গ্রামীণফোন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড-আজকের ডিজিটাল যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। এর মাধ্যমে আমরা যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি, ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাজ করতে পারি এবং বিনোদনের জন্যও মোবাইল ফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু অনেক সময় আমাদের মোবাইলে হঠাৎ করে ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায়, বিশেষত তখন যখন সবচেয়ে প্রয়োজন হয়।
এক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের মতো মোবাইল অপারেটররা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বা লোন ব্যালেন্স সুবিধা প্রদান করে থাকে। এটি ব্যবহার করে আপনি ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলেও নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অ্যাডভান্স হিসেবে পেতে পারেন, এবং পরে সেটি রিচার্জ করার সময় ফেরত দিতে পারেন। এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত জানবো কিভাবে গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড ব্যবহার করে দ্রুত এবং সহজে ব্যালেন্স নেওয়া যায়।
গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কি?
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স একটি সুবিধা যা গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীদের জন্য তখনি কার্যকর হয় যখন আপনার মুল ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায়। এটি মূলত একটি অ্যাডভান্সড ব্যালেন্স যা আপনি পরবর্তী রিচার্জে ফেরত দিতে পারেন। গ্রামীণফোন এই সুবিধা দিয়ে থাকে যাতে হঠাৎ প্রয়োজনীয় মুহূর্তে, যেমন জরুরি কল করার সময়, ব্যালেন্স না থাকার কারণে অসুবিধায় পড়তে না হয়।
গ্রামীণফোন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড
গ্রামীণফোন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পেতে হলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করতে হবে। এটি সহজে মনে রাখা যায় এবং যে কোনো সময় প্রয়োগ করা যায়। গ্রামীণফোন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার জন্য আপনি *১২১*১*৩# বা *9# এই কোডটি ডায়াল করতে পারেন। ডায়াল করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জমা হয়ে যাবে, যা আপনি পরবর্তী রিচার্জের সময় ফেরত দিতে পারবেন।
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড: *১২১*১*৩# বা *9#
কারা এই গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সুবিধা নিতে পারবেন?
গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সুবিধা পেতে হলে কিছু শর্ত রয়েছে। এই শর্তগুলো পূরণ করলে আপনি খুব সহজেই এই সুবিধাটি নিতে পারবেন। এই শর্তগুলো হলো:
- সক্রিয় গ্রামীণফোন প্রিপেইড ব্যবহারকারী: আপনাকে গ্রামীণফোনের প্রিপেইড ব্যবহারকারী হতে হবে। পোস্টপেইড ব্যবহারকারীরা এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না।
- অন্তত ৩ মাসের ব্যবহারকারী হতে হবে: ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনার সিমটি চালু হয়ে কমপক্ষে ৩ মাস (৯০ দিন) হতে হবে। যদি আপনি নতুন ব্যবহারকারী হন, তাহলে ৩ মাস পর এই সুবিধা নিতে পারবেন।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
- পূর্ববর্তী ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ফেরত দেওয়া থাকতে হবে: যদি আপনি এর আগেও ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে থাকেন এবং সেটি এখনও ফেরত না দিয়ে থাকেন, তাহলে নতুন করে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন না। আগে নেওয়া লোন ব্যালেন্স ফেরত দেওয়ার পরই আপনি পুনরায় ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন।
গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কত টাকা পাওয়া যায়?
গ্রামীণফোন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার সিম ব্যবহার এবং পূর্ববর্তী রিচার্জের উপর। সাধারণত ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পাওয়া যায়। তবে সাধারণভাবে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য ১০, ২০, বা ৩০ টাকা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স দেওয়া হয়ে থাকে।
গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের সুবিধা
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ কার্যকর হতে পারে। নিচে কিছু প্রধান সুবিধা তুলে ধরা হলো:
- জরুরি কল করার সুযোগ: হঠাৎ করেই যদি আপনার ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায় এবং আপনাকে জরুরি কল করতে হয়, তাহলে এই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স আপনার সাহায্যে আসবে।
- ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ: অনেক সময় এমন হয় যে আমাদের ইন্টারনেট প্যাক শেষ হয়ে যায়, আর সেই মুহূর্তে যদি আমাদের অ্যাকাউন্টে কোনো ব্যালেন্স না থাকে তাহলে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে আপনি ইন্টারনেট চালাতে পারবেন।
- অ্যাডভান্স সুবিধা: এটি মূলত একটি অ্যাডভান্স সুবিধা। আপনি এখনই ব্যবহার করছেন, কিন্তু পরবর্তী সময়ে রিচার্জের সময় ব্যালেন্স ফেরত দেওয়া হবে।
- সহজ প্রক্রিয়া: ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং তাৎক্ষণিক। কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই এই সুবিধা উপভোগ করা যায়।
কিভাবে গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া যায়?
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে এই ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:
- কোড ডায়াল করুন: ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার ফোন থেকে *১২১*১*৩# বা *9# ডায়াল করতে হবে।
- নির্দিষ্ট অপশন নির্বাচন করুন: কোড ডায়াল করার পর একটি মেনু দেখতে পাবেন যেখানে বিভিন্ন অপশন দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের জন্য নির্দিষ্ট অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।
- নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স নির্বাচন করুন: ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের পরিমাণ বিভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ১০, ২০, ৫০ টাকা দেওয়া হয়। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে পরিমাণটি নির্বাচন করতে পারেন।
- ব্যালেন্স জমা হবে: পরিমাণ নির্বাচন করার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার মোবাইল অ্যাকাউন্টে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জমা হয়ে যাবে।
গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ফেরত দেওয়ার নিয়ম
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার পর সেটি ফেরত দেওয়ার জন্য কোনো আলাদা প্রক্রিয়া নেই। আপনি যখন পরবর্তী রিচার্জ করবেন, তখন রিচার্জের টাকাসহ ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের টাকাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হবে। এজন্য আলাদা করে কোনো কাজ করতে হবে না।
গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার পর ট্যারিফ
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করার পর সাধারণ ট্যারিফ অনুযায়ী কল রেট বা ইন্টারনেট চার্জ কাটা হবে। ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কারণে কোনোরকম অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয় না।
সতর্কতা
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন:
- অতিরিক্ত ব্যালেন্স নেওয়া: বারবার ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া হলে পরবর্তী রিচার্জের সময় আপনার বড় অংকের টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে। এজন্য খুব বেশি নির্ভর না করে শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে এই ব্যালেন্স নেওয়া উচিত।
- ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্কতা: অনেক সময় ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ব্যালেন্স দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ডাটা প্ল্যান সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় তথ্য
নিচে তথ্য গুলো সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কিত আরো অনেক বিষয় আপনার সাহায্য হবে। 👇
- গ্রাহক *১২১*১*২# ডায়াল করে (চার্জ ফ্রি) ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স অ্যামাউন্ট চেক করতে পারবেন ।
- ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স এর বকেয়া চেক করতে ডায়াল *৫৬৬*২৮#।
- *১২১*১০১০*২# ডায়াল করে আপনার জন্য বরাদ্দকৃত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জেনে নিন ।
- ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স এ ফ্ল্যাট ২ টাকা/মিনিট (১০ সেকেন্ড পাল্স) কল রেট প্রযোজ্য হবে ।
- যদি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তাহলে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করা যাবে না ।
- অন্যান্য সকল ট্যারিফ, সার্ভিস ও পাল্স অপরিবর্তিত থাকবে ।
- সকল চার্জে ২০% সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। সম্পূরক শুল্কসহ মোট মূল্যের উপর ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য+ মূল কলরেটের উপর ১% সারচার্জ প্রযোজ্য।
- এই অফারটি Skitto গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য নয় ।
উপসংহার
গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড একটি জরুরি সুবিধা, যা আপনাকে হঠাৎ প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করে আপনি যখন প্রয়োজন তখন জরুরি কল করতে পারবেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এই পোস্টে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি কিভাবে গ্রামীণফোনের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড ব্যবহার করা যায় এবং এর মাধ্যমে কীভাবে সুবিধা পাওয়া যায়।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
রবি ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম সহজ নিয়মে এয়ারটেল ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করুন বাংলালিংক ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশে আইটি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
- ডিজিটাল অনলাইন প্রোডাক্ট কিনতে এবং জানতে ভিজিট করুন – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️IMO চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।