সুইং কোয়ালিটির কাজ-সুইং কোয়ালিটি বলতে মূলত সেলাইকৃত পোশাকের গুণতমান ঠিক আছে কিনা তা চেক করার জন্য যেসব কর্মী নিযুক্ত থাকেন তাদেরকে বোঝায়। সুইং ডিফেক্ট থাকলে এসব কোয়ালিটি কর্মীরা তা রিপেয়ার এর ব্যবস্থা করে তা বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট উপযোগী করে তৈরি করতে সাহায্য করে।
আজকে আমরা এ কনটেন্টিতে আলোচনা করব গার্মেন্টস কোয়ালিটিতে সুইং কোয়ালিটি এর বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পর্কে। যারা গার্মেন্টস কোয়ালিটি কাজ সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন
কোয়ালিটি কি
কোয়ালিটি কোন পণ্যের বা সেবার মধ্যে একটি অপরটির তুলনায় কত গুণ ভালো তা বোঝায়।উৎপাদিত পণ্য বা সেবা কাস্টমারের নিকট চাহিদা পূরণে সমর্থ্য হয়েছে কিনা বা এক কথায় এটি ব্যবহার উপযোগী কিনা তা যাচাই করা হয়।
কোয়ালিটি শব্দের অর্থ গুণগত মান গার্মেন্টসে কোয়ালিটি বলতে বায়ার এর চাহিদার সাথে মিল রেখে পণ্যের মান বজায় রাখা কি বুঝায়।
ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে সঠিক সময় সঠিক মূল্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে কোয়ালিটি।
সুইং ডিফেক্টস কত প্রকার ও কি কি
Sewing Defects তিন প্রকার। যথা:
১। মেজর প্রবলেম (বড় ধরনের সমস্যা)।
২। মাইনর প্রবলেম (ছোট ধরনের সমস্যা)।
৩। ক্রিটিক্যাল প্রবলেম (সূক্ষ্ম ধরনের সমস্যা)।
সুইং সেকশনে কোয়ালিটিতে দায়িত্ব ও কর্তব্য
*প্রতিদিন সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে অফিসের যে কোন ড্রেস কোড রয়েছে যেমন ইন করে আসা, মেয়েদের মাথায় ওড়না বা স্কার্ফ ব্যবহার করা, অফিসের ইউনিফর্ম থাকলে গায়ে দেওয়া, আইডি কার্ড গলায় দেওয়া, বাহিরের জুতা অফিসে ব্যবহার না করা এবং অফিস টাইমে কোয়ালিটিদের মেজারমেন্ট টেপ গলায় ঝুলানো থাকতে হবে।
*রেডি হয়ে আউটপুট টেবিলে যেতে হবে প্রতিদিন সকালে কন্ট্রোলার মিটিং করেন বা কিছু ইন্সট্রাকশন দিয়ে থাকেন সেটা শুনতে হবে। রিপোর্ট ফাইল এর পেজ সংগ্রহ করতে হবে।এবং ডেট/বায়ার স্টাইল প্রসেস ইত্যাদি লিখতে হবে।
*প্রতিটি কোয়ালিটির আন্ডারে যে সকল মেশিন রয়েছে সেগুলোর এসপিআই চেক করতে হবে। কোন মেশিনের নতুন অপারেটর দিলে সেই মেশিনের কিছু কাজ চেক করতে হবে। কোন সমস্যা থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রসেসের সুপারভাইজার এবং লাইন কোয়ালিটির কন্ট্রোলার কে জানাতে হবে।
*চেক শুরু করে প্রথমে দেখতে হবে স্টাইলিং ঠিক আছে কিনা এবং প্রতিটি কোয়ালিটি চেক পয়েন্ট মেজারমেন্ট পয়েন্ট আছে সেগুলো মেজারমেন্ট করতে হবে চেক করে ডিফেক্ট গুলো পাওয়া গেলে সেগুলো রিপোর্টে লিপিবদ্ধ করতে হবে। ডিফেক্ট গুলো সুপারভাইজার কে বুঝিয়ে দিতে হবে এবং রিপেয়ার করা গার্মেন্টস গুলো বুঝে নিতে হবে।
*একজন কোয়ালিটি কে অবশ্যই গার্মেন্টস এর সকল প্রকার ডিফেক্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে কোন ডিফেক্টের কি নাম সেটা কি মেজর মাইনর নাকি ক্রিটিকাল সে সম্পর্কে ভালো করে বুঝতে হবে কোন কোয়ালিটি যদি ডিফেক্ট না জেনে তাহলে কিন্তু সেই ডিফেক্ট ধরতে পারবে না।সব ডিফেক্ট ফিনিশিং এ চলে যাবে তাই কোয়ালিটি তে চাকরি করতে হলে আগে ডিফেক্ট গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
*কোন প্রসেসে বেশি ডিফেক্ট পাওয়া গেলে সুপারভাইজার এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোলার কে জানাতে হবে যদি তাদের জানানোর পরও ডিফেক্ট না কমে তাহলে প্রয়োজন হলে কোয়ালিটি ইনচার্জ এবং কোয়ালিটি ম্যানেজার কে জানাতে হবে।কাজের ফাঁকে সময় করে যে মেশিনগুলোতে বেশি ডিফেক্ট পাওয়া যায় সেই মেশিনে গিয়ে গার্মেন্টস চেক করতে হবে। এবং অপারেটরকে দেখে কাজ করার জন্য বলতে হবে।
*কিছু কিছু process যেমন লেভেল চিপার এবং কন্টাস্ট থ্রেড থাকলেএগুলো গুরুত্ব সহকারে চেক করতে হবে কারণ এগুলো বেশি মিসটেক হয়ে থাকে। প্রতি ঘন্টার প্রোডাকশনের হিসাব রাখতে হবে। কত পিস প্রোডাকশন হয় কারণ কোয়ালিটি যে প্রোডাকশন দিবে সেটাই লাইনের প্রোডাকশন হিসেবে গণ্য করা হবে।
*যারা আউটপুটে চেক করে তাদের মূলত গার্মেন্টসের প্রতিটি প্রসেস চেক করতে হয় ইনপুট থেকে কোন সমস্যা আসলে সেটা আউটপুটে ধরতে হবে কারণ আউটপুট হচ্ছে সুইং লাইনের শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট বায়ার আসলে তার জন্য আউটপুট টেবিলে কিছু গার্মেন্টস স্পেশাল ভাবে চেক করে রাখতে হবে। যাতে বায়ার গার্মেন্টস ধরলে কোন সমস্যা না পায় আউটপুট টেবিলের মেজারমেন্ট স্পেস দেখে মাঝে মাঝে কি পয়েন্ট গুলো মেজারমেন্ট করতে হবে।
*প্রতি ঘন্টার প্রোডাকশন হওয়া গার্মেন্টসগুলো অডিটকে বুঝিয়ে দিতে হবে অডিটর একিউএল অনুযায়ী ঠিক করার পর পাস হলে গার্মেন্টসগুলো ওয়াসে বা ফিনিশিং সেকশনে চলে যাবে।
*প্রতিটি কিউ আই টেবিলে স্টাইল অনুযায়ী ওয়ার্ক ইন্সট্রাকশন দেওয়া থাকে সেটা ফলো করে কাজ করতে হবে বায়ার যে প্রসেসের উপর বেশি গুরুত্ব দেয় সেটা গুরুত্ব সহকারে চেক করতে হবে। কোম্পানির রুলস রেগুলেশন সব সময় মেনে চলতে হবে। দিন শেষে রিপোর্ট কমপ্লিট করে জমা দিতে হবে।ছুটির সময় লাইনে কন্ট্রোলারের সাথে দেখা করে অফিস থেকে বের হতে হবে।
সুইট কোয়ালিটি ইনচার্জ এর দায়িত্ব ও কর্তব্য
*কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা
*বায়ারের চাহিদা অনুসারে কন্ট্রোলারদের নির্দেশনা দেওয়া
*স্টাইলিং অনুসারে মেজারমেন্ট সিট দেখে বুঝে এবং স্যাম্পল দেখে কাজ করানো
*নিয়মিত মেজারমেন্ট রিপোর্ট করে কাজ করানো
*প্রতি লাইনে রানিং স্প্যাম্পল এবং মেজারমেন্ট সিট রেখে সে অনুসারে কাজ করানো
*নতুন কাজ শুরু হলে বায়ারের স্যাম্পলের সঙ্গে স্টাইলিং মিলিয়ে দেখা
*কোয়ালিটি কন্ট্রোলার এবং ইন্সপেক্টর দের কাজ তদারকি করা
*ডিফেক্ট এর রিপোর্ট ঠিকমতো তুলছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখা
*অপারেটরদের ডিফেক্ট এর জন্য অবগত করা। এবং ডিফেক্ট এর পরিমাণ কমিয়ে আনা
*প্রতি ঘন্টায় কাজের টার্গেটের পরিমাণ ঠিক রেখে কাজ করানো
*কোয়ালিটি ম্যানেজার/ এজিএম/ হেডকে রিপোর্ট করা।
সুইং অডিটরেরএর দায়িত্ব ও কর্তব্য
একজন swing auditor কে অনেক ধরনের কাজ করতে হয়।একজন swing auditor যদি দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন না করে তবে প্রতিষ্ঠান অনেক বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। একজন সুইং অডিটরের দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো হলো:
*নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নিজের কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া
*বারটেক সেকশনের গত দিনের সকল গুডস সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া।
*নিজ নিজ লাইনের মেজারমেন্ট সঠিকভাবে করা
*যদি মেজারমেন্ট পয়েন্টে কোন অমিল অথবা ডিভিয়েশান পাওয়া যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ রিপোর্টিং বসকে ইনফর্ম করা। এবং ফ্লোর লাইন কিউসি ও কিউএম কে সাথে সাথে জানানো।
*নিজ নিজ লাইনের আউটপুট টেবিল হতে এক থেকে দুই পিস করে গার্মেন্টস নিয়ে স্টাইলিং নিশ্চিত করা
*নতুন কোন স্টাইলিং এর গুডস আউটপুট হয়েছে কিনা তার সংশ্লিষ্ট লাইন কন্ট্রোলারের নিকট থেকে জেনে নিশ্চিত হওয়া। সে অনুযায়ী রিপোর্টিং বসকে ইনফর্ম করা
*ঘন্টা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই লট এডিট করা।
*একিউএম অনুযায়ী পাস বা ফেল নিশ্চিত করা এবং ফেল হলে তা RCA এবং CAPA তৈরি করতে হবে।
*নিজ নিজ লাইনের আউটপুট কিউ আই টেবিলে গার্মেন্টস চেক করা।
*ডিফেক্ট নিয়ে লাইনের মধ্য মুভিং করা অথবা নিডেল পয়েন্টে যাওয়ার সাথে সাথে সমস্যাগুলোর লাইন চিপ এবং কিউসিকে তাড়াতাড়ি জানানো।
*সঠিকভাবে অডিট করে ঘন্টার রিপোর্ট ঘন্টায় ফিল আপ করতে হবে।
*গুডসের গুণগত মান নিশ্চিত করে বার টেক সেকশনে সঠিক গুডস পাঠাতে হবে।
*বারটেক অডিটর দিয়ে সেগুলোর অডিট নিশ্চিত করে এরপর ওয়াসে বা ফিনিশিং এ পাঠাতে হবে।
*২ ঘন্টা পর পর এলোমেলো ৭ পিস বক্স অডিট করা। এবং যথাযথ রিপোর্ট নিশ্চিত করা।
*আনকাট থ্রেড এবং প্রাপ্ত ডিফেক্ট কিউআই সুপারভাইজার কে দেখানো।
*যথাযথ স্বাক্ষর নিশ্চিত করা।
*কোন প্রকার সমস্যা যাতে লুকানো না হয়।পূর্বের দিনের ডিফেক্ট % সম্পর্কে রিপোর্টিং বস এবং অডিট ম্যানেজারের সাথে পরামর্শ করতে হবে ও কুয়ালিটি ম্যানেজার কে অবহিত করতে হবে
*গুডস এর সেফটি ইস্যু গুলো যথাযথভাবে ফলোআপ করতে হবে।
*রিপোর্ট শীটে দিন তারিখ যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ শতকরা সঠিকভাবে লেখা নিশ্চিত করতে হবে।
*ত্রুটিপূর্ণ গার্মেন্টস গুলো নিয়ে রিপোর্টিং বসের সাথে খোলা পরামর্শ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ফ্লোর এর QM, QC, QC-INCH, L/C এবং প্রোডাকশন ম্যানেজার কে অবহিত করতে হবে।
*সর্বোপরি অডিট ফাইন্ডিং এর মেজর সমস্যা গুলো ঊর্ধ্বতন ম্যানেজমেন্টকে তাড়াতাড়ি অবহিত করতে হবে।
স্টাইল চেকের সময় একজন অডিটরের দায়িত্ব
এত স্ট্রিম ও এপ্রুফ সিম্পল হাতে নিতে হবে এবং সূক্ষ্মভাবে যাচাই বাছাই করে আউটপুট-বোর্ডের সাথে স্টাইলিং মিলাতে হবে ট্রিম কার্ডে দেওয়া ব্রান্ড লেভেল সাইজ লেভেল কেয়ার লেভেল অর্থাৎ যত প্রকার লেভেল ট্রিম কার্ড আছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে আউটপুট বডির সাথে চেক করে নিশ্চিত হতে হবে।অ্যাপ্রুভ সিম্পল এর সাথে আউটপুট বরের প্রত্যেকটি সিম লেভেল এবং গেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঠিক করে স্টাইলিং নিশ্চিত করতে হবে।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
কেয়ার লেভেলের প্রিন্টের যাবতীয় তথ্য ট্রিম কার্ডের কেয়ার লেভেল এর সাথে ঠিক আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করতে হবে।সকল লেভেলের পজিশনরূপের পজিশন হল পজিশন প্রিন্ট এবং এমব্রয়ডারির পজিশন ফাইল এবং বায়ারের স্পেশাল মেইল comments tag sample এর সাথে নিশ্চিত করতে হবে।ব্যাক পকেট হাই ক্লোজ কয়েন পকেট এবং অন্যান্য পজিশনের ডায়মন্ড ট্যাগ স্যাম্পলের সাথে নিশ্চিত করতে হবে।
ফ্লুডার অথবা ওভারলোকের গেজ ওভারলক এর উইথ এবং ওভারলোকের চেলি রিভার্স আছে কিনা তার ট্যাগ স্যাম্পল এর সাথে চেক করে নিশ্চিত করতে হবে। জিপার সুতা বোতাম বডি ফেব্রিক পকেটে ফেব্রিক লাইনিং ইন্টারলাইনিং এপ্রুফ স্যাম্পল ইত্যাদি বডির সাথে নিশ্চিত করতে হবে।
সুতার কাউন্ট যেমন: ২০/৩,২০/৪,২০/২,৪০/২ ইত্যাদি ট্যাগ স্যাম্পলের সাথে আউটপুট বোর্ডের সুতার কাউন্ট চেক করতে হবে। ইন্টারনাল পিপি কমেন্টস ও বায়ারের স্পেশাল কমেন্টস অথবা মেইলের সাথে এপ্রুভ স্যাম্পল এবং আউটপুট বডি নিশ্চিত করতে হবে।নিজ নিজ লাইনের উপর ভিত্তি করে স্টাইলিং ভিত্তিক সঠিক মেজারমেন্ট শীট লাইন কন্ট্রোলারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
সুইং সুপারভাইজার এর কাজ
একজন গার্মেন্টস সুপারভাইজার এর কাজ খুব একটা কঠিন কাজ নয়। একটি সুইং লাইনের সাধারণত লাইন পেতে দুই থেকে তিনজন সুপারভাইজার নিযুক্ত থাকেন।
উভেন গার্মেন্টসের প্রতিটি লাইনে তিনজন করে সুপারভাইজার থাকেন একজন ব্যাক পার্ট অংশ দেখেন একজন ফ্রন্ট পার্ট অংশ দেখেন একজন আউটপুট দেখেন তবে এই সিস্টেম সকল গার্মেন্টসে নেই। কোথাও কোথাও মাত্র দুইজন সুপারভাইজার দিয়ে পুরো লাইন পরিচালনা করা হয়। এক্ষেত্রে একজন ইনপুটম্যান নিয়োগ করা হয়ে থাকে আবার নীট গার্মেন্টসে মাত্র একজন সুপারভাইজার দিয়ে পুরো লাইন পরিচালনা করা হয়ে থাকে সাথে একজন ইনপুটম্যান নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
*লে আউট অনুযায়ী মেশিন সাজানো
*প্রসেস অনুযায়ী মেশিনে পারফেক্ট অপারেটর বসানো
*লাইনের কোথাও কোন মালামাল যেমন সুতা ফেব্রিক লাগলে সেটা সরবরাহ করা
*বডি (গার্মেন্টস) অপারেটরদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করা
*লাইনের সমস্যা সমূহ দেখা এবং সমাধান করা।
*কোন মেশিনে সমস্যা হলে তার জন্য মেকানিককে ডেকে আনা
*লেভেল সরবরাহ করা
*প্রতিটি অপারেটরের প্রতি খেয়াল রাখা কেউ কাজে ফাঁকি দিচ্ছে কিনা বা কাজ করতে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা
*প্রতি ঘন্টায় লাইনের প্রোডাকশন রিপোর্ট উত্তর তনও কর্তৃপক্ষকে দেখানো
প্রশ্ন–১: একজন সুইং কোয়ালিটি ইনচার্জ এর কাজের পূর্ব শর্ত কি?
উত্তর: একজন সুইং কোয়ালিটি ইনচার্জকে সর্বনিম্ন এইচএসসি পাশ হতে হবে। ২৪ থেকে ৩২ বছর বয়সী হতে হবে। এই পদে পুরুষরাই আবেদন করতে পারবে।
প্রশ্ন–২: একজন সুইং কোয়ালিটি সুপারভাইজারের বেতন কত?
উত্তর:আসলে একজন সুপারভাইজার এর বেতন একেক ফ্যাক্টরিতে একেক রকম তবে একদম কম হলেও সুইং সুপারভাইজার এর বেতন ১৮ হাজারের নিচে না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত একজন সুইং সুপারভাইজার এর বেতন ধরা হয়।
প্রশ্ন–৩: একজন আদর্শ সুইং সুপারভাইজার হতে হলে করণীয় কি?
উত্তর:*অল্পতেই রাগ করা যাবে না।
*দ্রুত সমস্যা সঠিক সমাধান বের করতে হবে।
*অধীনস্থ কর্মীদের মনের ভাষা বুঝতে হবে।
*টার্গেটেড প্রোডাকশন অর্জন করতে হবে।
*সবার সাথে ভালো আচরণ করতে হবে।
শেষ কথা–
আমাদের আজকের কনটেন্টি ছিল সুইং কোয়ালিটি এর কাজ সম্পর্কে। আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সুইং কোয়ালিটি এর বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে তথ্যবহুল একটি কনটেন্ট আপনাদের জানার উদ্দেশ্যে লিখার। যারা সুইং কোয়ালিটি এর কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করে পূর্ণাঙ্গ তথ্য খুঁজে পান নি আশা করছি তারা আজকের এই কনটেন্টি পড়ে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো জানতে পারবেন।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে আমরা তথ্যবহুল কনটেন্ট গুলো আপনাদের উদ্দেশ্যেই লিখে থাকি। যেকোনো বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করতে আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আরো ভালো ভালো কনটেন্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন।
👉🙏লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✅আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 🤔
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-
গার্মেন্টস কোয়ালিটি পলিসি বা নীতিমালা ফিনিশিং কোয়ালিটির কাজ গার্মেন্টস বা যে কোন চাকরিতে প্রমোশনাল লেটার বা পদোন্নতির আবেদন পত্র বাংলাদেশের কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় গার্মেন্টস কোম্পানির নাম গার্মেন্টস কি কত প্রকার ও কি কি কোন সেলাই মেশিনের কেমন দাম রিজাইন লেটার বাংলা ও ইংলিশে গার্মেন্টস কোয়ালিটি কন্ট্রোলার অফিসার গার্মেন্টস লাইন কোয়ালিটির কাজ সুইং কোয়ালিটির কাজ কি
↘️ আমার আরো ওয়েবসাইট সমূহ👇
- ইংলিশের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফ্রিল্যান্সারদের স্বপ্ন পূরণের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় টেকনোলজি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে- – এখানে ভিজিট করুন।
- ফেসবুকে ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুকিং সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে –এখানে ভিজিট করুন।
- বাংলায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে – এখানে ভিজিট করুন
↘️ আমার ভিডিওগুলো পাবেন যে সকল মাধ্যমে 👇
➡️YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Facebook পেজ ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️Instagram চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️WhatsApp চ্যানেল ফলো করে রাখুন – এখানে ক্লিক করুন।
➡️Treads চ্যানেল ফলো করে রাখুন –এখানে ক্লিক করুন।
➡️TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।
➡️Telegram চ্যানেল ফলো করে রাখুন-এখানে ক্লিক করুন।