শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা স্বাস্থ্যকর থাকার মূল শর্ত। এটি শুধু আরামের জন্যই নয় বরং ঠান্ডা-জনিত অসুস্থতা যেমন সর্দি, ফ্লু এবং হাইপোথারমিয়ার ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।
উষ্ণতার জন্য সঠিক কাপড় নির্বাচন করুন। উলের বা তাপ ধরে রাখে এমন ফ্যাব্রিকের পোশাক পরুন। লেয়ারিং করে পোশাক পরা শরীরকে ভালোভাবে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
শীতে শরীরে পানির ঘাটতি কমানোর জন্য হালকা গরম পানি পান করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে এবং ত্বক শুষ্ক হতে দেয় না।
আদা, দারুচিনি এবং লবঙ্গ শরীর উষ্ণ রাখতে দারুণ কার্যকর। এসব মশলা দিয়ে তৈরি চা বা স্যুপ আপনার শীতকালের স্বাস্থ্যকর সঙ্গী হতে পারে।
শীতে সক্রিয় থাকুন। ইয়োগা, হালকা অ্যারোবিক্স বা হাঁটা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
সরিষার তেল বা অলিভ অয়েলের মালিশ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে গরম রাখে। এটি ত্বককে শুষ্কতামুক্ত করতেও সহায়তা করে।
ঘরে প্রাকৃতিক তাপ ধরে রাখতে মোটা পর্দা এবং কার্পেট ব্যবহার করুন। সূর্যের আলো ঢুকতে দিন এবং সন্ধ্যায় জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন।
শীতে পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের শক্তি ধরে রাখে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি উষ্ণ কম্বলের নিচে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করুন।