প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম(প্রমাণ সহ)

জেনে নিন প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার সঠিক নিয়ম, প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা এবং শর্ত সমূহ এছাড়াও প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত সকল বিষয়।

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ আর এই ডিজিটাল যুগে প্রত্যেকটি কাজকর্ম কিন্তু এখন অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কম্পিউটার অথবা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে ঘরে বসেই করতে পারবেন। এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং যুক্ত করে ঘরে বসেই আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন।

বর্তমানে নতুন নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতার অর্থ G2P পদ্ধতিতে পরিষদের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ -যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রতিবন্ধী ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং এ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।

আমাদের সমাজে বর্তমানে অনেকেই রয়েছে যারা ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম না জানা থাকার ফলে বা প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে না পারার ফলে এই সুবিধাটি বর্তমান সরকারের গ্রহণ করতে পারছে না। তাই আপনাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।

আজকের দেখানোর নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজে ঘরে বসে যে কোন সমাজের মা-আত্মীয়-স্বজন প্রতিবন্ধী থাকলে তাদের প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন ফরমটি জমা দিতে পারবেন।

তো চলুন সম্পূর্ণ প্রসেস গুলো নিয়ম-কানুন সবকিছু আমরা জেনে নেই।

প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে আবেদনের যোগ্যতা

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার পূর্বে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে এ বিষয়টি অবশ্যই একজন আবেদনকারী জানতে হবে। আমি নিচে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদনের জন্য যে সকল যোগ্যতা দরকার সেগুলি দিয়ে দিচ্ছি –

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজ এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী সমাজসেবা কার্যালয় হতে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
  • আবেদনকারী যে জেলার বাসিন্দা সে জেলার নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র দিতে হবে।
  • আবেদনকারী অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাৎসরিক আয় ৩৬ হাজার টাকার বেশি নয় এমন ব্যক্তি আবেদন করতে পারবে।
  • আবেদনকারী অবশ্যই দুস্থঃ প্রতিবন্ধী হতে হবে।
  • ৬ বছরের উর্ধে সকল ধরণের প্রতিবন্ধীকে ভাতা প্রদানের জন্য বিবেচনায় নিতে হবে।
  • বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।

উপরের এই সকল যোগ্যতা থাকলেই শুধুমাত্র একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি প্রতিবন্ধী অনলাইন আবেদন করতে পারবে।

যারা প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে না

এখন আমি আপনাদেরকে যারা প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও প্র প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে পারবে না তাদের একটা লিস্ট আমি দিয়ে দিচ্ছি।

  • সরকারি চাকরিজীবী হলে অথবা সরকারি চাকরিজীবীর পেনশন ভর্তি হয়ে থাকলে আবেদনকারী আবেদন করতে পারবে না।
  • এছাড়াও অন্য কোনভাবে নিয়মিত সরকারি অন্যান্য কোন সুবিধা ভোগ করে থাকলে প্রতিবন্ধী আবেদনকারী আবেদন করতে পারবে না।
  • অন্যান্য কোন বেসরকারি সংস্থা থেকে যদি নিয়মিত অর্থ প্রাপ্তি হয়ে থাকে তাহলেও আবেদনকারী প্রতিবন্ধী আবেদন করতে পারবে না।

উপরের এই কয়টি বিষয় যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে আর আপনি যদি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে যা যা লাগে

অনলাইনে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার জন্য কিছু ডকুমেন্টস আপনাকে সাবমিট করতে হবে আমি নিচে তার লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি

  • প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে ১৮ বছর উপরে হলে।
  • প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে অবশ্যই জন্ম সনদের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
  • প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য প্রতিবন্ধীর পরিচয় পত্র কার্ড যেটাকে সুবর্ণ কার্ড বলা হয়। এই কার্ডটি অবশ্যই আপনার প্রয়োজন হবে।
  • প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদনকারীর একটি সচল বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে যেটাতে নগদ এবং বিকাশ খোলা রয়েছে।
  • প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার পূর্বে আবেদনকারীর এই বিষয়গুলি বা এই ডকুমেন্টস গুলি অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

এখন আমি আপনাদেরকে একদম সহজে দেখাবো যে কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ডিভাইসকে ব্যবহার করে সহজে যেকোনো প্রতিবন্ধীর আপনি উপরের শর্তগুলি বা নিয়মগুলি অনুযায়ী যদি পড়ে থাকেন তার প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন তার প্রসেস। আশা করছি এই দেখানো প্রসেস বা নিয়ম অনুসরণ করে সহজেই আপনি প্রতিবন্ধীদের অনলাইন ভাতার আবেদন করতে পারবেন।

ধাপ-০১-সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন করার নিয়ম। প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে গুগলের যে কোন ব্রাউজারে গিয়ে আপনি এই” http://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication “ওয়েবসাইটটি তে প্রবেশ করুন।প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

এরপর কিছু নিয়মকানুন দেওয়া থাকবে নিয়ম কানুন গুলি চাইলে আপনি বাংলা ভাষায় আছে পড়ে নিতে পারেন। এরপরে আমি বুঝেছি পরবর্তী ধাপে যান “এই অপশনটির উপরে টিক মার্ক দিয়ে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করুন।প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

এরপর পরবর্তী ধাপে “কার্যক্রম “অপশন থেকে “প্রতিবন্ধী ভাতা” সিলেক্ট করুন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

ধাপ ২- এখানে আবেদনকারী অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে শুরু করতে হবে। প্রথম বক্সে আবেদনকারী অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ থাকলে দুটির মধ্যে যেটি সেটি আপনি সিলেক্ট করে দিন।

অর্থাৎ আপনি যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ভোটার আইডি দিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে ভোটার আইডি সিলেক্ট করে নিচে থাকা ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে দিন বা আপনি যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্ম সনদ দিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে জন্ম সনদ সিলেট করে জন্ম সনদের নাম্বার এবং তারিখ দিয়ে দিন। এরপর পাশে থাকা “যাচাই করুন “অপশন টির উপরে ক্লিক করে দিন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

ধাপ-০৩: এরপর পরবর্তী ধাপে এনআইডি কার্ড অথবা জন্ম সনদ থেকে সক্রিয় ভাবে আপনার সকল ইনফরমেশন গুলো চলে আসবে। যে সক্রিয়ভাবে যে ইনফরমেশন গুলি থাকবে সেগুলি আর আপনার কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে হবে না। তবে যেগুলি আপনার এখানে পূরণ করা থাকবে না এই অপশন গুলি অবশ্যই আপনার ইনফরমেশন অনুযায়ী পূরণ করে নিবেন। সকল রিকোয়ারমেন্ট গুলো এখানে বাংলা ভাষায় থাকবে তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ইনফরমেশনগুলো ফুলফিল করতে পারবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

ধাপ-০৪: এ ধাপে আপনাকে অতিরিক্ত কিছু অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অতিরিক্ত কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। আমি নিচে সেই সকল তথ্যগুলির একটি লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি যাতে সহজে আপনি প্রতিবন্ধীর অনলাইন ভাতা আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনি এই সকল ইনফরমেশন গুলি আগে থেকে নিয়ে রাখেন।

  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বৈবাহিক অবস্থা।
  • প্রতিবন্ধীর শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  • পারিবারিক সদস্য সংখ্যা ছেলে মেয়ে হিজড়া যে লিঙ্গের হবে সেটি উল্লেখ করে দিতে হবে।
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পেশা
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাৎসরিক আয়
  • সার্থগত বা কর্মক্ষেত্র স্থলখ্যাত যোগ্যতা।
  • সরকারি বা বেসরকারি আর্থিক সুবিধার তথ্য
  • বাসস্থান তথ্য
  • ভূমির পরিমাণ
  • প্রতিবন্ধীর ধরণ ডিআইএস অনুযায়ী
  • প্রতিবন্ধীর মাত্রা ডিআইএস অনুযায়ীপ্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

একজন প্রতিবন্ধীর ব্যক্তির উপরের এই সকল অতিরিক্ত তথ্যগুলি অনলাইনে আবেদন করার সময় দিতে হবে।বলে রাখা ভালো যে,কোন তথ্য যদি আপনার এর মধ্যে না থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সেটি না দিলেও চলবে। তবে পারো তো পথ থেকে চেষ্টা করবেন এই সকল ইনফরমেশন আপনি আবেদন করার পূর্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়ে রাখতে।

ধাপ ৫-এই ধাপে যোগাযোগের তথ্য প্রয়োজন। আবেদনের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল (যদি থাকে) নির্বাচন করুন।

সব তথ্য পূরণ হয়ে গেলে সব তথ্য যাচাই করে দেখুন তথ্যে কোনো ভুল আছে কি না। সবকিছু ঠিক থাকলে সেভ বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদন জমা দিন।

মনে রাখবেন আবেদন জমা দেয়ার পর আর কোন তথ্য পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই।

ধাপ-০৭: উপরের সকল নিয়ম ঠিকঠাক থাকলে আপনারা আবেদনটি সাবমিট করা হয়ে গেলে আপনি এখনো আবেদন ফরমটি প্রিন্ট আউট অথবা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আপনারা আবেদনটি সাবমিট হয়ে গেলে ডাউনলোড বা প্রিন্ট করার অপশন চলে আসবে পিডিএফ ফাইলটি আপনি ডাউনলোড অথবা ডিরেক্টলি আপনার প্রিন্টার থাকলে প্রিন্ট দিয়ে নিতে পারবেন।প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

এছাড়াও আপনি আপনার ডিভাইজ এ নিয়ে বাজারে যেকোন প্রিন্টারের দোকান থেকে এই কপিটি প্রিন্ট আউট দিয়ে নিবেন।

ধাপ ৮- এরপর প্রিন্ট করা ফরমটির নির্দিষ্ট অংশে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা পৌরসভার কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিয়ে সমাজসেবা মাঠকর্মী বা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন উপরের এই নিয়ম অনুসরণ করে করলে আপনার সবকিছু কমপ্লিট হয়ে যাবে।

আশা করছি আপনারা যারা প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে চাচ্ছিলেন উপরের এই সকল বিষয় বিবেচনা করে আপনি সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে মোবাইল অথবা কম্পিউটার ডিভাইসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

তো চলুন প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন বা প্রতিবন্ধী ভাতা সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয় আমরা জেনে নেই।

প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা?

প্রতিবন্ধীকে মাসিক কত টাকা আকারে সরকার প্রদান করে থাকে? বিষয়টি জেনে নিন।

পূর্বে প্রতিবন্ধী ভাতা ছিল ৭৫০ টাকা করে। কিন্তু এ বছর তা বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করা হয়েছে। যা প্রতি মাসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যেমন, বিকাশ, নগদের মাধ্যমে ভাতা গ্রহণ করা যাবে।

প্রতিবন্ধীতার পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ড প্রাপ্তির জন্য যে সকল বিষয় বা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে?

একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিচয় পত্র পেতে হলে কিছু বিষয় অবশ্যই আপনাকে খেয়াল করতে হবে। নিচে তার লিস্ট গুলি দিয়ে দিচ্ছে-

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • আবেদনকারী অর্থাৎ শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অথবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পক্ষে তার অভিভাবক অথবা অন্য কোন সমস্যা একটি ব্যবহার করতে পারবে।
  • প্রতিবন্ধী আবেদনকারীর অবশ্যই নিজের জন্ম নিবন্ধন অথবা নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
  • আবেদন ফরমের মধ্যে আবেদনকারীর স্বাক্ষরের জায়গায় স্বাক্ষর স্ক্যান করে অবশ্যই বসাতে হবে।
  • যেকোনো আপনার সক্রিয় মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস থাকতে হবে।
  • অনলাইনে আবেদনের ফরমটি আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা শহর সমাজসেবা কার্যালয় দাখিল হবে।
  • সমাজসেবা কার্যালয় হতে প্রদত্ত সময় অনুযায়ী ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য অবশ্যই হাজির হতে হবে।
  • ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাজির হবার সময় অনলাইন আবেদন ফরম সাবমিট এর প্রিন্টেড কফি সাথে আনতে হবে।
  • উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে এস এম এস পাওয়ার পরই শুধুমাত্র আপনি আপনার প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্রটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

আশা করছি যারা আবেদন করতে চাচ্ছেন তারা এই সকল বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম

প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরমটি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার খুব সহজে ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট আউট করে, হাতে লিখে আপনারা সে আবেদন ফরমটি পূরণ করে সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিতে পারবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতারে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করতে নিচের এই লিংকে ক্লিক করুন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন চেক

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইনে আবেদন বা প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদনকারীদের যারা পাচ্ছে তাদের লিস্ট চেক করতে আপনি পারবেন ঘরে বসে।

প্রথমে তথ্য বাতায়ন বাংলাদেশের এই ওয়েবসাইটিতে প্রবেশ করুন” https://bangladesh.gov.bd/index.php

এরপর আপনি ইউনিয়ন সিলেকশন করুন। সেখান থেকে আপনি আপনার ইউনিয়নটি বাছাই করুন।

গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 

এরপর এই ইউনিয়নের এগেনস্টে যতগুলি ভাতা প্রদান করা হয় তার লিস্ট থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা সিলেক্ট করুন। এরপর আপনি সেখানে সেই ইউনিয়নের গ্রাম সিলেট করে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা লিস্টি দেখতে পাবেন।

উপরের এই নিয়মটি অনুসরণ করে খুব সহজে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদনটি চেক করতে পারবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর

বর্তমানে মাসিক প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা?

বর্তমানে মাসিক প্রতিবন্ধী ভাতা ৮৫০ টাকা।

প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়?

হ্যাঁ বর্তমানে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইনেও আবেদন করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্য আবেদন কপিটি নিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আপনার যোগাযোগ করতে হবে।

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করার জন্য কোন টাকা প্রয়োজন হয় কিনা বা চার্জ প্রয়োজন আছে কিনা?

প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড তৈরি করার জন্য কোন ধরনের কোন চার্জ প্রয়োজন হয় না।

শেষ কথা –আপনারা যারা প্রতিবন্ধী বা তার অনলাইন আবেদন করার কথা ভাবছিলেন। আশা করছি তারা উপরের দেখাও নিয়ম অনুসরণ করে খুব সহজেই প্রতিবন্ধী ভাতার অনলাইন আবেদনটি করতে পারবেন।

সম্পূর্ণ এই ইনফরমেশন গুলি অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত। তাই কোন ধরনের কোন পরিবর্তন পরিবরণ আসলে অবশ্যই সেটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

 

👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

বাইক চালানোর পূর্বে যে সকল বিষয় চেক করবেন
বাংলাদেশের বিনা খরচে বৃদ্ধাশ্রম
বৃদ্ধাশ্রম কোথায় কোথায় আছে ?

↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇

  • ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন
  • ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন
  • বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন

↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇

➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন

➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন

➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি মো:সানাউল বারী।পেশায় আমি একজন চাকুরীজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকুরীর পাশাপাশি গত ১৪ বছর থেকে এখন পর্যন্ত নিজের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করছি এবং নিজের ইউটিউব এবং ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করি। বিশেষ দ্রষ্টব্য -লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ।