কিছু বিশ্রাম করে আবার নামাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।

প্রত্যেক ৪ রাকাআত নামাজ পড়ার পর বিশ্রামের সময় অনেকেই আল্লাহর কাছে দোয়া করে থাকেন। অনেকে মুনাজাতও করে থাকেন। প্রতি ৪ রাকাতে মুনাজাত না করে একেবারে শেষে করলেও কোনো সমস্যা নেই।

তারাবিহ নামাজের দোয়া

তারাবিহ নামাজের পর মুনাজাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে গোনাহমুক্ত জীবন লাভে তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।

তবে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে, যা তারাবিহ নামাজে পড়া হয়। আর এ দোয়াটি ব্যাপকভাবে পড়ার কারণে অনেক মানুষই তা মুখস্ত জানে। চাইলে এ দোয়াটিও প্রতি ৪ রাকাআত পর পর পড়া যেতে পারে। আর তাহলো-

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’

তারাবিহ নামাজের ৪ রাকাআত পর পর শুধু এ দোয়াটিই পড়তে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে কোনো দোয়া-ই পড়া যেতে পারে। এতে তারাবিহ নামাজেরও কোনো অসুবিধা হবে না।

তারাবির নামাজ  শেষে মুনাজাত

আবার তারাবিহ নামাজ শেষ হলেও সবাই সমবেতভাবে মুনাজাত করে। আবার অনেকে একাকি মুনাজাত করে। এ মুনাজাত সমবেত হোক আর একাকি হোক যে কোনো দোয়া দিয়ে তা করা যেতে পারে।মনের একান্ত কথাগুলো যেভাবে ইচ্ছা আল্লাহর কাছে তুলে ধরায় কোনো অসুবিধা নেই। তবে তারাবিহ নামাজের দোয়ার মতো মুনাজাতেরও একটি ব্যাপক প্রচলিত দোয়া রয়েছে। ইচ্ছা করলে এ দোয়াটিও পড়া যায়। আর তাহলো-

اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’

– অনেকে রমজানজুড়ে এ দোয়াও বেশি বেশি পড়ে থাকেন-

اَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ اﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আ’ন্নি।

– তাছাড়া তারাবিহ নামাজের পর সাইয়্যিদুল ইসতেগফারও পড়া যেতে পারে-

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানি; ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আ’হদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া; ওয়া আবুউ বিজামবি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।

মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মহাঅনুগ্রহের মাস রমজান। এ মাসের মর্যাদা অন্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি।

তারাবীহ নামাজের মাসয়ালা

০১। তারাবীহ নামাজের নিয়ত এভাবে করতে হবে আমি দু’রাকায়াতের সুন্নাত তারাবীহ নামাজের নিয়ত করছি। এমনিভাবে দশ সালাম সহ ২০ রাকায়াত নামাজ পুরা করতে হবে।

০২। তারাবীহ নামাজের পর বেতেরের নামাজ পড়া উত্তম । কিন্তু কোন কারণে যদি কিছু তারাবীহ পড়ার পূর্বে অথবা সমস্ত তারাবীহ পড়ার পূর্বে বেতেরের নামাজ পড়াও জায়েজ হবে।

০৩। যদি কোন মুক্তাদির বিলম্বে নামাজে যোগ দেবার করণে তার কিছু তারাবীহ বাকী থাকতে ঈমাম বেতেরের নামাজের জন্য দাঁড়ালেন, এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির উচিৎ হবে ঈমামের সাথে বেতেরের নামাজ পড়া এবং তারপর বাদ পড়া তারাবীহ পড়া।

০৪। চার রাকায়াত পড়ার পর এত সময় পর্যন্ত বিশ্রাম নেয়া মুস্তাহাব যত সময়ে চার রাকায়াত পরা হয়েছে।

০৫। যদি এশার ফরজ না পড়ে তারাবীতে শরীক হয় তাহলে তার তারাবী দুরস্ত হবে না ।

০৬। যদি কেউ এশার ফরজ জামায়াতে পড়ল এবং তারাবীহ জামায়াতে পড়ল না, সে-ও বেতেরের নামাজ জামায়াতে পড়তে পারে।

০৭। যদি কেউ এশার ফরজ জামায়াতে পড়ল না সে তারাবীহ ও বেতেরের নামাজ জামায়াতে পড়তে পারবে।

০৮। বিনা কারণে বসে বসে তারাবীহ নামাজ পড়া মাকরূহ ।

০৯। ফরজ ও বেতের এক ঈমাম এবং তারাবীহ অন্য ঈমাম পড়াতে পারে।

১০। তারাবীহ দ্বিতীয় রাকায়াতে বসার পরিবর্তে ঈমাম দাঁড়িয়ে গেল, যদি তৃ্তীয় রাকায়াতে সিজদার পূর্বে তার মনে পড়ে যায় অথবে কোন মুক্তাদি মনে করিয়ে দেয় তাহলে ঈমামের উচিত বসে যাওয়া এবং তাশাহুদ পড়ে এক সালাম ফিরিয়ে সিজদায় সাহু দেবে, তারপর নামাজ পুরা করে সালাম ফেরাবে। তাতে দু’রাকায়াত সহীহ হবে।

সৌদি আরবে তারাবির নামাজ কত রাকাত?

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা শরিফে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। এবং মক্কা ও মদিনা শরিফ ছাড়া অন্যান্য মসজিদ গুলোতে ৮ রাকাত বিতির সহ ১১ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সৌদির দুই প্রধান মসজিদে তারাবির নামাজ ২০ রাকাতের পরিবর্তে ১০ রাকাত করার নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।

 

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ এর বরাত দিয়ে গালফ নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

দেশটিতে মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে। রোজার সময় করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রোববার (১১ এপ্রিল) সৌদির সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং মসজিদের ইমামদের উদ্দেশ্যে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামের মাধ্যমে নতুন নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সৌদির দুই প্রধান মসজিদের সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান শেখ আব্দুর রহমান আল সুদাইস বলেন, তারাবি নামাজ ২০ রাকাত থেকে কমিয়ে ১০ রাকাত করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে মসজিদের প্রেসিডেন্সি এবং ওমরাহ পালনকারীদের সেবায় নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থা যেসব পূর্বসতর্কতা ও সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ আবদুল লতিফ বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ওমরাহ পালনকারী এবং তারাবির নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের জন্য সর্বোত্তম পরিষেবা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির কারণে সৌদি আরবের প্রধান দুই মসজিদ তথা মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীতে আসন্ন রমজানে এ বছর ১০ রাকাত তারাবি আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সোমবার রাতে মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম ও হারামাইন শরীফাইনের  প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস আসন্ন রমজানে তারাবি ও অন্যান্য বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।

শায়েখ সুদাইস বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে যেহেতু আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই সবদিক লক্ষ করে মক্কা-মদিনা বিষয়ক অধিদফতরের পক্ষ থেকে এ বছর পবিত্র রমজানের

তারাবির নামাজ ১০ রাকাত পড়াসহ বেশকিছু নতুন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে

১. তারাবির নামাজে ইমাম,মুয়াজ্জিন, স্টাফ এবং নির্ধারিত ব্যক্তিদের ছাড়া কেউ অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।

২. তারাবির নামাজ ২০ রাকাতের পরিবর্তে এ বছর ১০ রাকাত পড়া হবে।

৩. প্রথম ইমাম দুই রাকাত করে তিন সালামে ছয় রাকাত  এবং দ্বিতীয় ইমাম দুই সালামে চার রাকাতসহ দোয়া ও বিতর নামাজ পরিচালনা করবেন।

৪. মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীতে ইফতার আয়োজন স্থগিত থাকবে। এর পরিবর্তে মক্কা ও মদিনার আশপাশের এলাকাগুলোতে ইফতার বক্স বিতরণ করা হবে।

৫. মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীতে এ বছর রমজানের ইতিকাফ স্থগিত থাকবে।

৬. অবস্থার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী নির্দেশনা জারি করার আগ পর্যন্ত ওমরাহ স্থগিত থাকবে।

৭. তারাবি ও তাহাজ্জুদের নামাজে পূর্ণ কোরআনে কারিম ২৯ রমজানে খতম করা হবে।

৮. যারা জানাজায় অংশগ্রহণ করবেন, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরেই হারামে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

৯. বিতরের নামাজে কুনুতের দোয়া সংক্ষেপ তবে অর্থবহ করে উপস্থাপন করা হবে।

১০. প্রত্যেহ তারাবিতে কোরআনে কারিমের শুরু থেকে সুনির্দিষ্ট একটি অংশ তেলাওয়াত করা হবে।

এসব সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এছাড়া সৌদি আরবের অন্য মসজিদের ক্ষেত্রে সরকারের দেয়া পুরোনো সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন

রমজান মাস এলেই আমরা তারাবি নামাজ পড়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই তারাবি নামাজ কিভাবে পড়তে হয় জানিনা। তাই বিভিন্ন সময় আমাদের মনে প্রশ্ন উঠে আসে তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে।

আমরা সকলেই জানি যে রমজান মাসের তারাবির নামাজ পড়তে হয়। আর এই তারাবি নামাজ পড়ার জন্য রমজান মাসে এশার নামাজ 4 রাকাত ফরজ পড়ার পর দুই রাকাত সুন্নত পড়ে তারাবি নামাজ শুরু করতে হয়। তারাবি নামাজ গুলো শেষ করে বেতের তিন রাকাত নামাজ পড়ে নিতে হয়।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 

তারাবি নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন জানার আগে আমাদের জানতে হবে তারাবি অর্থ কি। তারাবি শব্দটি মূলত একটি আরবি শব্দ। আর তারাবি শব্দটিকে আরবিতে তারাবিহ বলা হয়ে থাকে। এর মূল ধাতু হচ্ছে রাহাতুন। রাহাতুন শব্দের অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা।

আমরা যদি শরীয়তের পরিভাষায় তারাবি শব্দের অর্থ বা তারাবি মানে বুঝতে চায় তাহলে রমজান মাসের তারাবির নামাজ পড়াকালীন প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত নামাজ পড়ার পর আমরা কিছুটা বিশ্রাম করার জন্য বসে থাকার সময় কি কি বুঝায় তারাবি।

 

তারাবি নামাজ পড়ার আগে তারাবি নামাজের নিয়ত করতে হয়। তারাবি নামাজ মোট বিশ রাকাত পড়া হয়। কিন্তু অনেকে তারাবি নামাজ ৮ বা ১২ বা ২০ রাকাত পড়ে থাকে। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে উত্তম হচ্ছে 20 রাকাত তারাবির নামাজ পড়া।

তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন-

এতক্ষণ আমরা তারাবি নামাজের কিছু প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি এখন আমরা প্রায় তারাবি নামাজের সঠিক নিয়ম জানব।

১।আমরা সকলেই জানি যে তারাবি নামাজ রমজান মাসে পড়া হয়। তাই তারা পড়ার আগে অবশ্যই আমাদের ওযু করতে হবে।

২।এরপর এশার ওয়াক্তে চার রাকাত ফরজ এবং দুই রাকাত সুন্নত আদায় করে নিতে হবে।

৩।তারাবি নামাজ সুন্নত হিসেবে ধরা হয়। তাই এশার ওয়াক্তের ফরজ এবং দু রাকাত সুন্নত সালাত আদায় করার পর তারাবি নামাজের জন্য দু রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করতে হবে।

৪।আমরা সাধারণভাবে যেভাবে নামাজ পড়ি ঠিক সেভাবেই তারাবি নামাজ পড়া হয়। তবে তারাবি নামাজের যেসকল ব্যক্তিবর্গ মসজিদে গিয়ে বা জামাতের সাথে নামাজ পড়েন তারা তারাবি নামাজের রমজান মাসের সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ থেকে দোয়া সমূহ তেলাওয়াত করে থাকে।

আপনারা চাইলে যারা ঘরে বসে নামাজ পড়েন বাঃ জামাতে নামাজ পড়তে পারেন না তারা আমরা সাধারণভাবে যেভাবে নামাজ পড়ি ঠিক সেভাবেই নামাজ পড়তে পারেন।

৫।প্রতি চার রাকাত নামাজের পর তারাবি নামাজের মোনাজাত ধরতে হয়। এক্ষেত্রে তারাবি নামাজের প্রতি দুই রাকাত শেষ করার পর মোনাজাত না ধরে উঠে আবার দু রাকাত পড়ে চার রাকাত সম্পন্ন হলে মোনাজাত ধরতে হয়।

৬।তারাবি নামাজের মোনাজাত আলাদা থাকে। যদি কোন মুসলমান সেই মোনাজাত পারেন তাহলে সেই মোনাজাত পড়তে পারেন আবার যদি করুক সে মোনাজাত মুখস্ত না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের মতো করেও মোনাজাত ধরতে পারে।

৭।এভাবে একে একে বিশ্রাম এর সাথে 20 রাকাত তারাবি নামাজ পড়তে হয়।

৮।তারাবি নামাজ গুলো শেষ করে তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করতে হয়।

সূরা তারাবির নামাজের নিয়ম

সুরা তারাবি হচ্ছে যে তারাবি নামাজের সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সুরা মিলিয়ে পড়ার হয়। আমরা সকলে জানি রমজান মাসের তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। আর এই তারাবি নামাজ হচ্ছে সুন্নাত। তারাবি নামাজ এশার নামাজের ফরজ এবং সুন্নত নামাজ শেষে তারাবি নামাজের সুন্নত নামাজ শেষ করে বেতের নামাজ পড়তে হয়।

আপনারা যারা ঘরে বা নিজের তারাবে নামাজ আদায় করেন অর্থাৎ মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ না পড়ে তাহলে আপনারা সুরা তারাবি পড়তে পারেন। তবে যারা মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ পড়েন তারা অবশ্যই কোরআনের আয়াতসমূহ পাঠ করে তারাবির আদায় করে। যেহেতু সকলের কুরআন মুখস্থ থাকেনা যেহেতু আপনারা কোরআনের আয়াতের পরিবর্তে বাসায় থেকে সুরা তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবে।

সূরা তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন হচ্ছে-

১।প্রথমে অজু করে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে।

২।এরপর এশার নামাজের ফরজ চার রাকাত এবং সুন্নত দুই রাকাত আদায় করতে হবে। এরপর তারাবি নামাজের জন্য সুন্নত দুই রাকাত করে নিয়ত করতে হবে। সুন্নত দুই রাকাত নিয়ত করার পর আল্লাহু আকবার বলে সানা পাঠ করতে হবে।

৩।এখন সূরা ফাতিহা পাঠ করে এরসাথে যে কোন সূরা পাঠ করতে হবে। ( আমরা যেভাবে সাধারণত সুন্নত নামাজ পড়ি ঠিক সেভাবে তারাবি নামাজের সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে)।

৪।এভাবে দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজ আদায় করে মোনাজাত এবং দোয়া পাঠ করতে হবে। সুতরাং এভাবেই সুরা তারাবি নামাজ পড়তে হয়।

তারাবির নামাজ কত রাকাত?

আপনি তারাবির নামাজ ২০ রাকাতও পড়তে পারেন। এটি ওলামায়েকেরামের বক্তব্য রয়েছে এবং এ বিষয়ে সাপোর্ট রয়েছে এবং এর পক্ষে দলিলও রয়েছে। ৮ রাকাতও আপনি পড়তে পারেন। ৮ রাকাতের বিষয়ে ওলামায়েকেরামের ইস্তিহাদ রয়েছে তারাবির সালাতের বিষয়ে।

আপনি যে কথা বলেছেন, রাসুলুল্লা (স.) কখনো তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়েননি, এ কথা সত্য বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কোনো সহিহ হাদিসের মাধ্যমে এটি সাব্যস্ত হয়নি রাসুলুল্লাহ (স.) ২০ রাকাত পড়েছেন।

তারাবির সালাত দুই দুই রাকআত করে যেকোনো সংখ্যক রাকআত পড়া হয়।  তারাবির নামাজের রাকআত নির্দিষ্ট করা হয়নি। হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকআত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবির পড়েন।

তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। (সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়ে যেতেও পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে। – আল্লামা জুরজানী রাহ)

তারাবির নামাজ নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর

১। প্রশ্ন:তারাবিহ শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ তারাবিহ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘বিশ্রাম করা’।

২। প্রশ্ন:তারাবির নামাজ  কি?

প্রতি চার রাকাআত নামাজ শেষ করে যাতে একটু বিশ্রাম গ্রহণ করা যায় তাই একে তারাবির নামাজ বলা হয়।

৩।প্রশ্ন: তারাবির নামাজ কত রাকাত?

উত্তরঃ  হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকআত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবির পড়েন।

৪।প্রশ্ন: তারাবির নামাজ কি সুন্নত না নফল?

উত্তর: তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

৫।প্রশ্ন: খতম তারাবীহ এবং সূরা তারাবীহ কি?

উত্তর: বাংলাদেশে তারাবীহর নামাজের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত। একটি খতম তারাবীহ আর অন্যটি সূরা তারাবীহ। খতম তারাবীহর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করা হয়। খতম তারাবীহর জন্য কুরআনের হাফিযগণ ইমামতি করেন। সূরা তারাবীহর জন্য যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠের মাধ্যমে সূরা তারাবীহ আদায় করা হয়।

 

৬।প্রশ্ন:তারাবির নামাজ কেন পড়ব?ফযিলত কি?

উত্তর;রাসূল(সাঃ) বলেছেন,”যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াব পাওয়ার আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে ,তার অতিতকৃত পাপগুলো ক্ষমা করা হয়।(বুখারি ও মুসলিম)

হাদিস দ্বারা তারাবির নামাজের অশেষ সওয়াবের কথা প্রমানিত।

৭।প্রশ্ন:তারাবি নামাজ না পড়লে গুনাহ হবে?

উত্তর:অবশ্যই গুনাহ হবে।কারন তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদ্দাহ(নামাজে যেসব সুন্নত পালন না করলে নামাজ মাকরুহ হয়) ।বিনা ওজরে তারাবির নামাজ ছেড়ে দিলে কবিরা গুনাহ হবে।

৮।প্রশ্ন:তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?

উত্তর:রোজা হবে।কারন রোজা ফরয ইবাদত এর সাথে তারাবির সংযোগ আছে কিন্তু তুলনা করাটা বোকামো।বিনা ওজরে তারাবি ছেড়ে দিলে রোজা মাকরুহ হবে।

৯।প্রশ্ন :  তারাবির সালাতে বা তাহাজ্জুদের সালাতে সুরা ফাতিহার পরে একাধিক ছোট সুরা পড়লে নামাজ শুদ্ধ হবে কি না?

উত্তর : না, এতে কোনো অসুবিধা নেই। আপনি একাধিক সুরা একসঙ্গে মিলিয়ে পড়তে পারেন বা এক সুরা আপনি বারবার পড়তে পারেন অথবা আপনি কোরআনের মুসহাব থেকে তিলাওয়াত করতে পারবেন। এটা আপনার জন্য জায়েজ রয়েছে। তবে উত্তম হচ্ছে, যদি মুখস্থ থাকে, তাহলে বড় সুরা পড়া।

১০।প্রশ্নঃ আমাদের দেশে কত ধরণের তারাবি প্রচলিত আছে?

উত্তরঃআমাদের দেশে দুই ধরণের তারাবি প্রচলিত আছে। যথা-

১।একটি হলো সুরা তারাবি

এবং

২।অন্যটি হলো খতম তারাবি।

১১।প্রশ্নঃআমাদের কোনো কোনো মসজিদে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়া হয় আবার কোনো কোনো মসজিদে ৮ রাকাত পড়া হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ৮ রাকাত পড়েন তাঁরা বলেন,  রাসুলুল্লা (স.) কখনো ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়েননি। আমি জানতে চাচ্ছিলাম তারাবির নামাজ কোনটা সঠিক, ২০ রাকাত না ৮ রাকাত?

উত্তরঃ আপনি তারাবির নামাজ ২০ রাকাতও পড়তে পারেন। এটি ওলামায়েকেরামের বক্তব্য রয়েছে এবং এ বিষয়ে সাপোর্ট রয়েছে এবং এর পক্ষে দলিলও রয়েছে। ৮ রাকাতও আপনি পড়তে পারেন। ৮ রাকাতের বিষয়ে ওলামায়েকেরামের ইস্তিহাদ রয়েছে তারাবির সালাতের বিষয়ে।

আপনি যে কথা বলেছেন, রাসুলুল্লা (স.) কখনো তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়েননি, এ কথা সত্য বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কোনো সহিহ হাদিসের মাধ্যমে এটি সাব্যস্ত হয়নি রাসুলুল্লাহ (স.) ২০ রাকাত পড়েছেন।

১২।প্রশ্ন : তারাবির নামাজ আসলে কী? আমরা কি এটিকে সালাতের সঙ্গে তুলনা করব?

উত্তর : তারাবির সালাত এক ধরনের নফল সালাত। এটির নির্দিষ্ট কোনো সালাতের কথা বলা হয়নি, দুই রাকাত করে ৮ রাকাত, ১০ রাকাত, ১২ রাকাত, ১৬ রাকাত, ২০ রাকাত, ২৪ রাকাত, ৩০ রাকাত  যার যতটুকু সমর্থ রয়েছে তিনি ততটুকু পড়বেন। তারাবির সালাত মূলত রাতের নামাজ এবং রাতের নামাজের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নির্দেশনা হচ্ছে দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আদায় করা। কত রাকাত, রাসুলুল্লাহ (স.) তা নির্ধারণ করে যাননি। কেউ যদি ২০ রাকাত পড়েন তাহলে পড়তে পারেন, কেউ যদি ৮ রাকাত পড়েন তাহলে সেটাও পড়তে পারেন।

১৩।প্রশ্নঃ সৌদি আরবে তারাবির নামাজ কত রাকাত?

উত্তরঃ সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা শরিফে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। এবং মক্কা ও মদিনা শরিফ ছাড়া অন্যান্য মসজিদ গুলোতে ৮ রাকাত বিতির সহ ১১ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়।

 

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

ঈদের নামাজের নিয়ম ও মাসলা সম্পর্কে জানুন
দুই অক্ষরের ছেলেদের অর্থসহ ইসলামিক নামের তালিকা 
ক দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
ল দিয়ে মেয়েদের সুন্দর অর্থসহ ইসলামিক নাম

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো:সানাউল বারী।পেশায় আমি একজন চাকুরীজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকুরীর পাশাপাশি গত ১৪ বছর থেকে এখন পর্যন্ত নিজের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং নিজের ইউটিউব এবং ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করি। বিশেষ দ্রষ্টব্য -লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment