বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ? বাংলাদেশের বৃদ্ধাশ্রমের সকল ঠিকানা

বৃদ্ধাশ্রম, সমাজের সেই গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেখানে বয়স্ক নাগরিকেরা নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে অবসর জীবনযাপন করতে পারেন। একদিকে সন্তানদের ব্যস্ততা, অন্যদিকে বার্ধক্যের অসুবিধা — সব মিলিয়ে অনেকেই এখন বৃদ্ধাশ্রমে থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

২০২৫ সালে বাংলাদেশে বেশ কিছু উন্নতমানের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে, যেগুলো বিভিন্ন ধরণের সেবা ও সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। আজ আমরা জানবো কোথায় কোথায় বৃদ্ধাশ্রম আছে, সেগুলোর সেবা কেমন, খরচ কত, এবং কীভাবে ভর্তি হওয়া যায়।

বৃদ্ধাশ্রম কি

বৃদ্ধাশ্রম বলতে বয়স্কদের আশ্রয়স্থল কে বোঝানো হয়। যেখানে বৃদ্ধ বয়সে নারী -পুরুষের আবাসস্থল হলো বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধাশ্রম কে ইংরেজিতে ওল্ড এজ হোম বলা হয়।বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয়কৃত বৃদ্ধদের থাকা-খাওয়া চিত্ত বিনোদন সুস্থ ও অসুস্থতাজনিত সকল প্রকার সেবা প্রদান করা হয় বৃদ্ধাশ্রমে।এখানে বসবাসরত সকল প্রবীনদের সমস্ত দায়ভার থাকে  বৃদ্ধাশ্রম এর উদ্যোক্তাদের উপর।

🧑‍⚕️ বৃদ্ধাশ্রমে সাধারণত কী ধরণের সেবা পাওয়া যায়?

বৃদ্ধাশ্রমগুলো নিচের ধরণের সেবা প্রদান করে থাকে:

  • আবাসন: নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রুম

  • খাদ্য: স্বাস্থ্যসম্মত ও সময়মতো খাবার

  • চিকিৎসা: প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনে হসপিটাল লিংক

  • মানসিক সাপোর্ট: কাউন্সেলিং, প্রার্থনা, সহানুভূতি

  • বিনোদন: টিভি, গান, বই পড়া, হালকা ব্যায়াম

বৃদ্ধাশ্রমের ইতিহাস

খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ নিজ পরিবার থেকে বিতাড়িত বৃদ্ধদের জন্য একটি আশ্রয় কেন্দ্র ফোন করা হয় সান রাজবংশের উদ্যোগে।পৃথিবীতে প্রথম বৃদ্ধদের কেন্দ্র হিসেবে এই প্রতিষ্ঠিত হয়। এই আশ্রমে বিনোদনের সকল সুযোগ সুবিধা ছিল।  প্রাচীন চীনে প্রথম বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার জন্য ইতিহাসবিদরা বৃদ্ধাশ্রমকে প্রাচীর চীনের গড়ে ওঠার সভ্যতার অন্যতম প্রতিষ্ঠান বলে ভূষিত করেন।

তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার বয়স খুব বেশি নয়। কয়েক দশক আগেও বাংলাদেশের বৃদ্ধাশ্রম এর আনাগোনা খুব একটা দেখা যায়নি। তবে সময় এবং সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সমাজের  পরিবর্তন হয়েছে।পাশ্চাত্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষ ভুলে যাচ্ছে তাদের দায়িত্ববোধকে।

৮০ র দশক থেকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা দু-একটা। তবে ২০১০ সালের পর থেকে পরিত্যক্ত মানুষের পাশে এসে জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে কিংবা সরকারি উদ্যোগে আশ্রম গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলে বৃদ্ধাশ্রম এর সংখ্যা প্রায় অনেক। বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে তা খুঁজে বের করা এখন খুব সহজ।

বাংলাদেশে মোট কয়টি বৃদ্ধাশ্রম আছে

বাংলাদেশে বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এ বিষয়ে আমরা জানবো।বাংলাদেশে বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রম এর সংখ্যা অনেক বেশি। আর বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে প্রবীনদের সংখ্যাও অনেক বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত বৃদ্ধাশ্রম অথবা সরকারি বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা। ছয়টি বৃদ্ধাশ্রমে সরকার মালিকানাধীন।এর মধ্য আগারগাঁও “বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ” নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে।রাউজান নোয়াপাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে “আমিনা বশর  বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র” নামে একটি আশ্রম। উত্তরায় আজমপুরে ছিল “বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র” নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম যা ১৯৯৪ সালে  স্থানান্তর করে  গাজীপুরে নিয়ে আসা হয় ।তবে মাদার তেরেসা ১৯৯৫ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যান।

বর্তমানে এটির নামকরণ করা হয় কেন্দ্রীয় প্রবীণ নিবাস। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়  সরকারি নিবন্ধিত কিছু বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে।তবে সরকারি নিবন্ধিত বৃদ্ধাশ্রম এর পাশাপাশি ব্যক্তি পরিচালনায় অথবা বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আরো অনেক  বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে।বর্তমানে বাংলাদেশের মোট বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা প্রায় ৩২ টির মতো যেখানে ৬০ ঊর্ধ্ব প্রবীণ নারী পুরুষের বসবাস। এতে করে বোঝা যাচ্ছে কতটা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে যার কারণে পরিবার ছেড়ে বৃদ্ধ বয়সে  পাড়ি জমাতে হচ্ছে বিভিন্ন আশ্রমে।

সবকিছু বুঝেও যেন অবুঝ। ভালো-মন্দ বিবেক বিবেচনা করার জ্ঞান  সবারই আছে কিন্তু বিবেচনা করে কজন। যে বয়সে পরিবারের যত্ন ভালবাসা পাওয়ার সময় সেই বয়সেই  পরিবার ছেড়ে আশ্রমের ঠাঁই হচ্ছে অসংখ্য বৃদ্ধ মা-বাবার।সন্তানেরা মা-বাবার জন্য খুঁজছে দেশে  বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে।

বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ঢাকায়

বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ঢাকায় এই পর্যায়ে আমরা জানব।বর্তমানের সমাজ সংস্কৃতির ধারা অনুযায়ী প্রবীনদের পরিবারে জায়গা হয় খুব কম। তাদের জন্য বরাদ্দ হয় বৃদ্ধাশ্রম।শেষ বয়সের আশ্রয়স্থল হয় বৃদ্ধাশ্রম।ঢাকা বিভাগের মধ্যেও অনেকেই আছেন যারা বড় ফ্ল্যাটে থাকেন কিন্তু মা বাবার জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ হয় না।শেষ বয়সে তাদের শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রমে হয়।

ঢাকার মধ্যে এমন প্রবীনদের জন্য সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।ঢাকা বিভাগের মধ্যে কোথায় কোথায় বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে সেটি জানতে নিচে লক্ষ্য করুন;

আপন নিবাস বৃদ্ধাশ্রম

উত্তরা,উত্তরখান তেরমুখ, কড়াইহাটি স্লানঘাটা, ঢাকা

ফোন:০১৬৮৬৬৬৪০৬৮,০১৮২৮৬৭৩৪৭৩

চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার

দক্ষিণ পাইপাড়া, কল্যাণপুর, মিরপুর ঢাকা— ১২১৬

ফোন:০১৬২০৫৫৫২২২,০১৬২৬৫৫৫২২২

প্রবীণ নিবাস

আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা- ১২০৭

ফোন :০১৭৭৫৪৭৪৮২৭,৯১৪১৪০৪,৯১২৯৮১৪

আপন ভুবন বৃদ্ধাশ্রম

উত্তরা,বাসা-৩৬, রোড- ২০, সেক্টর- ১৩,ঢাকা

ফোন :০১৮৮৬১০৭১০৯

বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র

মির্জাপুর, হোতাপাড়া, গাজীপুর

সরকারি বৃদ্ধাশ্রম কোথায় আছে

বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় মোট ছয়টি সরকারি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। এই বৃদ্ধাশ্রম গুলো সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়।বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি উদ্যোগে মোট ছয়টি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা খোঁজ করেন বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে তাদের জন্য জেনে রাখা ভালো সরকার কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশে মোট বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা ছয়টি।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্বের তথ্য অনুযায়ী ছয়টি  বৃদ্ধাশ্রমে মোট ৩০০ জন বৃদ্ধদের থাকার ব্যবস্থা আছে।তবে বর্তমানে যেহেতু প্রবীনদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এই বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে আসন সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে।

সরকারের নিবন্ধিত বৃদ্ধাশ্রম ছয়টি ঢাকা জেলার ফরিদপুর তার বাগেরহাট চট্টগ্রাম সিলেট বরিশাল ও রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।

বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম বিভাগে ২০১৪ সালের পহেলা ১মে বিশাল এলাকা জুড়ে একটি বৃদ্ধাশ্রম কিংবা বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। এটি চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়ায় কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এই বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী মোঃ শামসুল আলম তার মা বাবার নামে বৃদ্ধাশ্রমটির নামকরণ করেন আমেনা বশর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র।বর্তমানে বিশাল এলাকা জুড়ে হওয়া এই বৃদ্ধাশ্রমটি সরকার নিবন্ধিত।

চট্টগ্রাম বিভাগে আরো একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে আইয়ুব নগর বৃদ্ধাশ্রম নামে। এটি চট্টগ্রামের দূর্গারামপুরে অবস্থিত। এই বৃদ্ধাশ্রমে যোগাযোগের জন্য ফোন করতে পারেন তাদের নিজস্ব নাম্বারে।

ফোন:০১৮৫১৭৮১২০৮

বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ময়মনসিংহ

বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ময়মনসিংহে এটি অনেকের প্রশ্ন। ময়মনসিংহে একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে যেখানে ঠিকানা না জানা বৃদ্ধদের রাখা হয়। এই বৃদ্ধাশ্রমটির নাম সাড়া মানবিক বৃদ্ধাশ্রম।যারা বৃদ্ধ বয়সে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পরিবার তাদেরকে ফুটপাতে ফেলে দেয় সেই সমস্ত মানুষের জায়গা হয় এই সাড়া মানবিক বৃদ্ধাশ্রমে।

এই বৃদ্ধাশ্রম টি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ভান্ডাব (দারিয়া পাড়া গ্রামে) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে গঠিত একটি আশ্রম। এই বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মালেক নামে একজন মহৎ ব্যক্তি। এই বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধদের লালন পালনের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন অনেক পথ শিশুরা।সাড়া মানবিক বৃদ্ধাশ্রমে যোগাযোগের জন্য ফোন করুন:০১৭৬৬৫৮৩৬৪৬ এই নাম্বারে।

বৃদ্ধাশ্রমের খরচ

বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এটি জানার পাশাপাশি বৃদ্ধাশ্রম এর খরচ সম্পর্কেও জেনে রাখতে হবে।সকল বৃদ্ধাশ্রম যে বিনামূল্যে লালন পালন করে তা নয়।এমন অনেক বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে যেখানে কেউ স্বেচ্ছায় যদি মা-বাবা অথবা আত্মীয় স্বজনকে রেখে আসে তাহলে তাদের থাকা-খাওয়া সেবার জন্য টাকা প্রদান করতে হবে। আবার এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে বৃদ্ধদের থাকা খাওয়া কিংবা সেবার জন্য কোন টাকা সেখানে বিনামূল্যে প্রবীনদের রাখা হয়।

বৃদ্ধাশ্রমের খরচ আসলে নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের উপর।যদি বৃদ্ধাশ্রমে আত্মীয় স্বজনদের রাখার জন্য আপনাকে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে টাকা প্রদান করতে হয় তাহলে তা ৫০০০ থেকে ৫০০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্যনিয় যে বৃদ্ধাশ্রম একটি মহৎ উদ্যোগে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা দ্বারা এটি পরিচালিত হয় যারা পরিবার বা প্রিয়জনদের দ্বারা পরিত্যক্ত বয়স্কদের বিনামূল্যে দো বাসস্থান এবং সেবা প্রদান করে থাকে।

বৃদ্ধাশ্রমের খরচ আসলে নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের উপর।যদি বৃদ্ধাশ্রমে আত্মীয় স্বজনদের রাখার জন্য আপনাকে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে টাকা প্রদান করতে হয় তাহলে তা ৫০০০ থেকে ৫০০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্যনিয় যে বৃদ্ধাশ্রম একটি মহৎ উদ্যোগে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা দ্বারা এটি পরিচালিত হয় যারা পরিবার বা প্রিয়জনদের দ্বারা পরিত্যক্ত বয়স্কদের বিনামূল্যে দো বাসস্থান এবং সেবা প্রদান করে থাকে।

💰 বৃদ্ধাশ্রমে থাকা খরচ কত?

সাধারণত একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকার খরচ নির্ভর করে:

  • লোকেশন (ঢাকা, বিভাগীয় শহর)

  • সেবা (সাধারণ / প্রাইভেট রুম)

  • স্বাস্থ্য সাপোর্ট (চিকিৎসা সেবা অন্তর্ভুক্ত কি না)

গড় খরচ: প্রতি মাসে ৮,০০০ – ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

📝 বৃদ্ধাশ্রমে ভর্তি হওয়ার নিয়ম

  • আবেদনপত্র পূরণ

  • চিকিৎসা রিপোর্ট জমা

  • পরিবারের সম্মতি / নথিপত্র

  • ভর্তির তারিখ নিশ্চিত করা

কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে, আবার কেউ সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ভর্তি নেয়।

🤔 কেন বৃদ্ধাশ্রম প্রয়োজন?

  • একাকীত্ব দূর করা

  • নিয়মিত সেবা গ্রহণ

  • সহচর ও মনোবল বাড়ানো

  • চিকিৎসা সুবিধার কাছাকাছি থাকা

  • পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়েও শান্ত জীবনযাপন

বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা বাড়ছে কেন

বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এটি জানতে এখন খুব বেশি ঘাটাঘাটি করতে হয় না। বাংলাদেশে তো মানে প্রায় ৩২ টিরও বেশি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে যা সরকারি কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে গঠিত।

একটা সময় ছিল যখন যৌথ পরিবারের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি প্রকাশ করত মা বাবা দাদা-দাদী চাচা-চাচি। কিন্তু এমন পরিবার এখন চোখে পরেই না বলতে গেলে। এখন সবাই ছোট পরিবারে বসবাস করে। ছেলে মেয়ে আলাদা মা-বাবা আলাদা যার কারণে দায়িত্ববোধ এবং মায়ার টান কমে যায়।

অনেক গবেষকরা বলে থাকেন এই যৌথ পরিবার গুলোর ভাঙ্গনের ফলেই পারিবারিক বন্ধন অন্য হয়ে যায় যার ফলে সন্তানরা তাদের মা বাবার প্রতি কর্তব্যকে অবহেলা করে। নিজের বাবা-মাকে বোঝা মনে করে। আর এই মানসিকতাই বৃদ্ধাশ্রম সংখ্যা বৃদ্ধির  মূল কারণ।

প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন:বৃদ্ধাশ্রম এর খরচ কত?

বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এই প্রশ্নের উত্তর জানার পাশাপাশি যারা বৃদ্ধাশ্রমের খোঁজ করেন তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমের খরচ নিয়েও ভাবতে হবে।

বৃদ্ধাশ্রমের খরচ আসলে নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের উপর।যদি বৃদ্ধাশ্রমে আত্মীয় স্বজনদের রাখার জন্য আপনাকে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে টাকা প্রদান করতে হয় তাহলে তা ৫০০০ থেকে ৫০০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্যনিয় যে বৃদ্ধাশ্রম একটি মহৎ উদ্যোগে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা দ্বারা এটি পরিচালিত হয় যারা পরিবার বা প্রিয়জনদের দ্বারা পরিত্যক্ত বয়স্কদের বিনামূল্যে দো বাসস্থান এবং সেবা প্রদান করে থাকে।

প্রশ্ন:বাংলাদেশে কয়টি বৃদ্ধাশ্রম আছে?

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৩২টিরও বেশি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। তবে সরকারি নিবন্ধিত বৃদ্ধাশ্রম এর সংখ্যা মাত্র ছয়টি।

প্রশ্ন:যশোর বৃদ্ধাশ্রম কোথায়?

খুলনা বিভাগসহ দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের একমাত্র বৃদ্ধাশ্রম রোটারি কেনায় আলী আনোয়ারা খাতুন old home।এটি শহরের মুজিব সড়কে রোটারি হাসপাতাল সংলগ্ন ২৫ শতক জমিতে নির্মিত হয়েছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে সরকার পরিচালিত বৃদ্ধাশ্রম আছে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, বিভিন্ন জেলায় সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের আওতায় সরকার পরিচালিত বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে, যেখানে ভর্তির জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।

প্রশ্ন: বৃদ্ধাশ্রমে কেউ স্বেচ্ছায় থাকতে পারে?

উত্তর: অবশ্যই। যদি পরিবার থেকে অনুমতি থাকে বা কেউ স্বনির্ভর হন, তাহলে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।

প্রশ্ন: বৃদ্ধাশ্রমে থাকার জন্য কী কী কাগজপত্র দরকার?

উত্তর: পরিচয়পত্র (NID), চিকিৎসা প্রতিবেদন, নিকটাত্মীয়ের অনুমতি (যদি থাকে), ২ কপি ছবি ইত্যাদি।

শেষ কথা-

বন্ধুরা আর্টিকেলে আমরা ইতোপূর্বে আলোচনা করেছি বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এই সম্পর্কে অর্থাৎ বাংলাদেশের কোন কোন জায়গায় বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে তার সন্ধান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লেই আপনি পেয়ে যাবেন। আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে। বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে এই সম্পর্কে যদি আপনাদের কারো কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে মাধ্যমে জানাবেন।

[বিশেষ দ্রষ্টব্য ]

কখনোই প্রত্যক্ষ জনিত কারণে মা বাবা অথবা আত্মীয়-স্বজনদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে বৃদ্ধাশ্রমে রাখবেন না।বাবা-মা আত্মীয়স্বজনের প্রতি নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধকে অবহেলা করবেন না।

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

আরো পোস্ট সমূহ:-

বাইক চালানোর পূর্বে যে সকল বিষয় চেক করবেন
বাংলাদেশের বিনা খরচে বৃদ্ধাশ্রম

SS IT BARI-ভালোবাসার টেক ব্লগ টিম