বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণফোন একটি সুপরিচিত নাম। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গ্রামীণফোনের জনপ্রিয়তা ও উন্নত মানের সেবা, একে দেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম অপারেটর হিসেবে গড়ে তুলেছে। বর্তমান যুগে যেখানে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, সেখানে গ্রামীণফোনের অবদান উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু গ্রামীণফোনের এই সফলতার পেছনে কারা রয়েছেন? এই কোম্পানির মালিকানা কার হাতে? গ্রামীণফোনের মালিকানা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমরা দেখতে পাই, এটি শুধুমাত্র একটি বাংলাদেশি কোম্পানি নয় বরং এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে, যা এই প্রতিষ্ঠানের সেবাকে আরও উন্নত করতে সহায়ক হয়েছে। Telenor Group এবং Grameen Telecom-এর মালিকানা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রামীণফোন তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, যা বাংলাদেশে টেলিকমিউনিকেশন খাতকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এই নিবন্ধে, আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো গ্রামীণফোনের মালিকানা, প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, এর ব্যবস্থাপনা, এবং কীভাবে Telenor Group ও Grameen Telecom এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও, গ্রামীণফোনের সামাজিক দায়িত্ব ও বাংলাদেশের জনগণের জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয়গুলো নিয়েও বিশদ আলোচনা করা হবে।
গ্রামীণফোনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
গ্রামীণফোনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে, যখন এটি বাংলাদেশের প্রথম জিএসএম (GSM) ভিত্তিক মোবাইল অপারেটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর নাম থেকেই বোঝা যায়, প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠা ও সফলতার পেছনে ছিল দুটি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টা: নরওয়ের টেলিকম জায়ান্ট Telenor Group এবং বাংলাদেশের Grameen Telecom। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মিশ্রণে গ্রামীণফোন তৈরি করে দেশের জন্য উন্নতমানের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা।
গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠা ও লক্ষ্য
১৯৯৬ সালে, বাংলাদেশ সরকার যখন নতুন বেসরকারি খাতে মোবাইল ফোন সেবা উন্নয়নের পরিকল্পনা করে, তখন Telenor Group এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান Grameen Telecom একত্রে গ্রামীণফোনের ভিত্তি স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়। ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে, আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামীণফোন তার সেবার যাত্রা শুরু করে। এটি তৎকালীন একটি বড় উদ্যোগ ছিল, যেহেতু দেশের মানুষ তখনও মোবাইল ফোন সেবা সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞ ছিল না।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ
গ্রামীণফোন প্রথমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেবা প্রদান শুরু করলেও দ্রুতই এর নেটওয়ার্ক সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রথম জিএসএম অপারেটর হিসেবে মোবাইল ফোন সেবাকে সকলের জন্য সহজলভ্য করতে চেয়েছিল। ২০০৫ সালে, গ্রামীণফোন প্রথমবারের মতো দেশে EDGE প্রযুক্তি নিয়ে আসে, যা মোবাইল ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।
আন্তর্জাতিক শেয়ারহোল্ডিং
প্রতিষ্ঠানটির মালিকানার বড় অংশই ছিল Telenor Group-এর হাতে, যা একটি বহুজাতিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান Grameen Telecom স্থানীয় অংশীদার হিসেবে গ্রামীণফোনের অংশীদারিত্বে ছিল। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গ্রামীণফোনের সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনী সেবা
গ্রামীণফোন ২০০৬ সালে প্রিপেইড সেবার মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রিপেইড সেবা ও সহজলভ্য রিচার্জ ব্যবস্থার কারণে এই কোম্পানি দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে, গ্রামীণফোন ফোর-জি (4G) সেবাও চালু করে, যা উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও উন্নত মোবাইল ডেটা সেবা প্রদান করে।
সামাজিক দায়বদ্ধতা
গ্রামীণফোন দেশের সমাজের উন্নয়নে তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, যেমন- শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা। Grameen Telecom এর সাথে মিলিত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেবা সম্প্রসারণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে নিয়োজিত রয়েছে।
গ্রামীণফোনের বর্তমান মালিকানা
গ্রামীণফোনের মালিকানা তিনটি প্রধান অংশীদারের মধ্যে বিভক্ত:
- টেলিনর গ্রুপ: নরওয়ের এই বৃহৎ টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণফোনের ৫৫.৮% শেয়ারের মালিক। টেলিনর গ্রুপ বিশ্বের ১২টি দেশে মোবাইল সেবা প্রদান করে এবং তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনা অভিজ্ঞতা গ্রামীণফোনের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- গ্রামীণ টেলিকম: নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণফোনের ৩৪.২% শেয়ারের মালিক। গ্রামীণ টেলিকমের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে জিএসএম সেলুলার সেবা সহজলভ্য করা এবং গ্রামীণফোনের মাধ্যমে গ্রামবাসী, বিশেষ করে দরিদ্র মহিলাদের, আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত করা।
- অন্যান্য সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী: বাকি ১০% শেয়ার বিভিন্ন সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এই মালিকানা কাঠামোর মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে শীর্ষস্থানীয় অবস্থান ধরে রেখেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
Telenor Group-এর প্রভাব ও অবদান
টেলিনর গ্রুপ, নরওয়ে ভিত্তিক একটি শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণফোনের ৫৫.৮% শেয়ারের মালিকানা ধরে রেখেছে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে টেলিনর গ্রুপ গ্রামীণফোনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ: টেলিনর গ্রুপের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা গ্রামীণফোনকে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগে সহায়তা করেছে। এর ফলে গ্রামীণফোন দেশের প্রথম জিএসএম অপারেটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে ৩জি ও ৪জি সেবা চালু করে। এছাড়া, টেলিনর গ্রুপের সহায়তায় গ্রামীণফোন দেশের প্রায় ৯৯% জনসংখ্যাকে নেটওয়ার্ক কাভারেজের আওতায় নিয়ে এসেছে।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
সামাজিক দায়বদ্ধতা ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি: টেলিনর গ্রুপের নেতৃত্বে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে গ্রামীণফোন, টেলিনর এবং তাদের গ্লোবাল পার্টনার প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সাথে মিলে ২৩,৫০,০০০ মেয়েদের ও যুবকদের ডিজিটাল দক্ষতা ও নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি প্রকল্প শুরু করে।
অর্থনৈতিক অবদান: টেলিনর গ্রুপের বিনিয়োগ ও পরিচালনায় গ্রামীণফোন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন প্রায় ১,৫০৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড (GVA) তৈরি করে, যা দেশের মোট GVA-এর ০.৮% এবং আইসিটি খাতের GVA-এর ৩০.৮%।
টেলিনর গ্রুপের মালিকানা ও পরিচালনায় গ্রামীণফোন বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
Grameen Telecom-এর ভূমিকা ও গ্রামীণফোনে এর প্রভাব
গ্রামীণ টেলিকম, নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণফোনের ৩৪.২% শেয়ারের মালিক।
গ্রামীণ টেলিকমের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে জিএসএম সেলুলার সেবা সহজলভ্য করা এবং গ্রামীণফোনের মাধ্যমে গ্রামবাসী, বিশেষ করে দরিদ্র মহিলাদের, আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত করা।
- পল্লীফোন কার্যক্রম: গ্রামীণ টেলিকমের অন্যতম উদ্যোগ পল্লীফোন, যা গ্রামীণফোনের মোবাইল সেবা গ্রামীণ নারীদের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেয়। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আয়ের সুযোগ পায় এবং স্থানীয় জনগণকে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করে।
- সামাজিক দায়বদ্ধতা: গ্রামীণ টেলিকমের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি। এটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গ্রামীণ টেলিকমের অংশীদারিত্ব ও উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ সেবা বিস্তৃত করেছে এবং স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রেখেছে।
গ্রামীণফোনের শেয়ারহোল্ডারদের প্রোফাইল
গ্রামীণফোন লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে প্রধানত তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে:
- টেলিনর মোবাইল কমিউনিকেশনস এএস (TMC): নরওয়ের টেলিনর এএসএ-এর একটি সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা গ্রামীণফোনের ৫৫.৮% শেয়ারের মালিক।
- গ্রামীণ টেলিকম: বাংলাদেশের এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণফোনের ৩৪.২% শেয়ারের মালিক।
- সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী: বাকি ১০% শেয়ার সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এই মালিকানা কাঠামোর মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে শীর্ষস্থানীয় অবস্থান ধরে রেখেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
গ্রামীণফোনের মালিক কে? সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: গ্রামীণফোনের প্রধান শেয়ারহোল্ডার কে?
উত্তর: গ্রামীণফোনের প্রধান শেয়ারহোল্ডার হলো নরওয়ের টেলিনর গ্রুপ, যারা কোম্পানির ৫৫.৮% শেয়ারের মালিক।
প্রশ্ন ২: গ্রামীণফোনের স্থানীয় অংশীদার কে?
উত্তর: গ্রামীণফোনের স্থানীয় অংশীদার হলো গ্রামীণ টেলিকম, যারা কোম্পানির ৩৪.২% শেয়ারের মালিক।
প্রশ্ন ৩: গ্রামীণফোনের বাকি শেয়ার কারা ধারণ করে?
উত্তর: গ্রামীণফোনের বাকি ১০% শেয়ার সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
প্রশ্ন ৪: টেলিনর গ্রুপের গ্রামীণফোনে বিনিয়োগের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: টেলিনর গ্রুপের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করে উন্নত সেবা প্রদান করা এবং দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে অবদান রাখা।
প্রশ্ন ৫: গ্রামীণ টেলিকমের ভূমিকা কী?
উত্তর: গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীণফোনের স্থানীয় অংশীদার হিসেবে গ্রামীণ অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ সেবা বিস্তারে কাজ করে এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে।
প্রশ্ন ৬: গ্রামীণফোনের মালিকানা কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি?
উত্তর: গ্রামীণফোনের মালিকানা কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি; টেলিনর গ্রুপ ও গ্রামীণ টেলিকম তাদের শেয়ার ধরে রেখেছে।
প্রশ্ন ৭: গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদে কারা রয়েছেন?
উত্তর: গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদে টেলিনর গ্রুপ ও গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিনিধিরা রয়েছেন, যারা কোম্পানির নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনায় ভূমিকা পালন করেন।
প্রশ্ন ৮: গ্রামীণফোনের শেয়ার বাজারে লেনদেন হয় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, গ্রামীণফোনের শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত।
প্রশ্ন ৯: গ্রামীণফোনের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ নীতি কী?
উত্তর: গ্রামীণফোন নিয়মিতভাবে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করে, যা কোম্পানির আয় ও পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন ১০: গ্রামীণফোনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর: গ্রামীণফোন ভবিষ্যতে ৫জি প্রযুক্তি প্রয়োগ, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল সেবা উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা প্রদানের পরিকল্পনা করছে।
উপসংহার
গ্রামীণফোন বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের জনগণকে নির্ভরযোগ্য মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে আসছে। নরওয়ের টেলিনর গ্রুপ এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ টেলিকমের যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুলভে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রামীণ টেলিকমের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষ বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা গ্রামীণফোনকে একটি সামাজিক দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
টেলিনর গ্রুপের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও বিনিয়োগ, গ্রামীণফোনকে অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ও উন্নতমানের মোবাইল সেবা প্রদান করতে সহায়তা করেছে, যা দেশের প্রায় ৯৯% জনসংখ্যার কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, গ্রামীণ টেলিকমের মাধ্যমে গ্রামীণফোন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে, যা গ্রামীণফোনের সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় বহন করে।
বর্তমানে গ্রামীণফোনের মালিকানা কাঠামো, টেলিনর ও গ্রামীণ টেলিকমের সম্মিলিত প্রভাব এবং এর সামাজিক অবদান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণফোন ভবিষ্যতেও দেশের যোগাযোগ খাতকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি বহন করছে।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
রবি ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম সহজ নিয়মে এয়ারটেল ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করুন বাংলালিংক ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন।
- ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলা ই সার্ভিস সেবা সম্পর্কিত টিপস পেতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন
- ডিজিটাল অনলাইন প্রোডাক্ট কিনতে এবং জানতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমাদের তথ্যগুলি পাবেন আরো যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️IMO চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।