অনলাইনে চালান ফরম বের করার উপায় | eReturn Challan Verify

বাংলাদেশে এখন ট্যাক্স বা আয়কর জমা দেওয়া হয়েছে আরও সহজ! আগে যেখানে চালান ফরম তৈরি করতে কর অফিসে যেতে হতো, এখন ঘরে বসেই আপনি অনলাইনে চালান ফরম (Challan Form) তৈরি, ডাউনলোড ও ভেরিফাই করতে পারেন।
আজকের এই পোস্টে জানবো — কিভাবে আপনি eReturn Challan Verify করবেন এবং অনলাইনে চালান ফরম বের করবেন সম্পূর্ণ ধাপে ধাপে।

আরও পড়ুন-করদাতাদের জন্য সুখবর! এনবিআর সারা দেশে ই-রিটার্ন হেল্প-ডেস্ক চালু করেছে

চালান ফরম কী?

চালান ফরম হলো একটি সরকারি নথি যা দ্বারা আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন।
এটি মূলত ট্যাক্স, ভ্যাট, রেজিস্ট্রেশন ফি বা অন্য কোনো সরকারি ফি পরিশোধের প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে।

অনলাইনে চালান ফরম কেন প্রয়োজন?

বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের (eReturn) সুবিধা চালু করেছে।
রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় “চালান নম্বর” বা “Payment Reference ID” প্রয়োজন হয়।
এই চালান ফরম অনলাইনে তৈরি করলে আপনি সহজেই পেমেন্ট ট্র্যাক করতে পারবেন, ব্যাংকে লাইন দেওয়ার ঝামেলাও থাকবে না।

অনলাইনে চালান ফরম বের করার ধাপসমূহ:

ধাপ ১:
প্রথমে প্রবেশ করুন https://nbr.gov.bd ওয়েবসাইটে।

ধাপ ২:
সেখানে যান “e-Payment” বা “Challan Form” অপশনে।

ধাপ ৩:
আপনার ট্যাক্স এরিয়া বা টিআইএন নম্বর অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিন।

ধাপ ৪:
চালান ফরমে ব্যাংক, কোড, এবং অর্থের পরিমাণ লিখে সাবমিট করুন।

ধাপ ৫:
সাবমিট করার পর একটি Challan Reference Number (CRN) পাবেন — এটিই মূল ট্র্যাকিং নম্বর।

ধাপ ৬:
পেমেন্ট সম্পন্ন হলে আপনি অনলাইনে সেই চালান Verify করতে পারবেন NBR-এর “Challan Verification” পেজ থেকে।

eReturn Challan Verify করার পদ্ধতি

1️⃣ প্রবেশ করুন NBR-এর Challan Verify Portal এ।
2️⃣ “Challan Reference Number (CRN)” বা “Transaction ID” বসান।
3️⃣ “Search” এ ক্লিক করলেই আপনার চালানের পূর্ণ তথ্য দেখা যাবে — যেমন: ব্যাংক নাম, জমার তারিখ, অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি।

👉 এই তথ্যগুলো মিললে বুঝবেন আপনার চালান সফলভাবে জমা হয়েছে।

চালান ভেরিফাই করার সুবিধা:

  • ভুল বা ডুপ্লিকেট জমা রোধ করা যায়।

  • ব্যাংক বা পেমেন্টের সঠিক রেকর্ড থাকে।

  • ট্যাক্স দাখিলের আগে নিশ্চিত হওয়া যায় চালান বৈধ কিনা।

  • eReturn সিস্টেমে রিটার্ন সাবমিট করা সহজ হয়।

চালান সংক্রান্ত সাধারণ ভুল ও সমাধান:

ভুল রেফারেন্স নম্বর: আবার যাচাই করুন ব্যাংকের প্রাপ্ত রসিদ।
ডুপ্লিকেট চালান: একই কোডে পুনরায় জমা দিলে রিটার্ন রিজেক্ট হতে পারে।
সমাধান: ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন অথবা ePayment হেল্পডেস্কে ই-মেইল পাঠান।

সহায়তা কোথা থেকে পাবেন?

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) বর্তমানে চালু করেছে ই-রিটার্ন হেল্প-ডেস্ক, যেখানে আপনি চালান, পেমেন্ট বা ভেরিফিকেশন সম্পর্কিত সহায়তা পেতে পারেন।
➡️ যোগাযোগ: https://nbr.gov.bd

ভিডিও টিউটোরিয়াল

এই পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে আমি একটি বিস্তারিত ভিডিও বানিয়েছি — যেখানে ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে কিভাবে আপনি অনলাইনে চালান ফরম তৈরি ও ভেরিফাই করবেন।
👉 নিচের  ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন:

উপসংহার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে eReturn ও অনলাইন চালান সিস্টেম করদাতাদের জন্য বিশাল সুবিধা।
ঘরে বসেই আপনি এখন ট্যাক্স জমা দিতে পারবেন, চালান তৈরি ও যাচাই করতে পারবেন—সবকিছুই অনলাইনে, কোনো ঝামেলা ছাড়াই। তাই আজই নিজের eReturn চালান ভেরিফাই করে নিশ্চিন্ত থাকুন।

আরও পড়ুন-চাকরিজীবীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নিয়ম(চালানসহ)

ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!

আরও পড়ুন-টিন সার্টিফিকেট কি?টিন সার্টিফিকেট কি কাজে লাগে

👉টেক নিউজের সকল খবর সবার আগে পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন!

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি মোঃ সানাউল বারী। পেশায় আমি একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি, আমি গত ১৪ বছর ধরে আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য - লেখায় যদি কোনও ভুল থাকে, তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। ধন্যবাদ।