ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয় –একজন ড্রাইভারের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই পেশাদার ও পেশাদার ড্রাইভার এর ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশেও ব্যতিক্রম নয়। কোন ড্রাইভার এর ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত একজন ড্রাইভার বিআরটিএ আইন মোতাবেক শাস্তি প্রাপ্ত হতে পারে।তাই গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে প্রত্যেক ড্রাইভারের উচিত ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানো। অনেক ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর পর তা হারিয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুপস্থিতিতে করণীয় কি তা বিআরটিএ আইনের নির্দেশ করা আছে।
সুপ্রিয় পাঠক পাঠিয়ে দাও বন্ধুরা অনেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয় কি তা বুঝতে পারেন না। তাদের জন্য আজকে আমি এই আর্টিকেলটি লিখছি। আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে যাওয়ার কিংবা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর করনীয় কি।তাছাড়া এ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক অবশ্যই আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স
সড়ক পথে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো আইনত অবৈধ। তাই একজন চালকের প্রথম এবং প্রয়োজনীয় কাজ হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা। ড্রাইভিং লাইসেন্স একজন চালকের যাবতীয় তথ্য দ্বাড়া তৈরিকৃত একটি কার্ড। যা একজন ড্রাইভার এর গাড়ি চালানোর বৈধতা প্রমাণ করে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো আইনত অপরাধ। বিআরটি এ কর্তৃক ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি রয়েছে যা একজন ড্রাইভার অনুসরণ করে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি হাতে পেয়ে থাকে। ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয়
গাড়ির মালিক এবং গাড়ির ড্রাইভারদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নথি হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। লাইসেন্স ছাড়া কোন চালক বৈধতার ভিত্তিতে গাড়ি চালাতে পারে না। যার কারনে ড্রাইভিং লাইসেন্স টি দুর্ভাগ্যবশত হারিয়ে গেলে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান। তবে বর্তমানে এ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। এখন ঘরে বসেই বিকল্প ড্রাইভিং লাইসেন্স টি আপনি পেতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়ার লাইসেন্স পেতে পারেন;
১) সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।
২)ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা সেজন্য ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।
৩) মিসিং ড্রাইভিং লাইসেন্স ডিজে এলাকা থেকে করা হয়েছিল ডুপ্লিকেট কপির জন্য সেই এলাকায় আবেদন জমা দিতে হবে।
৪) নির্ধারিত ফি বিআরটিএ এর অফিসে জমা দিতে হবে।
ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন
ড্রাইভিং লাইসেন্স মিসিং করে অথবা তথ্য মুছে গেলে ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ড্রাইভারকে আবেদন করতে হবে। অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমেই ডুব্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ডুবলিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১) নির্ধারিত ফর্মে আবেদন।
২) জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
৩) নির্ধারিত ফি (হাই সিকিউরিটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৮৭৫ টাকা) বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দানের রশিদ।
৪) সাধ্য তোলা ১কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের প্রক্রিয়া
ধাপ-১:https://bsp.brta.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আবেদন জানানোর সময় সব তথ্য জানানো বাধ্যতামূলক।
ধাপ-২: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরমটি পূরণ করতে করতে হবে।
ধাপ-৩: এরপর নির্ধারিত ফি পরিশোধসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যুক্ত করতে হবে।
ধাপ-৪: এই পর্যায়ে ফর্মটি জমা দিতে হবে বিআরটিএ নির্ধারিত অফিসে যেখান থেকে পূর্বের লাইসেন্স করা হয়েছিল। অনলাইনে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিআরটিএ নির্ধারিত অফিসের ঠিকানায় সাবমিট করতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রক্রিয়াগত কোন ত্রুটি না থাকলে স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং এর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গ্রাহক কে এসএমএস এর মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদানের সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি
ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বিআরটিএ এর নির্ধারিত ব্যাংকে ৮৭৫ টাকা জমা দিতে হবে ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীকে। তবে এই ফি অবশ্যই পরিবর্তনশীল। টাকার পরিমাণ যেকোনো সময় বৃদ্ধি অথবা হ্রাস পেতে পারে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানকারী সংস্থা
বাংলাদেশের সকল প্রকার লাইসেন্স দিয়ে থাকে বিআরটিএ (BRTA) এই সংস্থাটি।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে সকল প্রকারের যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ (সংশোধনের ১৯৮৭) এর অধ্যায় ২ অনুযায়ী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ১৯৮৮ সাল থেকে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাতিত গাড়ি চালানোর শাস্তি
কোন চালক যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালায় সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড বা ২৫০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে আমরা অনেক বিচলিত হয়ে পড়ি।কিন্তু এত বিচলিত হওয়ার কিছু নেই কারণ বর্তমানে বিকল্প উপায় রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার। তবে হ্যাঁ এটা পেতে আপনাকে সময় এবং শ্রম খরচ করতে হচ্ছে। তাই সর্বদা অবশ্যই চেষ্টা করবেন নিজের গাড়ির কাগজ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সব সময় নিরাপদে স্থানে রাখার। আপনি সতর্কতা আপনাকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করবে।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্স হারানোর পর প্রথমে কোন কাজটি করতে হবে?
উত্তর: একজন স্লোকেন ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে যাওয়ার পর প্রথম কাজটি হল থানায় জিডি করা।
প্রশ্ন: ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কতদিন সময় লাগতে পারে?
উত্তর: সাধারণত ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার পর ৩০ দিনের মধ্যে সম্ভাবনা থাকে তবে ছুটির কারণে সময় কিছুদিন বাড়তে পারে।
প্রশ্ন: ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার ফি কত?
উত্তর: ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স ৮৭৫ টাকা বিআরটিএ নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
শেষ কথা-
সুপ্রিয়া পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা যারা পেশাগত এবং অপেশাগতভাবে ড্রাইভিং করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্ট হলো আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যা হেফাজতে রাখা আপনার অন্যতম দায়িত্ব। তবে যদি অনিবার্য কোন কারনে আপনার লাইসেন্সটি হারিয়ে যায় তাহলে আজকে উল্লেখিত প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স টি ফিরে পেতে পারেন।
আজকের আর্টিকেলটি পাঠ করার পর এই সম্পর্কে যদি কারো কনফিউশন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন আমরা উত্তরের মাধ্যমে আপনাদের তথ্য প্রদানের চেষ্টা করব। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দেখবেন।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
আরও পড়ুন-
যানবাহনের মামলা হলে করণীয় কি? কিস্তিতে বাইসাইকেল কিভাবে কিনবেন জানতে ক্লিক করুন মেয়েদের সাইকেলের দাম কত
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।