ঢাকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে লালবাগের কেল্লা এমন একটি নিদর্শন, যা ইতিহাসপ্রেমী, পর্যটক ও সাধারণ দর্শনার্থী—সবার জন্যই এক আকর্ষণীয় গন্তব্য। শত বছরের পুরনো এই মুঘল স্থাপত্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও মানুষ ভিড় করেন। তবে আগে টিকিট কিনতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ভোগান্তি ছিল আরও বেশি।
বর্তমানে myGov e-Ticketing প্লাটফর্ম চালু হওয়ায় ঘরে বসেই অনলাইনে টিকিট কাটা যায় খুব সহজে। শুধু মোবাইল নম্বর দিয়ে টিকেট নির্বাচন করে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার ডিজিটাল এন্ট্রি টিকিট।
এই পোস্টে ধাপে ধাপে জানানো হলো—লালবাগের কেল্লার অনলাইন টিকিট কেনার সম্পূর্ণ নিয়ম, টিকিটের দাম, সময়সূচি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং দর্শনার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।
আরও –জাতীয় জাদুঘর অনলাইন টিকিট- সময়সূচি, প্রবেশমূল্য ও টিকেট কাটার নিয়ম
লালবাগ কেল্লার অনলাইন টিকিট কাটা কেন জরুরি?
অনলাইন টিকিটিং চালুর পর দর্শনার্থীরা পেয়েছেন এমন সুবিধা—
✔ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই
✔ নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় নির্বাচন করা যায়
✔ ১০০% নিরাপদ ডিজিটাল পেমেন্ট
✔ টিকিট ফোনে থেকেই স্ক্যান করেই প্রবেশ
✔ পরিবার বা ছাত্রছাত্রীদের জন্য একসাথে টিকিট কেনা সহজ
✔ বিশেষ দিনে ভিড় এড়াতে পূর্বেই টিকিট বুকিং করা যায়
লালবাগের কেল্লা অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ধাপ–১: ব্রাউজারে myGov e-Ticketing ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
🔗 ওয়েবসাইট: https://ticketing.myGov.bd
(স্ক্রিনশটে যেমন দেখানো হয়েছে)
ধাপ–২: “লালবাগ কেল্লা” নির্বাচন করুন
হোমপেজে একটি সার্চ বা ড্রপডাউন অপশন থাকবে।
সেখানে থেকে “লালবাগ কেল্লা” নির্বাচন করুন।
ধাপ–৩: আপনার মোবাইল নম্বর লিখুন
মোবাইল নম্বর ঘরে আপনার কার্যকর নম্বরটি লিখুন।
এটি টিকিট ভেরিফিকেশন ও রসিদের জন্য ব্যবহৃত হবে।
ধাপ–৪: জাতীয়তা নির্বাচন করুন
এখানে বাংলাদেশী (Bangladeshi) ডিফল্টভাবেই নির্বাচন করা থাকে।
বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা রেট প্রযোজ্য।
ধাপ–৫: তারিখ ও সময় নির্বাচন করুন
এখানে আপনি যেদিন যেতে চান, সেই তারিখ ও সময় স্লট নির্বাচন করতে হবে।
অনলাইন স্লট অনুযায়ী টিকিট সীমিত থাকে, তাই আগেই বুকিং করে রাখা উত্তম।
ধাপ–৬: টিকিটের ক্যাটাগরি ও সংখ্যা নির্বাচন করুন
অনলাইনে নিচের ক্যাটাগরি পাওয়া যায়—
- শিশু (০–৫ বছর) – সাধারণত ফি নেই
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী – জনপ্রতি ১০ টাকা
- প্রাপ্তবয়স্ক (Adult) – সরকারি নির্ধারিত মূল্য
- বিদেশি নাগরিক — আলাদা মূল্য
প্রতিটি ক্যাটাগরির পাশে “+” আইকনে চাপ দিয়ে টিকিট সংখ্যা বাড়িয়ে নিন।
ধাপ–৭: টিকিট মূল্য যাচাই করে “পেমেন্ট করুন” চাপুন
সব তথ্য সঠিক হলে নিচে মোট টাকার পরিমাণ দেখাবে।
এরপর “পেমেন্ট করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ–৮: আপনার পছন্দের পেমেন্ট মেথড নির্বাচন করুন
আপনি চাইলে পরিশোধ করতে পারবেন—
✔ বিকাশ
✔ নগদ
✔ রকেট
✔ কার্ড (Visa/Mastercard)
✔ অন্যান্য গেটওয়ে
পেমেন্ট সফল হলে আপনার মোবাইলে একটি ডিজিটাল টিকিট (QR কোডসহ) চলে আসবে।
ধাপ–৯: প্রবেশের সময় QR কোড স্ক্যান করান
লালবাগ কেল্লার প্রবেশদ্বারে স্ক্যানারের মাধ্যমে QR কোড স্ক্যান করা হবে।
প্রিন্ট কপি নেওয়ার প্রয়োজন নেই—ফোনেই দেখালেই হবে।
লালবাগ কেল্লার দর্শন সময়সূচি (সর্বশেষ আপডেট)
রবিবার ও সরকারি ঘোষিত বিশেষ ছুটির দিনে কেল্লা বন্ধ।
🟢 গ্রীষ্মকাল
⏰ সকাল ১০:০০ – সন্ধ্যা ৬:০০
🔵 শীতকাল
⏰ সকাল ৯:০০ – বিকেল ৫:০০
🔴 শুক্রবার
⏰ সকাল ৯:০০ – দুপুর ১২:৩০
❌ দুপুরের নামাজের সময় সাময়িক বন্ধ
⏰ বিকেল ২:০০ – সন্ধ্যা ৬:০০ পর্যন্ত খোলা
🟣 সোমবার
⏰ দুপুর ২:০০ – সন্ধ্যা ৬:০০ পর্যন্ত খোলা
📌 একজন ব্যক্তি দিনে সর্বোচ্চ ৫০টি টিকিট কিনতে পারবেন।
টিকিটের মূল্য (বাংলাদেশী দর্শনার্থীদের জন্য)
| ক্যাটাগরি | টিকিট মূল্য |
|---|---|
| শিশু (০–৫) | ফ্রি |
| প্রাথমিক শিক্ষার্থী | ৫ টাকা (যদি প্রযোজ্য) |
| মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী | ১০ টাকা |
| প্রাপ্তবয়স্ক | সরকারি নির্ধারিত রেট (সাধারণত ২০–৩০ টাকা) |
| বিদেশী নাগরিক | আলাদা রেট প্রযোজ্য |
(মূল্য সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। অনলাইনে টিকিট কাটার সময় সঠিক মূল্য প্রদর্শিত হবে।)
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
✔ টিকিট একবার কাটা হলে তা বাতিল/রিফান্ড হয় না
✔ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে
✔ QR কোড স্ক্রিনে পরিষ্কারভাবে দেখা যায় এমনভাবে রাখুন
✔ একই মোবাইল নম্বরে একাধিক টিকিট নেওয়া যায়
✔ সরকারি ছুটির দিনে টিকিট বুকিং বন্ধ থাকে
লালবাগের কেল্লার টিকিট
লালবাগের কেল্লায় প্রবেশের জন্য বর্তমানে অনলাইনে সহজেই টিকিট সংগ্রহ করা যায়। দর্শনার্থীরা myGov e-Ticketing প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় নির্বাচন করে টিকিট বুক করতে পারেন। অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে টিকিট কেনার ফলে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা কমে এবং ভ্রমণ আরও সুবিধাজনক হয়।
টিকিটের দাম দর্শনার্থীর বিভাগ অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশি দর্শনার্থী, শিক্ষার্থী, শিশু, বিদেশি পর্যটক—প্রত্যেকের টিকিট মূল্য আলাদা নির্ধারণ করা আছে। অনলাইনে টিকিট কাটার পর আপনার মোবাইল নম্বরে একটি কনফার্মেশন SMS আসবে, যা দেখিয়েই প্রবেশ করা যায়।
লালবাগের কেল্লা কে নির্মাণ করেন
লালবাগের কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন মুঘল সুবাদার প্রিন্স মোহাম্মদ আজম শাহ, যিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র ছিলেন। ১৬৭৮ সালে তিনি ঢাকায় সুবাদারি দায়িত্ব পালনকালে এই বিশাল স্থাপনার কাজ শুরু করান। তবে পুরো কেল্লাটি তার সময়েই শেষ হয়নি।
পরবর্তীতে ইসলাম খান II এবং নওয়াব শায়েস্তা খানের সময়েও নির্মাণ কাজ এগিয়ে যায়। বিশেষ করে শায়েস্তা খানের আমলে কেল্লার বাকি অংশগুলোর উন্নয়ন ও পরিপূর্ণতা আসে। যদিও কেল্লাটি সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি, তবুও এর প্রতিটি স্থাপনা মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন।
লালবাগের কেল্লা কোথায় অবস্থিত
লালবাগের কেল্লা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় অবস্থিত। বুড়িগঙ্গা নদীর কাছাকাছি হওয়ায় অতীত থেকে এ এলাকা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল। আজও এটি স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ঐতিহাসিক গন্তব্য।
পরিবহন সুবিধা সহজ থাকায় রাজধানীর যেকোনো প্রান্ত থেকে লালবাগের কেল্লায় যাওয়া বেশ সুবিধাজনক। বাস, প্রাইভেট কার, রিকশা—সব মাধ্যমেই এই স্থানে পৌঁছানো যায়। আশপাশের এলাকায় পুরান ঢাকার বিখ্যাত খাবার ও অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়ায় দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বেশি থাকে।
লালবাগের কেল্লা সম্পর্কে রিভিউ
অনেক দর্শনার্থী লালবাগের কেল্লাকে ঢাকার অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান হিসেবে অভিহিত করেন। এখানকার শান্ত পরিবেশ, বিস্তৃত প্রাঙ্গণ, মুঘল স্থাপত্যশৈলী এবং পুরান ঢাকার ইতিহাসের ছোঁয়া—সব মিলিয়ে জায়গাটি ভ্রমণপ্রেমীদের প্রিয় স্পট। পরিবার, বন্ধু বা শিক্ষামূলক ট্যুর—সব ধরনের দর্শনার্থীরাই কেল্লাটিকে খুবই পছন্দ করেন।
অনেক রিভিউতে দেখা যায় যে কেল্লার প্রতিটি স্থাপনা—দিবান-ই-আম, হামামখানা, বাইতুল ইমারত, মসজিদ—দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা ও আহ্লাদি পরিবেশের কারণে এটি ছবি তোলার জন্যও অত্যন্ত জনপ্রিয়। নতুন ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতা আরও সুবিধাজনক হয়েছে।
লালবাগের কেল্লার ডিরেক্টরি
লালবাগের কেল্লা কমপ্লেক্সে মোট কয়েকটি প্রধান স্থাপনা রয়েছে, যা দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট ডিরেক্টরি অনুযায়ী ঘুরে দেখতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে—মসজিদ, সমাধিসৌধ, দিবান-ই-আম, হামামখানা, লালবাগের জাদুঘর ও বিশাল উন্মুক্ত সবুজ প্রাঙ্গণ। প্রতিটি স্থাপনাই মুঘল আমলের অনন্য নির্মাণশৈলী ধারণ করে আছে।
দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে প্রবেশপথে লালবাগের কেল্লার মানচিত্র, নির্দেশনা বোর্ড এবং তথ্যকেন্দ্র রয়েছে। এখানে কেল্লার ইতিহাস, স্থাপত্যের ধরন, নির্মাণকালসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এই ডিরেক্টরিটি খুবই উপকারী।
লালবাগের কেল্লা টিকিট
লালবাগের কেল্লা টিকিট অনলাইন ও অফলাইন—দুইভাবেই সংগ্রহ করা যায়। তবে বর্তমানে সরকারি e-Ticketing সেবার কারণে অনলাইন টিকিটই সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায়। দর্শনের নির্দিষ্ট দিন ও সময় বেছে নিয়ে টিকিট কিনে রাখা যায়, যা প্রবেশের দিন মোবাইল SMS বা QR কোড দেখালেই যথেষ্ট।
টিকিটের মূল্য বয়স ও জাতীয়তা অনুযায়ী নির্ধারিত। শিশু, শিক্ষার্থী, বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য আলাদা মূল্য প্রযোজ্য। অনলাইনে পেমেন্ট করা যায় মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড এবং অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
লালবাগের কেল্লা সম্পর্কে
লালবাগের কেল্লা মুঘল স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন, যা প্রায় ৩৫০ বছরের ইতিহাস ধারণ করে আছে। এটি মূলত একটি অসমাপ্ত মুঘল দুর্গনগরী, যাকে কেন্দ্র করে ঢাকার ইতিহাসে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। কেল্লার ভেতরের স্থাপনাগুলোতে মুঘল আমলের জীবনযাপনের ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
কেল্লার বিস্তৃত পরিসর, বিশাল সবুজ মাঠ এবং প্রাচীন স্থাপত্য দর্শনার্থীদের কাছে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা তৈরি করে। মুঘল সাম্রাজ্যের পরিকল্পনা, স্থাপত্যশৈলী এবং শিল্পকর্ম সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান।
লালবাগের কেল্লা স্থাপন করেন কে?
লালবাগের কেল্লার নির্মাণের সূচনা করেন মুঘল রাজপুত্র মোহাম্মদ আজম শাহ ১৬৭৮ সালে। ঢাকা তখন বাংলাদেশ সুবাহের রাজধানী ছিল এবং কেল্লাটি ছিল প্রশাসনিক কেন্দ্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ। কেল্লার নকশায় মুঘল স্থাপত্যের জাঁকজমকই প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে ফুটে ওঠে।
পরে শায়েস্তা খান এ স্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করলে কেল্লার বিভিন্ন অংশের উন্নয়ন ও বিস্তারের কাজ এগিয়ে যায়। তবে লালবাগের কেল্লাটি কখনোই পুরোপুরি নির্মাণ শেষ হয়নি, তবুও অসমাপ্ত অবস্থাতেই এটি মুঘল স্থাপত্যের একটি অন্যতম অনন্য নিদর্শন।
লালবাগের কেল্লা সময়সূচী
লালবাগের কেল্লা নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে, যা ঋতুভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার দুপুর ১২:৩০ থেকে ৩:০০ পর্যন্ত জুমার নামাজের কারণে কেল্লা বন্ধ থাকে।
রবিবার এবং সরকারি ঘোষিত বিশেষ ছুটির দিনে লালবাগের কেল্লা বন্ধ থাকে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে myGov সাইটে প্রতিদিনের আপডেটেড সময়সূচী দেখা যায়। তাই ভ্রমণের আগে সময় যাচাই করে যাওয়া উত্তম।
লালবাগের কেল্লায় কার সমাধি রয়েছে
লালবাগের কেল্লার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হলো পরী বিবির সমাধি। তাকে নিয়ে নানা ঐতিহাসিক তথ্য থাকলেও বেশিরভাগ গবেষকই তাকে শায়েস্তা খানের কন্যা বলে মনে করেন। তার অকাল মৃত্যু কেল্লার নির্মাণ বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
সমাধিসৌধটি মুঘল স্থাপত্যের অসাধারণ উদাহরণ, যেখানে সাদা মার্বেল পাথর ও সুশিল্পকর্ম ব্যবহৃত হয়েছে। দর্শনার্থীরা কেল্লায় প্রবেশের পরই সমাধি এলাকায় সুন্দর পরিবেশ ও স্থাপত্য দেখে অভিভূত হন।
লালবাগের কেল্লা আপডেট
বর্তমানে লালবাগের কেল্লায় ডিজিটাল টিকিটিং, অনলাইন গাইড এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য অধিকাংশ তথ্য সাইটে অনলাইনে উপলব্ধ। এছাড়া পর্যটকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে নতুন সাইনবোর্ড, নির্দেশিকা এবং পরিচ্ছন্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সরকার এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে কেল্লার সংরক্ষণ ও সংস্কারের কাজ নিয়মিতভাবে করা হয়। ভবিষ্যতে আরও আধুনিক সুবিধা যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
শেষ কথা
লালবাগের কেল্লার মতো একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শনকে আরও সহজ ও ঝামেলাহীন করতে অনলাইন টিকিটিং একটি বড় পদক্ষেপ। খুব কম সময়ে, ঘরে বসেই মাত্র কয়েকটি ধাপে টিকিট কাটা সম্ভব।
আপনি পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান, অথবা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণ—অনলাইন টিকিট কাটতে এই গাইডটি আপনাকে ১০০% সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন-পিজি হাসপাতাল অনলাইন টিকেট বুকিং
ℹ️ আরও কন্টেন্ট নিয়মিত পেতে- ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন!
ℹ️ ভিডিও আকারে কনটেন্ট নিয়মিত পেতে –ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন!
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔


